বুকে ব্যথা মানেই হার্ট অ্যাটাক নয়। ছবি: সংগৃহীত
মাঝে মাঝেই বুকে ব্যথা হয় আপনার?
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:৪১
(প্রিয়.কম) কোনো কারণ ছাড়াই কখনো কি বুকে ব্যথা হয় আপনার? হুট করে তীব্র একটা ব্যথা দেখা দিলেই তাকে হার্ট অ্যাটাক মনে করবেন না। তা প্রিকর্ডিয়াল ক্যাচ সিনড্রোম (পিসিএস) নামের একটি সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। ব্যথাটা বুকে হলেও তা খুব একটি ক্ষতিকর নয়।
হার্ট অ্যাটাক ও পিসিএসের ব্যথা আলাদা। হার্ট অ্যাটাকের ব্যথাটা ছড়িয়ে পড়ে, কাঁধে এমনকি হাতেও ব্যথা হয়। কিন্তু পিসিএসের ব্যথা শুধু বুকেই সীমাবদ্ধ থাকে। হার্ট অ্যাটাক হলে প্রচন্ড ঘাম দেখা দেয়, বমি হয়। পিসিএসের ক্ষেত্রে সেটাও হয় না। বরং বুকের সামনে বা পাশের দিকে এক বা দুই আঙ্গুল এলাকা জুড়ে ব্যথা হয়। এ কারণেই ব্যথাটাকে বলে হয় প্রিকর্ডিয়াল, অর্থাৎ ‘হৃৎপিণ্ডের সামনে’।
স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস নিলে ব্যাথাটি বাড়তে দেখা যায়। সাবধানে ও অগভীর নিঃশ্বাস নিতে থাকলে ব্যথা কমে যায়। ব্যথাটি যেমন দ্রুত আসে, তেমন দ্রুতই চলে যায়। ৩০ সেকেন্ড থেকে ৩ মিনিট স্থায়ী হতে পারে এই ব্যথা। ব্যথা ছাড়া অন্য কোনো উপসর্গ সাধারণত দেখা যায় না। অনেক সময়ে কারো কারো অ্যাংজাইটি অ্যাটাক হতে পারে ও নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হওয়ায় মাথা ঘুরতে পারে।
অনেকেই এই ব্যথাকে হার্ট অ্যাটাক বলে ভুল করতে পারেন। আসলে কিন্তু তা ক্ষতিকর নয়। বয়ঃসন্ধিকালে ও এর পরের কয়েক বছরে এই ব্যথা দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বেশি। এছাড়া শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের মাঝেও তা কখনো কখনো দেখা যায়।
ঠিক কী কারণে ব্যথাটি দেখা দেয়, তা জানা যায়নি। তবে চেস্ট ক্যাভিটির ইনার লাইনিং (প্লুরা) এর স্নায়ুগুলোতে সাময়িক অস্বস্তি হলে তা দেখা দেয়। হৃৎপিণ্ড বা ফুসফুসে কোন সমস্যার সাথে এই ব্যথার সম্পর্ক নেই।
পিসিএস ক্ষতিকর না হলেও তা বেশ যন্ত্রণাদায়ক। এর কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ব্যথার ঝুঁকি বাড়ে, এসব পরিস্থিতি এড়িয়ে চলতে হবে। পিসিএস তখনই দেখা দেয় যখন মানুষটি বিশ্রামে থাকে (কিন্তু ঘুমন্ত নয়)। আর মানুষটি কুঁজো হয়ে বা উবু হয়ে বসে থাকলে বা বসার অবস্থান চট করে পাল্টালে ব্যথাটি দেখা দিতে পারে। তাই পিঠ সোজা করে বসার অভ্যাস করলে ব্যথাটি থেকে মুক্ত থাকা যায়। আর বয়ঃসন্ধিকালের পর বয়স বাড়ার সাথে সাথে ব্যথাটি দেখা দেওয়া কমে যায়।
সূত্র: আইএফএলসায়েন্স
প্রিয় লাইফ/ আর বি