কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মাইগ্রেনের মাথাব্যথা হয় অসহনীয়। ছবি: প্রিয়.কম

মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হওয়ার ৬টি বিপদ সংকেত

কে এন দেয়া
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:২৮
আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:২৮

(প্রিয়.কম) মাথাব্যথা একবারেই সাধারণ একটি অসুস্থতা। ঘুম না হলে, ক্ষুধা বা পিপাসায়, রোগাক্রান্ত হলে, শারীরিক বা মানসিক ধকলে মাথাব্যথা হবে বলে ধরেই নেওয়া যায়। কিন্তু সাধারণ মাথাব্যথা আর মাইগ্রেন এক নয়। মাইগ্রেনের কারণে প্রচন্ড ব্যথা হওয়ার পাশাপাশি একজন মানুষ শব্দ, আলো, তাপের প্রতি খুবই সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। স্বাভাবিক কাজগুলো করাই তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে।

মাইগ্রেন বেশিরভাগ সময়েই চারটি ধাপে আসে। প্রোডোম, যা ২৪-৭২ ঘণ্টা থাকে, এতে মাথা ব্যথা না হলেও বিভিন্ন ধরনের অস্বস্তি দেখা দেয়। এর পরের ধাপ হলো অরা, যখন চোখের সামনে আলোর ঝলকানি দেখা যায়। এরপর আসে মাইগ্রেনের মাথাব্যথার পর্ব। সবশেষের ধাপটি হলো পোস্টডোম, যে সময়ে মাইগ্রেনের কিছুটা রেশ রয়ে যায়।

মাইগ্রেন মূলত বংশগত কারণে হতে পারে। কখন মাইগ্রেন হবে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন। বাইরের কোনো কারণ যেমন তাপমাত্রার ওঠানামা, ভ্রমণ এসব কারণে যেমন মাইগ্রেন হতে পারে, তেমনি স্ট্রেস বা পিরিয়ডের কারণে হরমোনের ওঠানামা থেকেও তা দেখা দিতে পারে। এসব সময়ে সতর্ক থাকুন। এ ছাড়া মাইগ্রেনের মাথাব্যথা শুরুর দুয়েকদিন আগে থেকেই প্রোডোম শুরু হয়, তাই বোঝা যায় মাইগ্রেন আসছে। তাই প্রোডোমের কিছু উপসর্গ জেনে রাখলে সতর্ক হতে পারেন আপনি

১) কিছু কিছু খাবারের প্রতি ঝোঁক

প্রোডোম পর্যায়ে হাই তোলা, মেজাজের ওঠানামা, বমি ভাব, আলো ও শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা ও  ঘাড়ে ব্যথা দেখা দিতে পারে। এ সময়ে অনেকেরই মিষ্টি খাবার বা চকলেট খেতে ইচ্ছে করে। এরপর মাথাব্যথা হলে তারা বলেন, মিষ্টি খেয়ে মাথাব্যথা হয়েছে। আসলে কিন্তু মাইগ্রেনের আগে মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করে বলেই এমনটা হয়। এখানে মিষ্টির কোনো দোষ নেই।

২) ঘুম ঘুম ভাব

রাত্রে ঘুম ভালো হোক আর না হোক, মাইগ্রেনের কারণে অনেকের দিনে ক্লান্তি ভরে থাকে চোখেমুখে, সারাদিন ঘুম পেতে থাকে। তা মাইগ্রেনের আগে দেখা দিতে পারে।

৩) ঘাড়ে ব্যথা

ঘাড়ে ব্যথা হওয়াটা মাইগ্রেনের আগে দেখা দেওয়া খুব স্পষ্ট একটি উপসর্গ। মস্তিষ্কের নিচের অংশ ও মেরুদণ্ডের ওপরের অংশের মাঝে নার্ভ ইমপালস চলাচল করার জন্য মাইগ্রেনের আগে তা দেখা যায়।

৪) পেটের সমস্যা

যাদের বমি বমি ভাব হয়, তাদের এই অনুভূতি পেট থেকে নয় বরং মস্তিষ্ক থেকে আসে। এ ছাড়া ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বা আইবিএস যাদের আছে, তাদের যখন তখন কোনো কারণ ছাড়াই ডায়ারিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। আইবিএস এবং মাইগ্রেন একে অপরের সাথে জেনেটিক দিক দিয়েই জড়িত। এ কারণে মাইগ্রেনের ব্যথা ওঠার আগে পেটের সমস্যা হতে পারে।

৫) আলোতে অস্বস্তি

চোখের সমস্যা থাকলে বেশি আলোতে অস্বস্তি হয় বটে, কিন্তু তা প্রোডোমের একটি বড় লক্ষণ। মস্তিষ্কের অক্সিপিটাল কর্টেক্স অঞ্চলে এ সময়ে সক্রিয়তা বেশি থাকে, এ কারণেই এ সমস্যাটি হতে পারে। মাইগ্রেনের রোগীর তীব্র প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম আলোয় যেতে সমস্যা হতে পারে।

৬) স্ট্রোকের মতো লক্ষণ

প্রোডোম ধাপে নয়, বরং অরা ধাপে দেখা দিতে পারে স্ট্রোকের মতো লক্ষণ, যেমন শরীরের এক পাশ অবশ মনে হওয়া, চোখের সামনে ফোঁটা ফোঁটা দেখা, কথা বলতে সমস্যা হওয়া ও মাথা ঘোরা ইত্যাদি।

সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট

প্রিয় লাইফ/আর বি/রুহুল