কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডস। ছবি: সংগৃহীত

তবে কি বিশ্বকাপ শেষেই বিদায় ঘণ্টা বাজতে চলেছে স্টিভ রোডসের?

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২৫ জুন ২০১৯, ১৫:১০
আপডেট: ২৫ জুন ২০১৯, ১৫:১০

(প্রিয়.কম) ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১২তম আসরে পারফরম্যান্স দিয়ে ক্রিকেট বিশ্বের মন জয় করছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। ক্রিকেটার-অধিনায়ক থেকে শুরু করে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন কোচিং স্টাফরাও। এমন সময় শোনা যাচ্ছে, চলমান বিশ্বকাপ শেষেই বিদায় ঘণ্টা বাজতে চলেছে প্রধান কোচ স্টিভ রোডসের।

বাংলাদেশের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদনে অনুযায়ী, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ ছাড়তে হতে পারে রোডসের।

কারণ হিসেবে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, চুপচাপ স্বভাবের মানুষ হওয়ায় ক্রিকেটারদের ওপর খুব একটা কর্তৃত্ব গড়ে তুলতে পারেননি। এমনকি দলের সব খেলোয়াড়ও নাকি তাকে প্রাপ্য সম্মান দেয় না বা মান্য করে না। শুধু তাই নয়, এই ইংলিশম্যানের নেতৃত্বগুণ নিয়েও অভিযোগ আছে।

টিম মিটিংয়ে খেলোয়াড়দের গেমপ্ল্যান বুঝিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে নাকি বরাবরই ব্যর্থতার প্রমাণ দিয়েছেন রোডস। যেই কাজটা প্রধান কোচের করার কথা, সেই গেমপ্ল্যান বুঝানোর কাজটা এখন করে থাকেন কম্পিউটার বিশ্লেষক শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখর। ম্যাচ চলাকালীন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে মাঠের ক্রিকেটারদের কাছে প্রয়োজনীয় বার্তা পাঠানোর ব্যাপারেও দুর্বলতা রয়েছে রোডসের। যার জেরে চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই তার চাকরিচ্যুত হওয়ার গুঞ্জন উঠেছে।

বিসিবি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে জাতীয় দলের কিছু খেলোয়াড়ও কোচের এইসব সীমাবদ্ধতা নিয়ে অভিযোগ করেছেন। তাই কোচের ব্যাপারে নতুন করে ভাবতে বসেছে বিসিবি। এই গুঞ্জন হয়তো গিয়েছে রোডসের কানেও। তাইতো ২৩ জুন, রবিবার সংবাদ সম্মেলনে এসে সাংবাদিকদেরকে বলেছিলেন, ‘আমাকে আর ছয় মাস রাখলে, আমি বাংলাটা আরও ভালোভাবে শিখে ফেলতাম।’

প্রথম আলোর সেই সংবাদের ছবি। 

প্রথম আলো পত্রিকায় খবরটি প্রকাশের পর আজ দিনভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে চলছে সমালোচনা। ক্রিকেট সমর্থকদের মতে, বিশ্বকাপ চলাকালীন এমন খবর কেন প্রকাশ করে গণমাধ্যম। শুধু তাই নয়, প্রশ্ন উঠেছে এই সব সংবাদের সত্যতাই বা কী, আর সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয় না কেন প্রতিবেদনে?

২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর চান্দিকা হাতুরুসিংহের হুট করে করা পদত্যাগের পর আট মাস কোচ ছাড়াই কেটেছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের। ওই সময় বাংলাদেশ দল তিনটি সিরিজ খেলেছে ভারপ্রাপ্ত কোচ কোর্টনি ওয়ালশের অধীনে। এ সময় বিসিবি কোনোভাবেই মেলাতে পারছিল না নতুন কাউকে।

এমন অবস্থায় বিসিবি স্বরণাপন্ন হয় ভারতের সাবেক কোচ গ্যারি কারেস্টেনের। তার পরামর্শেই স্টিভস রোডসকে নিয়োগ দেওয়া হয়। মাসে ২৩ হাজার ডলার বেতনে ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত তার সাথে চুক্তি করছিল দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

প্রিয় খেলা/সৌরভ/আশরাফ