ছবি সংগৃহীত

প্রিয় গন্তব্য: মিরপুর বেড়িবাঁধ

খন্দকার ইশতিয়াক মাহমুদ
লেখক
প্রকাশিত: ০৮ মার্চ ২০১৭, ০৩:৫৮
আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৭, ০৩:৫৮

বিকেলে নদীতে এরকম রঙে অস্ত যায় সূর্য । ছবি: রিপন শাহ।
 
(প্রিয়.কম): তুরাগ নদীর তীরে মিরপুর ১ নম্বর পার করে দেয়া হয়েছে বাঁধ  জনসাধারণের কাছে এটা মিরপুর বেড়িবাঁধ নামেই বেশি জনপ্রিয়। একটু নির্জনতাপ্রিয় মানুষের আনাগোনা থাকে সবসময়ই, তবে শীতকালে এখানে মানুষের ভিড়টা বেশিই হয়। আর অন্য সময় মানুষ দেখা যায় বিকেলে।
 
নৌকায় বেড়ানো হতে পারে বেড়িবাঁধের একটি আকর্ষণ। ছবি: ওসামা আদনান।
 
কোথায়: বৃহত্তর মিরপুর এলাকার পশ্চিমে বয়ে গেছে তুরাগ নদী, আর এই নদীর উপরে দেয়া হয়েছে বেড়িবাঁধ। প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং শহর থেকে সামান্য দূরত্বের কারণে এই এলাকাটি অবকাশ-প্রিয় মানুষের কাছে হয়ে উঠেছে জনপ্রিয়।
 
যাবার পথটিও বেশ ছায়া ঢাকা গাছ দিয়ে ভর্তি। ছবি: শফিকুল ইসলাম।
 
কীভাবে: এখানে যেতে হলে প্রথমেই যেতে হবে মিরপুর-১ নম্বর। সেখান থেকে রিকশায় যেতে হবে মিরপুর বেড়িবাঁধ বটতলা। ভাড়া ৩০-৫০ টাকা। যদি ঘণ্টা হিসেবে রিকশায় ঘোরার ইচ্ছা থাকে তবে এখান থেকেই রিকশা চুক্তি করে নেয়া ভালো। ঘণ্টা হিসেবে নেবে ১০০ টাকা। দরাদরি করলে কমেই পেতে পারেন।
 
কী দেখবেন: রাজধানী এই ঢাকা শহরে আমরা যারা থাকি, খুবই ব্যস্ত সময় কাটে আমাদের। সপ্তাহে একদিনের বেশি ছুটি পাওয়াই মুশকিল। এই একদিনেই অনেক সাধ মেটাতে হয়। তাই যারা মিরপুরের কাছাকাছি থাকেন, রিকশায় ঘুরতে পছন্দ করেন বা নৌকা ভ্রমণ করতে চান; তাদের জন্য জায়গাটি মন্দ নয়। এছাড়া একইসঙ্গে বেশ কিছু অভিজ্ঞতা যারা নিতে চান; তারা যেতে পারেন মিরপুর-১ নম্বর বেড়িবাঁধে। ঢাকা শহরের অন্যসব এলাকা থেকেও প্রচুর মানুষ আসেন এখানে। মিরপুর বেড়িবাঁধে এলে হারিয়ে যেতে পারেন ট্রাফিক জ্যামমুক্ত হাইওয়েতে। দেখতে পাবেন দু’পাশে গাছের সারি, দিগন্ত বিস্তৃত খোলা প্রান্তর, দূরে সবুজ গ্রাম আর রুপালি পানির নদী।
 
এখানে আরও রয়েছে বিভিন্ন ভাসমান রেস্তোরাঁ এবং বিনোদন পার্ক। সেখানেও সময় কাটাতে পারেন নিরিবিলিতে। এছাড়াও রয়েছে অনেক পুরনো কিছু বটগাছ। অনেক নাটকেরও শুটিংও হয় এখানে। জায়গাটি বিশেষ করে রিকশায় ঘোরার জন্য অধিক উপযোগী। ঘণ্টা হিসেবে ঘুরতে পারেন রিকশায়। আর রিকশায় ঘুরতে না চাইলে ঘণ্টা হিসেবে নৌকায়ও ঘুরতে পারেন।
 
সতর্কতা: নিরাপত্তা ব্যবস্থা অতটা ভাল না হবার কারণে সন্ধ্যা হবার আগেই ফিরে আসা সবচেয়ে ভাল হবে।
 
প্রিয় ট্রাভেল/ সম্পাদনা ড. জিনিয়া রহমান।
 
আপনাদের মতামত জানাতে ই-মেইল করতে পারেন [email protected] এই ঠিকানায়।