ছবি: সংগৃহীত

আড়ংয়ের বিরুদ্ধে ৫১ অভিযোগ

মিজানুর রহমান
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২০ জুলাই ২০১৭, ১৮:৩২
আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৭, ১৮:৩২

(প্রিয়.কম) বিশ্বের সবচেয়ে বড় এনজিও ব্র্যাকের মালিকানাধীন হস্ত ও কারুশিল্প ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আড়ং নিয়ে প্রিয়.কম-এ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর আরও বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন গ্রাহকরা। ‘আড়ংয়ে ১৪০ টাকার চাদর বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকায়!’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশ হয় ৬ জুলাই। এরপর আড়ং থেকে পণ্য ক্রয় করেন যারা, সেই গ্রাহকরা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জমিয়েছেন। 

কম মূল্যের পণ্য কয়েকগুণ দামে বিক্রি করা, রঙ উঠে যাওয়া, সেলাই ছুটে যাওয়াসহ মানহীন পন্য বিক্রির অভিযোগ করেন গ্রাহকরা। কয়েকশ’ অভিযোগের মধ্য থেকে বাছাইকৃত ৫১ জনের অভিযোগ তুলে ধরা হলো।

১. সোহেল রানা: আমিও আড়ংয়ের কাপড় ব্যবহার করি না, কারণ তাদের কাপড়ের রং উঠে যায়।

২. সাবা হক: আড়ংয়ের দাম মাত্রাতিরিক্ত বেশি, কিন্তু মানুষ আড়ং-কে পছন্দ করে। কারণ এক জায়গায় অনেক পণ্য পাওয়া যায়। যদিও বাইরে পাওয়া যায়, কিন্তু মানুষ লোকেশন না চেনার কারণে আড়ং থেকে নেয়। আমি নিজেও কিনি দেশে গেলে। পণ্য ভালই।

এবার আসি আড়ংয়ের সমস্যার জায়গায়। আড়ং গ্রামের মানুষদের থেকে নিজে ডিজাইন দিয়ে বানিয়ে নেয়। বিনিময়ে টাকা প্রদান করে, হয়তো ১৫০ টাকার মালামাল দিলো, আর ১০০ টাকা চার্জ দিয়ে একটা পণ্য নিলো। খরচ গেল ২৫০ টাকা। আড়ং বিক্রি করল ২০০০ টাকা। এতে আমার কোনো আপত্তি নেই, এটা তাদের পলিসি। কিনলে কিনুন, না কিনলে নাই। সমস্যা অন্য জায়গায়। আড়ং যখন গ্রামের মেলা থেকে পোশাক কিনে এনে বিক্রি করে সেখানে। এইখানে দুইভাবে প্রতারিত হচ্ছে মানুষ।

১. আড়ং-কে মানুষ জানে গ্রাম থেকে নিজের ডিজাইন দিয়ে বানিয়ে আনে, কিন্তু এখানে সে সরাসরি কিনে এনেছে। মানুষ প্রতারিত হয়েছে।

২. ১৫০ টাকার কাঁথা কিনে ৯৫০ টাকা লিখে রাখে। মানুষ ভাবে আড়ংয়ের ডিজাইন, কিনে নিয়ে যায়। যখন ভুলক্রমে আগের দোকানের প্রাইজ ট্যাগ থেকে যায়, মানুষ দেখে বুঝতে পারে, কীভাবে প্রতারিত হয়েছে। যেগুলোতে প্রাইজ ট্যাগ আগে খোলা হয়ে যায়, সেগুলো বোঝা যায় না।

আমি উত্তরা থেকে লুছনি (গরম হারি পাতিল ধরার জন্য) কিনি ১২০ টাকায় ৪টা। পরে দেখি বাইরে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আড়ংয়ের লেভেল/লোগো যেগুলোতে সেলাই করা থাকে না, ওইগুলোই এমন হয়।

৩. আলতাফ হোসেন: আড়ংয়ের এর মাল, ভেজালের জাল।

৪. সুমন কুমার কুন্ডু: আড়ং কাপড়ের মানের চেয়ে মূল্য অনেক অনেক বেশি নেয়, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আমি টি-শার্টগুলো কিনে চরম ঠকেছি। 

৫. নিলুফা ইয়াসমিন দোনা: আড়ং টোটালি একটি প্রতারণার ফাঁদ। মানুষ যে কেন এখান থেকে শপিং করে বুঝি না। 

৬. তাপস তালুকদার: আড়ং সম্পর্কে যা লেখা হয়েছে তা ১০০% সত্য। আমিও ১ বছর আগে ২০০০ টাকা দিয়ে একটি হাফ শার্ট কিনে মাত্র ১ ধোয়ার পরই সব জৌলুস শেষ। আর পরিনি। মহাপ্রতারক। এদের সবাই বয়কট করুন।

৭. নিবির রঞ্জন গুহ: আড়ং বুঝে গেছে বাঙালি আসলে ভেতরের জিনিস খায় না বাইরের চকচকে প্যাকেটটাই খায়...

