
ছবি সংগৃহীত
প্রজাপতির মাতামাতি আর প্রেমিক যুগলের ভালোবাসা
প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৯:১০
আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৯:১০
আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৯:১০
শ্যালো টেল বাটারফ্লাই। ছবি:সংগৃহীত।
(প্রিয়.কম): ছোটবেলায় কতই না ছুটে বেড়িয়েছি প্রজাপতির পিছু পিছু। কোন প্রজাপতি যদি ধরে ফেলেছি তো তার ডানার রঙে হাত রাঙিয়ে অবাক হয়ে ছেড়েও দিয়েছি। রঙিন এই বড় ডানার পতঙ্গটি যা কিনা পাখি নয় আবার পোকাও নয়, কিন্তু কি সুন্দর! উড়ে চলে হালকা চালে, খুব দ্রুত নয়, খুব উপরেও নয়! এত যার রঙের প্রাচুর্য তাকে কিনা ছুঁলেই রঙ রেখেই পালিয়ে যায়!
বড়বেলায় প্রজাপতিরা চলে গেছে টিভির পর্দার পেছনে। নানান রঙের প্রজাপতিদের ডানা মেলতে দেখছি ছবিতে, প্রামাণ্যচিত্রে। সামনাসামনি অল্প কয়েক জাতের প্রজাপতির সাথে দেখা হয় আমাদের। দেশীয় এই প্রজাপতিরা আকারে ছোট, রঙের বৈচিত্র্যও কম। পাহাড়ি এলাকায় দেখা মেলে বড় জাতের প্রজাপতির।
সবসময় টিভির পর্দায় দেখা বড় বড় বর্ণিল প্রজাপতিদের দেখা যদি মেলে এই ঢাকাতেই? কেমন হবে তাহলে? বেশি দূরে নয়, ভালোবাসা দিবসে ঘুরে আসুন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানেই দেখা মিলবে তাদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তৈরি করা হয়েছে প্রজাপতিদের এক পরিকল্পিত আবাস। এখানে তাদের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা ঘর এবং প্রজনন-কেন্দ্র। মনের আনন্দে ঘুরে বেড়ায় তারা, বসে গাছের এ ডালে সে ডালে। তাদের কারও রঙ নীল, কারও আকাশি, কারও সবুজ, নয়ত হলুদ, কমলা, কালো। নামগুলো কিন্তু বেশ জটিল সবার। টাইগার গ্রপ, শ্যালো টেল, গ্রাস ইয়েলো, ইয়েলো পেনসি, লাইম বাটার ফ্লাই ইত্যাদি। বিশ্বাস হতে চায় না আমাদের দেশেই এত সুন্দর প্রজাপতি রয়েছে।
দেশীয় ২০০ প্রজাতির প্রজাপতির মধ্যে ১১০ প্রজাতির সংগ্রহ আছে এখানে। এর মধ্যে আবার ৬১টি প্রজাতি নতুন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩শ’ একর জমির ওপর করা হয়েছে এই অভয়ারণ্য। জীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মনোয়ার হোসেন অনেক বছরের সাধনায় গড়ে তুলেছেন প্রজাপতিদের এই আবাস। প্রজাপতি গার্ডেনে যেমন প্রজাপতির প্রাকৃতিক প্রজনন হয়, তেমনি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মনোয়ার হোসেন গড়ে তুলেছেন কৃত্রিম প্রজনন-কেন্দ্র। সেই কেন্দ্রে জন্ম নেয়া প্রজাপতিও ছেড়ে দেয়া হয় বাগানে। এ পর্যন্ত দুটি প্রজাতির শতাধিক প্রজাপতির জন্ম হয়েছে প্রজনন-কেন্দ্রে। আর তা রক্ষা করছে বিলুপ্তপ্রায় অনেক প্রজাতিকে।
কীভাবে যাবেন:
ঢাকার গুলিস্তান, ফার্মগেইট, কল্যাণপুর কিংবা গাবতলী থেকে নবীনগর, মানিকগঞ্জগামী যে কোনো বাসে চড়ে সহজেই নেমে যেতে পারবেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর রিক্সা নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারেন। দুপুরের খাবার খেতে পারেন বটতলায়।
প্রিয় ট্রাভেল/ ড. জিনিয়া রহমান
প্রিয় ট্রাভেল/ ড. জিনিয়া রহমান
আপনাদের মতামত জানাতে ই-মেইল করতে পারেন [email protected] এই ঠিকানায়।