কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক। ছবি: প্রিয়.কম

আনিসুল হকের ‘আয়েশামঙ্গল’-এর জন্য মঙ্গলবারতা

শামীমা সীমা
সহ সম্পাদক
প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০১৮, ১৭:২২
আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৮, ১৭:২২

(প্রিয়.কম) জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক আনিসুল হকের ‘আয়েশামঙ্গল’ উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদ ‘দ্য ব্যালাড অব আয়েশা’ প্রকাশ পেয়েছে সম্প্রতি। আনিসুল হকের উপন্যাসটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন লেখক ইনাম আহমেদ। গত ২৫ মে বিশ্বখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা ‘হারপার কলিন্স’ বইটি প্রকাশ করেছে। এই উপলক্ষে ‘মঙ্গলবারতা’ শীর্ষক আনন্দ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয় গতকাল শনিবার। ২৮ জুলাই শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগের পাঠক সমাবেশ কেন্দ্রে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে প্রথম আলো বন্ধুসভা।

বইটি সম্পর্কে আনিসুল হক বলেন, ‘১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর ঘটে যায় রহস্যময় সামরিক অভ্যুত্থান। এর ২০ বছর পর একজন নারী তার স্বামীকে খুঁজতে থাকেন এবং জানতে পারেন যে, ২০ বছর আগে ১৯৭৭ সালের ২৪ অক্টোবর ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে তার স্বামীর ফাঁসি হয়ে গেছে। এই বিষয়টি মনে দাগ কাটলে আমি এই উপন্যাস লিখতে শুরু করি। উপন্যাসটি লেখার ক্ষেত্রে জায়েদুল আহসান পিন্টু ভাইয়ের অনেক অবদান। কারণ ওই সামরিক অভ্যুত্থান নিয়ে তিনিই প্রতিবেদনগুলো লিখেছিলেন। গল্পের আবেগ-প্রেমরস ফুটিয়ে তোলার জন্য এর সঙ্গে আমার জীবনে দেখা অনেক সত্য ঘটনা যোগ করেছি।’

আনিসুল হক আরও বলেন, ‘বিদেশি পাঠককে টার্গেট না করে আমাদের ১৬ কোটি এবং ভারতের আরও ১৫ কোটি, মোট বাংলাভাষী ৩০ কোটি মানুষকে টার্গেট করে লেখা উচিত। এমন কথা মাইকেল মধুসূদন বলেছেন, আবার রবীন্দ্রনাথও বলে গেছেন।’

অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আয়েশামঙ্গল নিয়ে টিভি ফিকশন বানানোর সূত্রে আনিসুলের হকের সঙ্গে আমার পরিচয়। তার লেখা বরাবরই আমাকে টানে। এবার নতুন করে আয়েশামঙ্গল উপন্যাস নিয়ে টেলিছবি নির্মাণ করছি। আমার মা শিক্ষিত নন। কিন্তু আমি দেখেছি তিনি খুব শক্তিশালী একজন নারী। তেমনি এই উপন্যাসের আয়েশা একজন শক্তিশালী নারী চরিত্র। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় প্রতিটি নারীই শক্তিশালী এবং জীবনের নানা ক্ষেত্র তারা সংগ্রাম করে দক্ষতার সঙ্গে পার করছেন।’

লেখক ও মনোচিকিৎসক মোহিত কামাল বলেন, ‘আনিসুল হক লেখায় চমৎকারভাবে বিচিত্র সব বিষয়ের সমাহার ঘটাতে পারঙ্গম। এই উপন্যাসটিও তার ব্যতিক্রম নয়।’ এ ছাড়া প্রকাশক ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘দ্য ব্যালাড অব আয়েশা’র অনুবাদ সাহিত্যের ধারাকে ঠিক রেখেই হয়েছে। সেদিক থেকে এটি বিশ্বসাহিত্যে নতুন মাত্রা যোগ করবে।’

অনুষ্ঠানে বাংলা আয়েশামঙ্গলের অংশবিশেষ পাঠ করেন মোহতারিমা রহমান, দ্য ব্যালাড অব আয়েশার সারাংশ পড়ে শোনান কানিজ ফাতেমা, ‘আগুনের পরশমণি’ গান পরিবেশন করেন দেবলিনা সুর। মৌসুমী মৌয়ের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বন্ধুসভার সভাপতি দন্ত্যস রওশন, আলোকচিত্রী আক্কাস মাহমুদ, গীতিকার শহীদুল্লাহ ফরায়জী, অভিনেত্রী সেঁওতি, লেখক দ্বিতীয় সৈয়দ হক, সাংবাদিক উৎপল শুভ্র, চিত্রশিল্পী মাসুক হেলাল, লেখক সুমন রহমান, কবি পিয়াস মজিদ প্রমুখ।

বাতিঘর ঢাকা ও হার্পার কলিন্সের আয়োজনে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শিল্পী ও সাংবাদিক এলিটা করিম। অনুষ্ঠানের শুরু হয় শিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ শায়ানের সংগীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে।

অনুষ্ঠানে আসাদুজ্জামান নূর অনুবাদের এই যাত্রাকে স্বাগত জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন এভাবেই বাংলাদেশি লেখকদের বই আন্তর্জাতিক বাজারে পাওয়া যাবে।

বিশ্বজুড়ে অ্যামাজনে ‘দ্য ব্যালাড অব আয়েশা’র কিন্ডল ও পেপারব্যাক এডিশন পাওয়া যায়। আর ঢাকায় ‘বাতিঘর’, ‘প্রথমা’, ‘বেঙ্গল বই’ এবং ‘পাঠকসমাবেশ’-এ বইটি পাওয়া যাচ্ছে।

প্রিয় সাহিত্য/গোরা