কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ভালোবাসায় ছোট ছোট কাজগুলোই বড় উপকারে আসে। ছবি: প্রিয়.কম

সম্পর্কে ভালোবাসা ফিরিয়ে আনতে পারে ছোট্ট এই অভ্যাসগুলো

কে এন দেয়া
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:৫২
আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:৫২

(প্রিয়.কম) লম্বা, সুস্থ সম্পর্কের জন্য খুব ধনী হওয়ার যেমন দরকার নেই, তেমনি খুব বেশি আবেগী হওয়ারও কিন্তু দরকার নেই। প্রতিদিনকার ছোট ছোট কিছু কাজেই কিন্তু ভালোবাসার মানুষটিকে খুশি রাখা যায়। ছোট ছোট এসব অভ্যাসেই দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক পূর্ণতা পায়। জেনে নিন এমন কিছু অভ্যাসের কথা-

১) রাত্রে পর্যাপ্ত ঘুমান

ভাবছেন, এর সাথে ভালোবাসার কী সম্পর্ক?

ভালো করে ভেবে দেখুন। রাত্রে ঘুম ভালো না হলে আপনি ক্লান্ত হয়ে যাবেন। আপনার মেজাজ খারাপ থাকবে, আপনি মনোযোগ দিতে পারবেন না। অল্পতেই রাগারাগি করবেন। অন্যদিকে ভালো ঘুম হলে আপনার মেজাজ ভালো থাকবে আর সঙ্গী হিসেবেও ভালো হবেন আপনি। সম্পর্কে যত সমস্যাই থাকুক না কেন, পর্যাপ্ত ঘুমানো উচিত। কোনো কারণেই, এমনকি শারীরিক সম্পর্কের চেয়েও ঘুমকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।

এছাড়া দুজনে একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়াটাও জরুরী। এতে দুজনের মাঝে দুরত্ব কমে। ঘুমা আসার আগে পর্যন্ত একান্তে সময় কাটানোটা ব্যস্ত জীবনে দুজনের জন্য মূল্যবান।

২) তার ছোট ছোট কাজ করে দিন

সঙ্গীকে খুশি করতে দামি দামি গিফটের কোনো দরকার নেই। তার জন্য সকালে এক কাপ কফি তৈরি করা, বা দিনের শেষে তার জন্য একটা চকলেট কিনে আনাই ভালোবাসা টিকিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট। দুজনেই যখন একে অপরের জন্য এই ছোট ছোট কাজগুলো করবেন তখন সম্পর্ক হবে অটুট।

৩) প্রশংসা করুন বা ধন্যবাদ জানান

দৈনিক জীবনের একঘেয়ে রুটিনের মাঝে আমরা সঙ্গীর উপস্থিতিটাকে পাত্তা দিই না। কিন্তু তার ছোট ছোট কাজগুলোর প্রশংসা করাটাও কিন্তু জরুরী। যেমন, ঘর গুছিয়ে রাখার জন্য বা বাচ্চাকে ঘুম পাড়ানোর জন্য ধন্যবাদ দিতে পারেন, রান্নার প্রশংসা করতে পারেন।

৪) ভালোবাসা প্রকাশ করুন ছোট ছোট উপায়ে

সম্পর্ক রক্ষায় স্পর্শ খুব জরুরী। তারমানে শুধু বিছানায় যাওয়া নয়। বাইরে গেলে হাত ধরে থাকা, ধন্যবাদ জানাতে চুমু দেওয়া, আলিঙ্গন করাটাও অনেক জরুরী।

৫) ভুল স্বীকার করুন

এই কাজটি অনেকেই করেন না, কারণ তাদের আত্মসম্মানে বাঁধে! কিন্তু সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক সুস্থ রাখতে ও তার মানসিক কষ্ট দূর করতে ভুল স্বীকার করাটা জরুরী। ভুল করে এরপর তা নিয়ে ঝগড়া না করে ভুল স্বীকার করুন।

৬) যা চান, তা খুলে বলুন

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনি চান আপনার স্বামী জন্মদিনে আপনাকে নিয়ে বাইরে বেড়াতে যাক। কিন্তু আপনি সেটা তাকে বললেন না। এরপর তিনি জন্মদিনে অন্য কোনো প্ল্যান করলেন, এতে আপনি অখুশি হয়ে তাকেই দোষারোপ করলেন। কিন্তু তা মোটেই উচিত নয়। এতে তার কোনোই দোষ নেই। আপনি কী চান, তাকে খুলে বলার অভ্যাস করুন। এতে দুজনের কেউই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।

৭) দুজনে কথা বলার সময় বের করুন

জীবনসঙ্গীর সাথে অনেক কথাই হয় সারাদিনে। বাচ্চাকে কে স্কুলে নিয়ে যাবে, কী বাজার করতে হবে, কোন দাওয়াতে যাওয়া হবে আরো কত কী! কিন্তু শুধু দুজনে দুজনকে নিয়ে কথা হয় কী? নিজেদের সম্পর্ক, সুখ-দুঃখ, প্রত্যাশা নিয়ে কথা বলার জন্যেও কিন্তু সময় রাখা উচিত! নয়তো একদিন আবিষ্কার করবেন, একই ছাদের নিচে থেকেও দুজনে দুজনার কাছে হয়ে পড়েছেন আগন্তুক

সুত্র: হাফিংটন পোস্ট

প্রিয় লাইফ/ আর বি