৮. ফয়সাল বিন অনিক: আমার ফুপা এই ঈদে একটি শার্ট কিনছিল ২০০১ টাকায় আড়ং থেকে, কিন্তু বাসায় এনে দেখে শার্টটা তার বডিতে হয় না। ঈদের পরে যখন তিনি শার্টটা পরিবর্তন করতে গেলেন, তখন দেখলেন যে ওই শার্ট এর দাম মাত্র ৭০০ টাকা।

৯. সুস্মিতা সিমকি: আমি একটা ড্রেস কিনছিলাম ৩ হাজার ৮০০ টাকা দিয়ে। দ্বিতীয়বার পরার সময় ফেঁসে গেছিল। 

১০. নাদিয়া তাজরিয়ান ইসলাম: আমি ১২০০ টাকা দিয়ে একটা টাগা কিনেছি। একদিন পরেছি মাত্র এবং তারপর দেখি পুরা কাপড়ে সুতা সুতা কিছু একটা... এরপর ধুয়ে দিয়েছি হয়তো ঠিক হবে ভেবে কিন্তু হিতের বিপরীত হলো। পুরা কাপড়ে পবলিন হয়ে পরবার অযোগ্য হয়ে গেছে।

১১. স্বজন চৌধুরী: আমি আমার বড় ছেলে ও ছোট ছেলের জন্য এবার ঈদে গুলশান আড়ং থেকে পাঞ্জাবি পায়জামা কিনছিলাম। বড় ছেলে পাঞ্জাবিটা পরতে গেলে বাটনের কাছে ছিঁড়ে গেল। এটা হচ্ছে তাদের কোয়ালিটি। 

১২. অনন্যা অনু: আমার হাজবেন্ড গত বছরের পহেলা বৈশাখে সাড়ে ৪ হাজার টাকা দিয়ে আড়ং থেকে একটা পাঞ্জাবি কিনেছিল। সেই একদিনই পরার পর ড্রাই ওয়াশ করে রেখে দিয়েছিল। এ বছর আবার পরার সময় বের করে দেখি পুরো ত্যানা ত্যানা হয়ে গেছে, আর পরার যোগ্য নাই। পুরো সাড়ে ৪ হাজার টাকাই জলে। আমি অবাক যে মানুষ কেমনে এত ঠকায়...

১৩. মহসিন খান: এবার ঈদে আড়ং থেকে মেয়ের পোশাক কিনলাম। একদিন পরার পরই ছিঁড়ে গেছে। এই তো আড়ং।

১৪. মাসুম তালুকদার: আমি আজ থেকে চার বছর আগে কয়েকটা শার্ট কিনেছিলাম। মনে হয় তিন চারবার ধোয়া হয়েছে তারপর আর কোনো রং থাকে না। এরপর থেকে আমি আর আড়ংয়ের সামনেও যাই না।

১৫. মোহাম্মদ আলমগীর: ব্র্যাক-এর মাধ্যমে গরিব মানুষদের শোষণ করতেছে, আড়ংয়ের মাধ্যমে মধ্যবিত্তদের শোষণ করতেছে। তারা আন্তর্জাতিক সুশীল প্রতারক।

১৬. মোহোনা হোসেন ঐশি: আমিও একজন ভুক্তভোগী। আড়ং থেকে ৪৫৬০ টাকা+ ভ্যাট দিয়ে দুইটা ড্রেস কিনছি। জাস্ট দুই দিন পরছি। ভাবলাম ওয়াশ করে তুলে রাখব তারপর আবার কোনো অকেশানে পরব। বাট ব্যাড লাক। ধোয়ার পর ড্রেসগুলোর ১২টা বেজে গেল। সুতা থেকে রঙ উঠে ড্রেসটা রংধনু হয়ে গেল।

১৭. রাবেয়া বসরি কনা: আগে ভালো ছিল। এখন রঙ ওঠা, ত্যানা হওয়া আর ফেঁসে যাওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার!

