ছবি সংগৃহীত

শিল্পীরা এক হয়েছি এটাই বড় কথা: তানভীন সুইটি

কুদরত উল্লাহ
সহ-সম্পাদক, বিনোদন
প্রকাশিত: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১১:১০
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১১:১০

জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানভীন সুইটি। ছবি: সংগৃহীত

(প্রিয়.কম) ১৯৯৫ সালে মঞ্চ নাটকে ছোটখাটো বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করা সুইটি নাট্যজন আবদুল্লাহ আল মামুন এর চোখে পড়েন। ধীরে ধীরে অভিনয়ে সফলতা পেতে যাওয়া এ মেয়েটিকে নাট্যজন আবদুল্লাহ আল মামুন তার পরিচালিত 'স্পর্ধা' নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে মনোনীত করে সুইটিকে মঞ্চে নতুনরূপে আবির্ভূত করলেন। এরপর একে একে মঞ্চে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় নাটকে অভিনয় করেন তিনি। মঞ্চ থেকে টিভি নাটকের ঝলমলে পথে হাঁটতে শুরু করেন কোনো বাধা-বিপত্তি ছাড়াই। অগণিত নাটকের পাশাপাশি কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তানভীন সুইটি।

সুইটি অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্রটি ছিল বাংলা চলচ্চিত্রের সেরা নায়কদের মধ্যে অন্যতম নায়ক প্রয়াত সালমান শাহের বিপরীতে। 'স্বপ্নের পৃথিবী' নামের এ জনপ্রিয় ছবিতে তার অভিনয় চলচ্চিত্র বোদ্ধাদের প্রশংসা কুড়ায়। এরপর আবু সাইয়ীদের 'বাঁশি' ও কামরুজ্জামান কামুর 'দ্য ডিরেক্টর' ছবিতে অভিনয় করেন।

অভিনয়, মডেলিংয়ের পাশাপাশি সুইটি উপস্থাপনাতেও দেখিয়েছেন তার পারদর্শিতা। ২০০৯ সালে সেলিব্রেটি শো লিজান হার্বাল একই বৃন্তে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো উপস্থাপক হিসেবে দর্শকদের সামনে আসেন। এরপর থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান নিয়মিত উপস্থাপনা করছেন।

অভিনয়ের আগে মিডিয়ায় তিনি মডেল হিসেবে পরিচিতি পান। প্রথমে তিনি ফিলিপস কোম্পানির ক্যালেন্ডারে মডেল হন। টিভি পর্দায় প্রথম বিজ্ঞাপনের মডেল হন ডায়মন্ড ব্র্যান্ড তেলের। বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ করেছিলেন আফজাল হোসেন। এরপর একে একে বিজ্ঞাপনের প্রাঞ্জল উপস্থিতির মাধ্যমে দর্শক হৃদয়ে মডেল হিসেবেও সফলতা অর্জন করেন।

জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী আসন্ন অভিনয়শিল্পী সংঘ নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে দাড়িয়েছেন। তার এই নির্বাচন প্রস্তুতি ও সমসাময়িক ব্যস্ততা নিয়ে মুঠোফনে কথা প্রিয়.কম এর সঙ্গে।

প্রিয়.কম: কেমন আছেন আপনি?
তানভীন সুইটি: বেশি একটা ভালো না। এখন একটু অসুস্থ। কথা বলেন কোন সমস্যা নেই। আপনি কেমন আছেন?

প্রিয়.কম: ভালো আছি। বেশিক্ষণ সময় নিবো না। আপনি যেহেতু অসুস্থ?
তানভীন সুইটি: কিছু হবে না। বলেন কোন সমস্যা নেই।

প্রিয়.কম: আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জানতে চাচ্ছি। এই নির্বাচন নিয়ে আপনার অভিমত কি?
তানভীন সুইটি: দীর্ঘ সাত বছর পর এই সংঘটির নির্বাচন হচ্ছে। সবাই একত্রিত হয়েছি। এই একত্রিত হওয়ার ফলে ভালো একটি অভিজ্ঞতা হয়েছে। তা হলো যাদের সঙ্গে অনেকদিন এমনকি অনেক বছর দেখা হয়না। তাদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। যাদের সঙ্গে দেখা না করার কারণে অনেক সময় মনোমালিন্য হয়েছিল। সেটাও মিটে গিয়েছে। এই নির্বাচরে মাধ্যমে এখন আমি বলতে পারি অনেক শক্তিশালী হয়েছি।

প্রিয়.কম: তাহলে অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে একটা ভালো যোগাযোগ স্থাপন হলো?
তানভীন সুইটি: হ্যাঁ এটা বলা যেতে পারে। কারণ এভাবে আর কোথাও আমাদের দেখা হয় না। আমরা সবসময়ই কোন না কোন কারণে ব্যস্ত থাকি। বেশির ভাগ সময় থাকে শুটিং নয়তো পারিবারিক কাজ। শুটিং থাকলে যেটা বেশির ভাগ সময়ই হয় সেটা হলো একেক জেলায় একেক জন থাকে। তাই আমাদের মধ্যে মুখে পরিচিতিটা থাকলেও এই নির্বাচনের মতো দেখা হচ্ছে না।

প্রিয়.কম: নির্বাচন প্রস্তুতি কেমন নিলেন?
তানভীন সুইটি: প্রথমে অনেকটাই সহজ মনে হয়েছিল নিবার্চনটি। কিন্তু পদে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছে এটি কঠিন। তারপরও যারা অভিনয়শিল্পী সংঘের বড়-ছোট সদস্য রয়েছেন তাদেরকে ফোনের মাধ্যমে হোক আর দেখা করেই হোক, আমার ভোটটি আমি চাচ্ছি। প্রচারণাও করছি নিজের মতো করে। অনেক নতুনদের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছি।

প্রিয়.কম: নির্বাচনে দাঁড়িয়ে সাড়া কেমন পেলেন?
তানভীন সুইটি: সত্য কথা বলতে অনেক ভালোবাসা পেয়েছি আমার আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবা-বান্ধব, পরিচিত মানুষদের কাছ থেকে। আবার অনেক ভক্তরাও ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন এই ব্যাপারে। অনেকেই আমার ছবি দিবে ফেসবুকে নানা জায়গাতে নির্বাচনী প্রচারণা করছেন। তাদের প্রতি সবসময় আমার ভালোবাসা এবং আমি কৃতজ্ঞ।

প্রিয়.কম: ভোটারদের উদ্দেশ্যে কিছু বলার আছে?
তানভীন সুইটি: একটা কথাই বলব। নির্বাচন একটি ফলাফলের মাধ্যমে শেষ হবে। সেটা যাই হোক না কেন আমার কোন দুঃখ নেই। কারণ আমি যে এত মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি এবং আমাদের যে একটা মিলন মেলা তৈরী হলো। এতেই আমি অনেক খুশি। আর আমাকে যারা ভালোবাসেন তারা যদি আমাকে তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেন তাহলে আমিও আমার দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকব।

প্রিয়.কম: আপনার অভিনয় নিয়ে একটু বলবেন কি?
তানভীন সুইটি: অভিনয় তো আর এখন আগের মতো করি না। তবে গল্প যদি খুব বেশি ভালো লেগে যায় তাহলে হয়তো অভিনয় করা হয়। কয়েকদিন আগে অবশ্য একটি বিজ্ঞাপন করেছি।

প্রিয়.কম: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সময় দেওয়ার জন্য।
তানভীন সুইটি: আপনাকে ও প্রিয়.কমকেও অনেক ধন্যবাদ।

সম্পাদনা: শামীমা সীমা