কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

একটি ভালো সেলফির জন্য মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিতেও দ্বিধা করে না এখন। ছবি: সংগৃহীত

সেলফি তুলতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটলে ইনস্যুরেন্স ক্লেইম পাওয়া যায় কি?

আশরাফ ইসলাম
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:২২
আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:২২

(প্রিয়.কম) ছবি তুলে ঝটপট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করার ব্যাপারে অনেকেই আচ্ছন্ন থাকেন। আমেরিকান সাইকিয়াট্রিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (এপিএ) বেশ কয়েক বছর আগেই নিশ্চিত করেছে যে, সেলফি তোলা একটি মানসিক রোগ। আর এপিএ এই ব্যাধির নাম দিয়েছে সেলফাইটিস (selfitis)। এ ছাড়া সেলফি তুলতে গিয়ে অনেকে বিপদও ডেকে আনছেন। ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। গত এক বছরে লাফিয়ে বেড়েছে সেলফি তুলতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা।

গত অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের এক গবেষণায় উঠে এসেছে শেষ ছয় বছরে বিপজ্জনক জায়গায় ঝুঁকি নিয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে বিশ্বে নিহত হয়েছেন ২৫৯ জন। দুর্ঘটনা যেকোনো সময় হতে পারে। তাই আজকাল অনেকেই দুর্ঘটনা বিমা করিয়ে রাখেন। কিন্তু সেলফি তুলতে গিয়ে যদি কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে, সে ক্ষেত্রে ইনস্যুরেন্স ক্লেইম পাওয়া যাবে কি?

বিমা হলো অর্থের বিনিময়ে জীবন, সম্পদ বা মালামালের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির ন্যায়সঙ্গত ও নির্দিষ্ট ঝুঁকির স্থানান্তর। এর মাধ্যমে ব্যক্তি বা বিমা প্রতিষ্ঠান অর্থের (প্রিমিয়ামের) বিনিময়ে মক্কেলের আংশিক বা সব সম্ভাব্য ঝুঁকি গ্রহণ করে থাকে। এটি অনিশ্চিত ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর জন্য ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার একটি অংশ। কিন্তু আপনার অবহেলা বা অসতর্কতার কারণে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে, বিমা কর্তৃৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ দিতে নারাজ। আপনি যদি বিপজ্জনক কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকেন, তাহলে বিমা প্রতিষ্ঠানগুলো তার ক্ষতিপূরণ দেবে না।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি সেলফি তুলতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে, সে ক্ষেত্রে পুলিশের রিপোর্টে তার উল্লেখ থাকতে পারে। বিমা সংস্থাগুলো ময়নাতদন্ত রিপোর্টের প্রতিবেদন ও চূড়ান্ত পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট অথবা অভিযোগ পত্র ভালো করে দেখে নেয়। 

বিপজ্জনক কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে, তাহলে বিমা প্রতিষ্ঠানগুলো তার ক্ষতিপূরণ দেবে না। প্রতীকী ছবি

সেলফি নিতে গিয়ে আঘাত লাগলে মেডিক্লেইম নানা অসুবিধা হতে পারে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঝুঁকি নেওয়ার ফলে যদি কেউ আহত হন, তাহলে এই ধরনের দুর্ঘটনার খরচ নাও দিতে পারে বিমা প্রতিষ্ঠান। 

স্বাস্থ্য বিমায় চিকিৎসা খাতে খরচের দাবির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, যেমন চিকিৎসকের কাছ থেকে চিঠি এবং ঘটনার বিবরণ খুবই জরুরি। হাসপাতালে এডমিট হওয়ার কারণ উল্লেখ করতে হয়। দুর্ঘটনা ঘটলে সে ক্ষেত্রে পুলিশের রিপোর্টও প্রয়োজন হতে পারে। বিমা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে টাকা পেতে অনেক সময় ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হতে পারে।

বিমা প্রতিষ্ঠান যদি কোনোভাবে জানতে পারে যে সেলফি তুলতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং বিমাকারী সাবধান ছিলেন না অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে ঝুঁকি নেওয়ার ফলে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাহলে সে বিষয়ে সত্য খুঁজে বের করা শুরু করে দেবে তারা। বিমা প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ বা সন্দেহ সত্যি প্রমাণিত হলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মেডিক্লেইম না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

প্রিয় সংবাদ/আজাদ চৌধুরী