ছবি সংগৃহীত

সম্ভাবনাময় ভৈরবের পাদুকাশিল্প- দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৫:২৫
আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৫:২৫

ভৈরবে একটি জুতা তৈরির দোকান। ফাইল ছবি

(প্রিয়.কম) দেশের অন্যতম পুরানো বাণিজ্য নগরী কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অনেকটা নীরবে-নিভৃতে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় অন্তত ১০ হাজার পাদুকা কারখানা। ভৈরবের এই সম্ভাবনাময় পাদুকাশিল্প দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখন বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। বাণিজ্যিক সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে ভৈরবের এ পাদুকাশিল্প। 

বৃহস্পতিবার দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত ‘সম্ভাবনাময় ভৈরবের পাদুকাশিল্প’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যসহ মালয়েশিয়ায় রফতানি করে আয় হচ্ছে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা। এ খাতকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে লাখো মানুষের কর্মসংস্থান। উৎপাদিত এসব পাদুকা পাইকারি দামে কিনতে প্রতিদিন ভিড় করেন রাজধানী ঢাকা, ময়মনসিংহ, নোয়াখালী, নরসিংদী, সিলেট, গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ব্যবসায়ীরা।

তৈরি করা এসব পাদুকার নামও রয়েছে হরেক। বন্দরনগরী ভৈরবে পাদুকাশিল্পের কারখানা যেন দিন দিন পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে। উৎপাদিত এসব পাদুকা বিক্রির জন্যই গড়ে উঠেছে পাঁচ শতাধিক পাইকারি দোকান। ভৈরব পৌর এলাকার কমলপুরসহ গজারিয়া, মানিকদী, কালিকাপ্রসাদ, শিমুলকান্দি, বাঁশগাড়ির ২০টি গ্রামে গড়ে উঠেছে এসব কারখানা।

এ শিল্প থেকে প্রতি বছর আয় হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। সড়কের পাশেই রয়েছে বিশালাকৃতির তিনতলা পাইকারি জুতার মার্কেট। নাম মিজান মার্কেট। একটু সামনেই রয়েছে আজিজ সুপার মার্কেট ও বশির মার্কেট। সরকারিভাবে একটু নজর দিলে বিদেশের বাজার দখলে নেওয়া যেন এখন সময়ের ব্যাপার।

পাদুকা মালিক সমিতির সম্পাদক মজিবুর রহমান জানান, ভৈরবে এখন পাদুকাশিল্পের সবচেয়ে বড় সমস্যা বিদেশি জুতা আমদানি। দেশের এ শিল্পকে বাঁচাতে হলে বিদেশি জুতা আমদানি বন্ধ করতে হবে। পাদুকাশিল্পকে বাঁচাতে কারখানার মালিকদের সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া প্রয়োজন।

প্রিয় সংবাদ/শিরিন/সোহেল