কখনো কখনো শিশু প্রয়োজন ছাড়া শুধু মনোযোগ আকর্ষণের জন্যও কাঁদে। ছবি: সংগৃহীত।

শিশুর কান্নারও আছে ৫ উপকারিতা!

সাবেরা খাতুন
লেখক
প্রকাশিত: ১১ জুলাই ২০১৭, ১৩:২৩
আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৭, ১৩:২৩

(প্রিয়.কম) আপনি হয়তো অনেক সময়ই বুঝতে পারেন না যে, আপনার শিশু সন্তানটি কেন কাঁদছে!  বস্তুত কান্না হচ্ছে শিশুর ভাষা, যার দ্বারা বোঝা যায় যে আপনার শিশু সন্তানটি আপনাকে কিছু বলতে চাচ্ছে। বেশিরভাগ মানুষই মনে করে যে কান্না ভালো নয়। কিন্তু শিশুর ক্ষেত্রে এটি  উপকারী। কখনো কখনো শিশু প্রয়োজন ছাড়া শুধু মনোযোগ আকর্ষণের জন্যও কাঁদে। শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে কান্না শিশুর জন্য ভালো এবং এটি শিশুর সহজাত বিষয়। কান্না শিশুর জন্য কেন ভাল তা জেনে নিই চলুন।

১। প্রথম কান্নার গুরুত্ব

শিশুর প্রথম কান্না শোনার জন্য সবাই অপেক্ষা করে থাকে।  জন্মের পর প্রথম কান্নার ফলে শিশু শ্বাস গ্রহণ করতে পারে এবং ফুসফুস বাতাস গ্রহণের জন্য উন্মুক্ত হয়। যদিও অনেক পিতামাতাই মনে করে যে, কান্না শিশুর ফুসফুসকে শক্তিশালী হতে সাহায্য করে কিন্তু এটি শুধু শিশুর প্রথম কান্নার ক্ষেত্রেই সত্যি। তাই অন্য সময়ে শিশুর কান্নার কারণটি খুঁজে বের করা প্রয়োজন।

২। যোগাযোগে সাহায্য করে

শিশু যদি না কাঁদে তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন না শিশুর কোন কিছু প্রয়োজন আছে কিনা। সময়ের সাথে সাথে শিশুর কান্নার কারণ বুঝতে পারে শিশুর মা। সাধারণত ক্ষুধা লাগলে, ডায়াপার পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে, ঠান্ডা বা গরম অনুভব করলে অস্বস্তি হয় বলে মনোযোগ আকর্ষণের জন্য শিশু কাঁদে। এক্ষেত্রে কান্নাই শিশুর ভাষা যার মাধ্যমে সে আপনার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে।

৩। মানসিক সুস্থতা

আপনি যখন শিশুর দেখাশুনা করবেন বা তাকে শান্ত করানোর জন্য চেষ্টা করবেন তখন সে বুঝতে পারে যে, সে একা নয়। অনেকেই শিশুর কান্নাকে এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন শিশুকে  নিয়মানুবর্তী করার জন্য, কিন্তু জীবনের প্রাথমিক অবস্থায় নিয়মের চেয়ে শিশুর মনোযোগ বেশি প্রয়োজন। শিশুর প্রতি মনযোগী হলে শিশু নিরাপদ অনুভব করে। যে শিশু ভালোবাসা ও যত্নের মধ্যে বড় হয় সে শিশুর বিকাশ অন্যদের চেয়ে ভালো হয়। যদি সবসময় শিশুকে অবহেলা করা হয় তাহলে সে চুপ হয়ে যেতে পারে যা তার ভালো থাকার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। মূলত অস্বাভাবিক শান্ত শিশুদের মানসিক সমস্যাও তৈরি হতে পারে।

৪। পেশীকে প্রসারিত করে

কোন শিশুর কান্নার সময় যদি আপনি তাকে ভালোভাবে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন যে, এই সময় তার পেশী, বাহু এমনকি সমস্ত শরীরে স্পন্দন হয়। তাই কান্না করলে শিশুর ব্যায়াম হয় বলা যায়। কিন্তু তাই বলে শিশুকে অনেকক্ষণ যাবৎ কাঁদার জন্য ফেলে রাখবেন না। শিশু কোন শারীরিক সমস্যার জন্য কাঁদছে কিনা তা লক্ষ্য করুন।

৫। অপ্রয়োজনীয় আবেগকে ঢাকতে সাহায্য করে

কান্না অতিরিক্ত আবেগ দূর করত সাহায্য করে এমনকি শিশুর ক্ষেত্রেও। শিশুর ক্রোধ বুঝতে চেষ্টা করুন, তাহলে সেই সময় শিশুকে পাত্তা না দিয়ে কাঁদতে দেয়াই ঠিক হবে। শিশু সন্তানকে কাঁদতে দেখে আপনি আতংকিত হবেন না, কারণ তার আবেগকে বের হয়ে যেতে দেয়াই ভালো হবে তার  জন্য। কিছুটা বড় শিশুর ক্ষেত্রে সে কেন কাঁদছে এবং সে কী চায় তা জানার চেষ্টা করুন এবং তার চাওয়াটি যে  ঠিক নয় তা বোঝানোর জন্য তার সাথে কথা বলুন। এতে তার ক্রোধ কমবে এবং তার আবেগের ভারসাম্য তৈরি হবে।

সূত্র: দ্যা হেলথ সাইট

সম্পাদনা: কে এন দেয়া