১৮. সাইফুল ইসলাম মামুন: আমি আসাদগেট আড়ং থেকে ২০০০ টাকার মেরুন পাঞ্জাবি কিনেছিলাম। কিন্তু রঙ ওঠে ডিসকালার ছালা হয়েছে, যা ঈদের দিনও পরতে পারিনি। পরে নতুন আরেকটা কিনে ঈদ করছি। 

১৯. নুসরাত সিনথি: তারা খুবই নরমাল কোয়ালিটির কাপড় দিয়ে ড্রেস বানায় আর দাম দেয় আকাশ ছোঁয়া। 

২০. আবদুর রাজ্জাক: গেল ঈদে আড়ং থেকে ছেলে শখ করে একটা পাঞ্জাবি দিলো। ছেলেকে খুশি করার জন্য পাঞ্জাবির প্রসংশা করলেও গায়ে দিয়ে মনে হলো এর দাম পাঁচ হাজারের অধিক না হয়ে ৫০০-এর কম হওয়া উচিৎ ছিল।

২১. ফারহানা শিপন: আর থ্রি-পিসগুলো দেখলে কি এত দামি মনে হয়। এত দাম দিয়ে এনে কোনো পার্টিতেও পরা যায় না, ঘরেই পড়ার যোগ্য।

২২. দূরের যাত্রী জান্নাত: আড়ং শুনলে মানুষ কি যে মনে করে। আমাদের দেশে ব্র‍্যান্ড এখনও অত ভালোভাবে মান আনতে পারেনি। নামের ওপর চলে। এ ওর থেকে শুনে, ও আরেকজন থেকে শুনে। কিন্তু পণ্যের মান এখনও ১০০% নয়।  ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় আমি এরকম ছিঁড়া বা ফাটার সম্মুখীন হইনি। আমার এক কাজিন পাঞ্জাবি কিনেছিল আড়ং থেকে। অল্প দিনেই ফেড হয়ে গিয়েছিল। আমার বোন বেড কাভার কিনেছে। একই বেড কভারও আরেক জায়গায় দেখেছে। দাম ৩ ভাগের এক ভাগ। 

আড়ংয়ের কিছু জিনিসের দাম অনেক বেশি। মুনাফা করবে। কিন্তু তাই বলে আকাশ আর পাতাল দাম?

২৩. প্রত্যাশা সুমি: আড়ংয়ের ব্লকের শাড়ির সব ব্লক ওঠে গেছে।

২৪. ফারজানা চৌধুরী পার্লি: আমি মেয়ের ঈদের জামা কিনেছি এক ধোয়াতেই রঙ ওঠে একাকার।

২৫. কেএইচ জুলিয়াস: ভাইরে শখ করে একটা পাঞ্জাবি কিনতে গিয়েছিলাম, আড়ংয়ে দাম দেখে বের হলাম। পরে ৬০০০ হাজার টাকার পাঞ্জাবি কিনলাম ১৪০০ টাকায়।

২৬. নিটোল উর্মি: আমি আজকে (৮ জুলাই) খুব নরমাল একটা সুতার কাজের থ্রি-পিস কিনেছি। শুধু জামাটা পছন্দ হয়েছে তাই। কিন্তু দাম দিলাম ৫৭৩০ টাকা, যেটা কিছুতেই হতে পারে না। আরও অনেক ব্র্যান্ড আছে। কিন্তু আড়ংয়ের মতো প্রহসন আমি কোথাও দেখিনি। ভদ্রবেশি ডাকাত।

২৭. আঁখি আফরোজ: এবার ঈদে ৩৩০০ টাকায় সাদা এবং লালের কম্বিনেশনের একটা ড্রেস নিছি আড়ং থেকে। এক ধোয়াতেই লাল অংশ থেকে রঙ উঠে সাদা অংশে লেগে আমার ড্রেসটা পরার অযোগ্য হয়ে গেছে। 

২৮. গোলাপ হোসেন: গত বছর আমি একটা পাঞ্জাবি কিনেছিলাম ৫৫০০ টাকা দিয়ে। এই পাঞ্জাবি ৫ দিন পরেছি সেটা শেষ। চিন্তা করলাম গত বছর মনে হয় কপাল খারাপ ছিল এই বছর আবার নিলাম ৩৫০০ টাকা দিয়ে কিন্তু দুঃখের বিষয় যে ঈদের দিন সবেমাত্র পাঞ্জাবিটা পরতে গিয়ে পকেটের পাশ দিয়ে ছিঁড়ে গেল। কি করব, বউয়ের ভয়ে কোনোমতে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লাম, কারণ সে আমাকে না করছে আড়ং থেকে এই বছর পাঞ্জাবি না নিতে।

