ছবিটি প্রতীকী, ইন্টারনেট হতে সংগৃহীত।

অন্যের চোখে নিজেকে প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী দেখাতে অনুসরণ করুন ২০টি কৌশল

রুমানা বৈশাখী
বিভাগীয় প্রধান (প্রিয় লাইফ)
প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০১৯, ১৫:৩৪
আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৯, ১৫:৩৪

(প্রিয়.কম) আত্মবিশ্বাস এমন একটি ব্যাপার যা ফুটে ওঠে আমাদের বাহ্যিক আচরণে আর এই ব্যাপারটি দিয়েই পুরো দুনিয়া আমাদেরকে বিচার করে। আপনি নিজের মনের মাঝে যতটাই আত্মবিশ্বাসী হয়ে থাকুন না কেন, আচার-আচরণে তা প্রমাণ করতে না পারলে কোনো লাভ নেই। একজন আত্মবিশ্বাসী মানুষ সমাজের সব ক্ষেত্রেই সমাদৃত, সকলেই তাকে অনুকরণ ও অনুসরণ করেন।

আপনিও হয়ে উঠতে চান অনুসরণীয় একজন ব্যক্তিত্ব? তাহলে চর্চা করুন এই ২০টি টিপস। এগুলোর চর্চা আপনাকে রাতারাতি আত্মবিশ্বাসী দেখাতে সাহায্য করবে, অন্যের বদলে দেবে আপনার সম্পুর্ন ইমেজ। জেনে নিন কী করবেন।

১। পোশাক-পরিচ্ছদে স্মার্ট হয়ে উঠুন প্রথমেই। সর্বদা পরিপাটি থাকুন। নিজের ওপরে বিশ্বাস বেড়ে যাবে বহুগুণে।

২। নিজের চেহারায় ফুটিয়ে তুলুন আত্মবিশ্বাস। অন্যের চোখে চোখ রেখে কথা বলুন, পরিমিত হাসুন। চেহারায় কোনো নার্ভাসনেস ফুটে উঠতে দেবেন না।

৩। কথা বলুন খোলা কণ্ঠে, কথা বলুন স্পষ্ট উচ্চারণে। চাপা স্বরে বা মিনমিনে আওয়াজে কথা বলা ব্যক্তিত্বহীনতার লক্ষণ।

৪। মেরুদণ্ড সোজা করে হাঁটুন ও সোজা করে বসুন। কুঁজো হয়ে মাথা নিচু করে হাঁটবেন না।

৫। নার্ভাস হয়ে পড়লে অনেকেই বিচিত্র সব আচরণ করেন। যেমন- অনেকে হাত কচলান, অনেকে কাগজ বা কাপড় মোড়ান, অনেকে দাঁত দিয়ে নখ কাটেন ইত্যাদি। খুঁজে বের করুন আপনার সেই অভ্যাসটি কী এবং তা পরিত্যাগ করুন।

৬। হতে পারে, হয়ত, মনে হয়, বোধহয়- ইত্যাদি শব্দের ব্যবহার পরিহার করুন। যা বলবেন তা শতভাগ নিশ্চিত হয়েই বলুন।

৭। নিজের ছোটবেলাইয় ঠাট্টা-মশকরার শিকার হয়ে থাকলে নিজের মনের মাঝেই সেগুলোর মোকাবেলা করুন। বাস্তবের সাথে মিলিয়ে দেখুন যে অকারণেই বুলিংয়ের শিকার হয়েছিলেন।

৮। একইসাথে খুঁজে বের করুন নিজের সমস্ত ভালো দিকগুলোকে এবং সেগুলোর চর্চা করুন।

৯। আপনার আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরাতে চায় এমন সকল মানুষের সঙ্গ পরিত্যাগ করুন।

১০। অন্যদিকে আপনাকে উৎসাহ দেয় বা আপনার প্রশংসা করে এমন মানুষদের সঙ্গ উপভোগ করুন। তাদের সাথে নিজের পজেটিভ দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করুন।

১১। কোনো ভনিতা করবেন না। আপনি যেমন, ঠিক সেভাবেই নিজেকে উপস্থাপন করুন। নিজের সম্পর্কে বানিয়ে বলে বা মিথ্যা বলে কখনো অন্যের প্রিয় হওয়া যায় না।

১২। নিজের মতামত দিন চিন্তাভাবনা করে। আর যখন দেবেন, মতামতে অটল থাকুন। ক্ষণে ক্ষণে মত বদলাবেন না।

১৩। নিজের কষ্টগুলোকে শক্তিতে পরিণত করুন, উল্টো বিষণ্ণতায় ডুবে যাবেন না।

১৪। নিজের ভুল মেনে নিতে শিখুন, নিজের ত্রুটি নিয়ে কথা বলতে ও ঠাট্টা করতেও শিখুন। কারণ ভুল করা দোষের কিছু নয়। সকলেই করে।

১৫। লিঙ্গভেদ নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। কেবল লিঙ্গভেদের কারণে অন্যের সামনে মাথা নিচু করে থাকবেন না বা অন্যকে বেশি গুরুত্ব দেবেন না।

১৬। নিজের শরীর ও স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখুন। শরীর ভালো থাকলে দেখতেও আকর্ষণীয় লাগে।

১৭। অন্যের মনযোগের কেন্দ্রবিন্দু হতে ভয় পাবেন না।

১৮। অহেতুক লজ্জা ও দোষী মনোভাব পুষে রাখবেন না মনে।

১৯। নিজের শরীর বা চেহারা নিয়ে লজ্জিত হবেন না। প্রতিটি মানুষ তার নিজের মতো করে সুন্দর, এ নিয়ে লজ্জা পাবার কিছু নেই।

২০। নিজের পারিবারিক পরিচয়, ক্যারিয়ার, শিক্ষা বা অন্য কোনো কমতি নিয়েও কখনো লজ্জিত হবেন না। কমতি আমাদের সকলেরই আছে। বিখ্যাত মানুষদের কমতিগুলোর দিকে তাকান। কমতি সত্ত্বেও তারা কতটা সফল সেটাই ভাবুন।

সবচাইতে শেষ কথা, নিজেকে ভালবাসুন। গভীরভাবে ভালবাসুন। কেবল তখনই আপনি সত্যিকারের অর্থে একজন আত্মবিশ্বাসী মানুষ হয়ে উঠতে পারবেন।

প্রিয় লাইফ/আশরাফ