
ছবি সংগৃহীত
২০৫০ সালে ২৩তম অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৫:১০
প্রতীকী ছবি
(প্রিয়.কম) বর্তমানে যে গতিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি এগোচ্ছে তা বজায় থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ এর আকার হবে বিশ্বে ২৮তম। এ ধারাবাহিকতায় চললে ২০৫০ সালে বিশ্বে ২৩তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপারসের (পিডব্লিউসি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আগামী ৩৪ বছরে কতটা শক্তিশালী হবে-তা নিয়ে করা এ গবেষণা প্রতিবেদন সম্প্রতি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০৫০ সাল নাগাদ ক্রয়ক্ষমতার সক্ষমতার (পিপিপি) ভিত্তিতে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) মালয়েশিয়াকে ছাড়িয়ে যাবে। ২০১৬-২০৫০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের মধ্যে থাকবে। আর ২০৩০ সালে বাংলাদেশের জিডিপির আকার হবে ১ হাজার ৩২৪ বিলিয়ন ডলার। ২০৫০ সালে গিয়ে যা দাঁড়াবে ৩ হাজার ৬৪ বিলিয়ন ডলারে।
একটি দেশের অর্থনীতি কতটা বড় ও শক্তিশালী-তা নির্ধারণে স্বীকৃত দু’টি উপায় আছে। একটি, ক্রয়ক্ষমতার সক্ষমতার (পিপিপি) ভিত্তিতে জিডিপির আকার। অন্যটি হলো বাজার বিনিময় হারের (এমইআর) ভিত্তিতে জিডিপির আকার।
‘সুদূর প্রসারী: ২০৫০ সাল নাগাদ কীভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে ক্ষমতার পরিবর্তন হবে?’ শীর্ষক ওই গবেষণায় জিডিপির দিক দিয়ে সবচেয়ে বড় ৩২টি দেশের অর্থনীতিকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
সে হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ৩২টি অর্থনীতির মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান হলো ৩১-এ। এই ৩২টি দেশের অর্থনীতি বিশ্বের মোট জিডিপির ৮৫ শতাংশের যোগান দেয়। ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বে বাংলাদেশ, ভারত ও ভিয়েতনামের জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের মধ্যে থাকবে। দ্রুত বর্ধনশীল কর্মক্ষম জনসংখ্যা, দেশীয় চাহিদা ও উৎপাদনে চাঙাভাব থাকায় প্রবৃদ্ধি অর্জনে এগিয়ে থাকবে এই তিন দেশ।
তবে শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে অধিক বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি প্রয়োজন বলে বলা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। এতে আরও বলা হয়, দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে অর্থনৈতিক সংস্কার, সামষ্টিক অর্থনীতি শক্তিশালীকরণ ও শিক্ষার প্রসারের দিকে নজর দিতে হবে এসব দেশকে।
আর ২০৪২ সাল নাগাদ বিশ্ব অর্থনীতি বর্তমানের দ্বিগুণ হবে। ২০১৬-২০৫০ সাল পর্যন্ত বিশ্বের গড় প্রবৃদ্ধি হবে ২ দশমিক ৬ শতাংশ। বিশ্বের মোট জিডিপির ৫০ শতাংশ ব্রাজিল, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া ও তুরস্কের দখল থাকবে।
প্রিয় সংবাদ/আলম/সোহেল