২৯. মুন জাহান: আমি রুপার সেট কিনছি। অন্য দোকানে দেখানোর পর বলল রুপা-ই নাই।

৩০. শরিফ হোসেন: আমার আড়ংয়ের ব্যাপারে অনেক কিছু বলার আছে। আমাদের এক কৃষিবিদ বড় ভাইয়ের নিকট জানলাম আড়ং একটা ১০০% ভাওতা প্রতিষ্ঠান। এরা ৫০০ টাকার মূল্যের জিনিসের গায়ে ৫০০০ টাকা লিখে ট্যাগ লাগিয়ে অহরহ বিক্রি করছে। আড়ং দুধ ঘন করার জন্য পচা ২ নম্বর গুঁড়া দুধ মেশানো হয়। 

৩১. মশিউর রহমান সুমন: এবার পহেলা বৈশাখে আড়ং থেকে শখ করে সবুজ সুতার কাজের সাদা পাঞ্জাবি কিনেছি। ওমা! প্রথম ধোয়াতেই সাদা পাঞ্জাবি সবুজ হয়ে গেল। 

৩২. রুনা ইয়াশ: আমি বাসার পিলো কাভার কিনছিলাম ৪০০ টাকা পার পিস। এক ধোয়াতেই ১২ টা বাজছে। 

৩৩. নয়ন আরমান: আমি একজন সিনিয়ার মার্চেন্ডাইজার। জব করি গার্মেন্টস সেক্টরে। আমি নিজেই ধরা খেয়েছিলাম দুই বছর আগে। তাই এখন আর আড়ংয়ের আশেপাশে যাই না। 

৩৪. তাইফুর খান: ভাই, আমি ১০ বছর আগে ১টা মেরুন কালারের পাঞ্জাবি কিনছি বিয়ের সময়। পাঞ্জাবিটা ধুইলে গরু জবাই করলে যেমন রক্ত বের হইত, তেমন রঙ বের হইত।

৩৫. মোহাম্মদ জাহাদুল আলম: আমার জন্য ফ্যামিলি থেকে একটা পাঞ্জাবি পাঠিয়েছিল ঈদের জন্য। ব্যবহারের পর বাসায় আমি নিজ হাতে ধুইতে গিয়ে নীল রঙয়ের পাঞ্জাবি এখন সবুজ রঙয়ে পরিবর্তন হয়ে গেছে।  দেশে আসলে সেটা এদের কাছে দেবো ভেবে যত্নসহকারে রেখে দিছি।

৩৬. তাসমিয়াহ তাসু: আড়ংয়ে সব জিনিস এক না, এটা সত্য, অনেক কিছুরই দাম বেশি এটাও সত্য। কিন্তু আগের চেয়ে মান অনেক খারাপ। আর জামা কাপড়ের আইটেমের মধ্যে আমার কখনোই আড়ং পছন্দ না। 

৩৭. ফাইজুল কবির চৌধুরী: সত্যি বলতে কি আড়ংয়ের কোন দ্রব্য সস্তায় বিক্রয় হয় না। কোয়ালিটি কন্ট্রোল করে ভালো জিনিসপত্র বিক্রয় করে এটা কিক। তবে গত ৭-৮ মাস যাবৎ কোয়ালিটি বিষয়েও বেশ কয়েক শত অনুযোগ আছে গ্রাহকদের।

৩৮. রিয়াজ উদ্দিন: গত বছর রাজধানীর সাইন্সল্যাবের সামনের আড়ংয়ের শো-রুম থকে একটি টি-শার্ট কিনি, মাত্র এক ধোয়ার পর ওইটার এমন অবস্থা হয়েছে যে ওইটা দিয়া শেষ প্রর্যন্ত পা মোছার কাজ করেছিলাম। 

তবে এই ঈদে ওদের ওনলাইন থেকে দুইটা টি-শার্ট আনিয়েছি এখন পর্যন্ত ভালোই আছে।

আড়ংয়ে প্রোডাক্ট অনুযায়ী দাম অন্তত ২গুণ বেশি এটা নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি। সুবিধা শুধু একটু আনকমন জিনিষ পাওয়া যায় এই।

৩৯. জসিম উদ্দিন: আমি একদিন আমার ওয়াইফসহ কিছু খাবার খেলাম আড়ংয়ে। খাবারের বিল আসল ৪৫০ টাকা, ভ্যাট ধরল ২৬৫ টাকা। এটা কি সরকারের চোখে পড়ে না?

