বিটকে সুপারফুডের আখ্যা দেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত
৪টি উপায়ে তৈরি করুন বিটের মজাদার জুস!
আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:২৮
(প্রিয়.কম) ওজন কমানোর উদ্দেশ্যে অনেক কিছুই করি আমরা। তেমন কোনো পরিশ্রম না করেই ওজন কমানোর আকর্ষণটা এড়াতে পারে না কেউই। কিন্তু চট করে ওজন কমানোর ডায়েটগুলো প্রথম কিছুদিন কাজ করলেও আবার ওজন বাড়িয়ে দেয় এমনকি আমাদের অসুস্থ করে ফেলে। এমন পরিস্থিতি এড়াতে চাইলে স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েই আপনাকে ওজন কমাতে হবে। এক্ষেত্রে ভালো একটি খাবার হলো বিটরুট। একে প্রায়ই সুপারফুড বলে আখ্যা দেওয়া হয়। কারণ তা খুবই পুষ্টিকর। প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেলসের পাশাপাশি এতে অনেকটা ফাইবারও থাকে, ফলে তা অনেকটা সময় পেট ভরা রাখে ও ওজন কমাতে কাজে আসে। আর এতে ক্যালোরিও থাকে কম। ১০০ মিলি বিটের জুসে থাকে মাত্র ৩৫ ক্যালোরি।
দেখে নিন বিটের জুস তৈরি করার ৪টি উপায়-
১) গাজর ও বিটের জুস
গাজরে সলিউবল ও ইনসলিউবল- দুই ধরনের ফাইবার বা খাদ্য আঁশ থাকে। এগুলো হজম হতে দেরি হয় ও বেশি সময় পেট ভরা রাখে। তাই বিটের জুসে গাজর যোগ করতে পারেন।
- ২ কাপ বিট
- ২ কাপ গাজর
- আধা কাপ পানি
- ৫ টেবিল চামচ লেবুর রস
- এক চিমটি লবণ
- কয়েকটা পুদিনা পাতা
বিট, গাজর ও পুদিনা পাতা একসাথে ব্লেন্ড করে নিন। এতে পানি, লেবুর রস ও লবণ নেড়ে মিশিয়ে নিন।
২) আপেল ও বিটের জুস
আপেল ফলটি মিষ্টি হলেও তাতে খুবই কম ক্যালোরি থাকে। তাই স্বাদ বাড়াতে বিটের জুসে একে যোগ করতে পারেন।
- ২ কাপ বিট
- ১ কাপ আপেল
- দারুচিনি গুঁড়ো
- লবণ ও গোলমরিচ গুঁড়ো
সব উপকরণ একসাথে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) ডালিম ও বিটের জুস
ডালিমের গুণ হলো, এতে আছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ফলটিতে বি কমপ্লেক্স ভিটামিন থাকার কারণে তা হজমে সাহায্য করে। তাতে ফাইবারও থাকে অনেকটা। এছাড়া ফলটি মেটাবলিজম বাড়ায় ও ফ্যাট বার্ন করতে কাজে আসে।
- ২ কাপ বিট
- ১ কাপ ডালিমের বীজ
- ৩ টেবিল চামচ লেবুর রস
- বিটলবণ
বিট ও ডালিম ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। এতে লেবুর রস ও বিটলবণ দিয়ে নেড়ে নিন।
৪) টমেটো ও বিটের জুস
আপেলের মতো টমেটোতেও অনেক কম ক্যালোরি থাকে। এতে পানির পরিমাণ থাকে বেশি।
- ২ কাপ বিট
- দেড় কাপ টমেটো ৩ টেবিল চামচ লেবুর রস
- পুদিনা পাতা
- লবণ
বিট, টমেটো ও পুদিনা পাতা একসাথে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর লেবুর রস ও লবণ দিয়ে নেড়ে নিন।
বিটের জুস নিয়মিত খাওয়া খুবই স্বাস্থ্যকর। তবে আপনার মল ও মূত্রের রঙ একটু পাল্টে যেতে পারে, এতে চিন্তার কিছু নেই। যাদের বাতের সমস্যা ও কিডনির সমস্যা আছে তারা এই জুস পান করার আগে ডাক্তারের সাথে কথা বলে নিন।
সূত্র: এনডিটিভি
প্রিয় লাইফ/ আর বি