কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

টেলিযোগাযোগ স্টাফ কলেজে ৬৮তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ছবি: সংগৃহীত

‘কর্মজীবনে পরিবর্তিত প্রযুক্তির সাথে খাপ খাওয়াতে না পারলে টিকে থাকা দুষ্কর’

রাকিবুল হাসান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২ এপ্রিল ২০১৯, ১৪:৩১
আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৯, ১৪:৩১

(প্রিয়.কম) প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। কর্মজীবনে এ পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেদের খাপ খাওয়াতে না পারলে টিকে থাকা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

১ এপ্রিল, সোমবার রাতে টেলিযোগাযোগ স্টাফ কলেজে ৬৮তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘প্রযুক্তির অভাবনীয় অগ্রগতির ফলে আগামী দিনের শিক্ষাব্যবস্থা কিংবা জ্ঞান অর্জন অথবা প্রশিক্ষণ ক্লাস রুমে সীমিত থাকবে না। রূপান্তরিত পৃথিবীতে প্রযুক্তির প্রয়োগ জনগণের কাছে পৌঁছানোই হবে প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রযুক্তিতে পরিবর্তন অনিবার্য, কর্মজীবনে এ পরিবর্তনের সাথে নিজেদের খাপ খাওয়াতে না পারলে টিকে থাকা যাবে না।’

প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নবীনদেরকে সামনের কর্মজীবনের জন্য নিজেদের তৈরি করতে এবং প্রযুক্তি প্রয়োগে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সামনের যুগটা মেধার ও জ্ঞানের। নিজেদের জীবনের চ্যালেঞ্জ নিজেদেরকেই নিতে হবে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জ্ঞানভাণ্ডার ইন্টারনেট। জ্ঞানের জন্য যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করবে না, পাঁচ বছর পর ব্যর্থতার দায় তাদের নিজেদেরকেই বহন করতে হবে।’

মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, ‘জনগণের দোরগোড়ায় ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। দেশে ২৭৬০টি সেবা ডিজিটাল করা দরকার। এর মধ্যে ৯৬০টি সেবা জনগণের কাছে পৌঁছানো প্রয়োজন। স্মার্টফোনেই জনগণ ঘরে বসে এসব সেবা পাবেন। হাতের স্মার্টফোন দিয়েই আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে টাইপের কাজ করা যাবে, বাংলায় কথা বললে বিদেশি শ্রোতারা তা কনভার্ট করে নিজ ভাষায় শুনতে পাবেন। ভাষার ক্ষেত্রে আমরা এই জায়গায় পৌঁছানোর প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আইওটি ডিভাইস ব্যবহার করে আমাদের ছেলে-মেয়েরা মাছ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। এই পদ্ধতিতে খাদ্যের চাহিদা নিরূপণ করার মাধ্যমে এতে খাদ্যের বিশাল অপচয় কমছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘টুজি, থ্রিজি ও ফোরজি প্রযুক্তি চালুর ক্ষেত্রে বিশ্বে অন্য দেশ থেকে বাংলাদেশ পিছিয়ে ছিল। কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশ যেখানে ফাইভজি চালু করার চিন্তাই করেনি, সেখানে বাংলাদেশ ফাইভজির সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। ফাইভজি চালুর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এক দিনও পিছিয়ে যাবে না। ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ফাইভজি চালু করা সম্ভব হবে।’

মোস্তাফা জব্বার বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে অংশ্রগ্রহণকারী নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘পাঁচ বছরের ভেতর যদি ডিজিটাল সরকার চালানোর যোগ্যতা আপনারা অর্জন করতে না পারেন, তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতি সামলানো আপনাদের জন্যই কঠিন হবে।’

প্রিয় প্রযুক্তি/আজাদ চৌধুরী