৪০. মোহাম্মদ সালাউদ্দিন: গত বছরের জানুয়ারি মাসে আমার আম্মা আমেরিকা থেকে আসার পর আমার ফুফু, চাচি এবং কাজিনদের জন্য কিছু গিফট কিনে হালিশহরে অবস্থিত আড়ং থেকে। দুঃখের বিষয় এইটা যে, আমার কাজিনের সেলোয়ার কামিজটা মাত্র একদিন পরার পর দেখে ওর সেলোয়ারের সেলাই থেকে কাপড় পুরাই ছিঁড়ে গেছে। তাছাড়া আরও অনেক অভিযোগ মনে পুষে রাখছি যদি চান্স পেলে বলব। 

৪১. আরিফ পার্থ:  উত্তরা জসীমউদ্দিন আড়ং ব্রাঞ্চ থেকে একটা ওয়ালেট নিছিলাম ১১৫০ টাকা। ওয়ারেন্টি ছিল ৬ মাসের কিন্তু ২ মাস পর দেখি একদম ব্যবহারের অযোগ্য। কাছের মানুষ উপহার দিয়েছিল না হয় অনেক আগেই ফেলে দিতাম। আড়ং তার নামের অপব্যবহার করেই যাচ্ছে।

৪২. ইফতেখারুল আলম ইমন: দুইটা কুশনের কাভার যা ২০০ টাকার মেটারিয়ালও নাই, কিন্তু দাম নিয়েছে ১২৯০ টাকা। 

৪৩. শহিদুল করিম নয়ন: আমি প্রতিবছর সাধ্যের ভেতর একটা পাঞ্জাবি কিনি। ওদের জিনিসের দাম একটু বেশি হলেও কিন্তু অনেক ভালোভাবেই অনেকদিন পরা যায়। হ্যাঁ, তবে দামটা আরও অনেক কমানো দরকার। ওদের কিছু জিনিসের দাম পণ্যের গুনগত মানের চেয়ে বেশি দামি হয় যা আসলেই ডাকাতি মনে হয়। আমরা মধ্যবিত্তরা এসব জিনিস নেওয়ার কল্পনাও করতে পারি না। সব মিলিয়ে বলা যায় আড়ং আমার কাছে ভালোই লাগে। তবে আজকাল যে সব শুনছি আস্থা হারাচ্ছি আড়ংয়ের ওপর।

৪৪. রফিকুল আলম: আড়ং এখন শপিং সেন্টার নাই, রোবারিং (ডাকাতি) সেন্টার হয়ে গেছে। 

৪৫. স্নিগ্ধা ইসলাম: সেদিন খালামনি আড়ং থেকে ড্রেস নিয়ে আসছে। বাসায় আনার পর হঠাৎ খেয়াল করলেন যে ওটা তার জন্য এপ্রোপ্রিয়েট না। আমাকে বলল তুমি তো বাইরে যাও, তুমি নিয়ে নেও।

আমার ফ্রেন্ড আর রিলেটিভদের কেউই বিশ্বাস করতে পারল না যে এটা নতুন ড্রেস।

৪৬. স্বপ্ন চূড়া: আড়ংয়ে সব পণ্যের মান গুনগত নয় কিন্তু দাম সর্বদা মধ্যবিত্তদের নাগালের বাহিরে... এইটা সবাই জানি...

৪৭. সুমাইয়া আফরিন: আড়ং একদা আমাকে ৩৫০০ টাকায় তিন কালারের কামিজ পরিধান করার সুযোগ দিয়েছিল। উল্লেখ্য, খয়েরি কামিজ এক ধোয়ায় লাল, পরের ধোয়ায় কমলা হইছিল। 

৪৮. আবির হোসেন প্রান্ত: আড়ং মিল্কটা ১০০/৩০ নম্বর পাবে কিনা সন্দেহ আছে।

৪৯. ইমাম হোসাইন: এদের আরও অনেক জুলুমবাজি আর হঠকারিতা রয়েছে! আড়ং!!! ভাবখানা এমন যেন কোয়ালিটিতে নো কম্প্রোমাইজ! আসলে তারা আড়ং নামের ব্র‍্যান্ড ইমেজ দিয়ে চরম ভাবে ঠকাচ্ছে আমাদের!

৫০. মোহাম্মদ আজমীর: আড়ংয়ের পণ্য দাম বেশি হবার কারণ হলো 'VALUE ADDITION'.

কতটুকু Addition হয়েছে তা পণ্য হাতে নিয়ে খতিয়ে দেখলেই বুঝা যায়। এছাড়া কাপড়ের মানেরও পার্থক্য আছে।

৫১. ধ্রুব হোসেন: দুই হাজার টাকার নকশিকাঁথা ৭ হাজার ২০০ টাকা বিক্রি করে। 

 

প্রিয় সংবাদ/রিমন