কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে রবির অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ছবি: প্রিয়.কম

মেধার অভাবে ব্যর্থ হচ্ছেন উদ্যোক্তারা: মোস্তাফা জব্বার

রাকিবুল হাসান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮ জুলাই ২০১৮, ১৮:২৬
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৮, ১৮:২৬

(প্রিয়.কম) মেধার অভাবে উদ্যোক্তারা তাদের চলার পথে ব্যর্থ হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

৮ জুলাই, রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে রবি আজিয়াটা

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমাদের দেশের উদ্যোক্তাদের ব্যর্থ হওয়ার কারণ অর্থের অভাব না। তাদের ব্যর্থ হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে- তার নিজের মেধার অভাব। সে যদি তার নিজের মেধাটিকে গড়ে তুলতে পারে, তাহলে আশপাশের সমস্ত কিছুকেই গড়ে তোলা সম্ভব হবে। দেশের উদ্যোক্তাদের আরও সমস্যা রয়েছে যে, তারা ব্যবসা পরিকল্পনা তৈরি করতে পারে না। ক্যাশ ফ্লো-টা কী হবে, তা তারা চিন্তাই করতে পারে না।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা উদ্ভাবন করছি, আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করছি কিন্তু এর মেধাসত্ত্ব সংরক্ষণ করার চেষ্টা করছি না। আমার মন্ত্রণালয়ে গিয়ে দেখেছি, শত শত প্রস্তাব এসেছে, গবেষণা কাগজপত্র জমা হচ্ছে, প্রকল্প তৈরি হচ্ছে, কিন্তু কেউ চিন্তা করে নাই যে, তার মেধা পণ্যটাকেই কোনো না কোনোভাবে সংরক্ষিত করা উচিত।’

অনুষ্ঠানে রবির আর-ভেঞ্চারস প্রকল্পের আওতায় প্রতিষ্ঠানটির সাত কর্মকর্তার সঙ্গে পরিচয় করে দেওয়া হয়। ওই সাত উদ্যোক্তা তাদের প্রতিষ্ঠান ও পরিকল্পনা সম্পর্কে জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের সঙ্গে উদ্যোক্তারা। ছবি: প্রিয়.কম

রবির এমন উদ্যোগে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমি এমন কোনো কোম্পানি দেখিনি, যারা নিজেদের কর্মীদের উদ্যোক্তা হওয়ার পথ তৈরি করে দিচ্ছে। আমি নিজে যখন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য লড়াই করছিলাম, তখন যদি রবি’র মতো একটি কোম্পানিকে পাশে পেতাম তাহলে অনেক সহজ হতো। আজকাল অনেকেই ডিজিটাল স্টার্ট-আপ নিয়ে কাজ করছেন। কিন্তু আমি লক্ষ্য করেছি, তাদের অনেকেরই ব্যবসায়িক পরিকল্পনা, অর্থ প্রবাহের মতো ব্যবসার মৌলিক দিকগুলো সম্পর্কেও কোনো ধারণা নেই। কিন্তু আর-ভেঞ্চারিস্টদের আমার কাছে এদিক থেকে ব্যতিক্রম মনে হয়েছে, তারা একটি পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছেন। রবি'র আর-ভেঞ্চারিস্টদের প্রতি রইল আমার শুভ কামনা। রবি’র এমন মহতি উদ্যোগে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সবসময় পাশে থাকবে।’

রবি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ডিজিটাল সমাজের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল সল্যুশনের জন্য ব্যবসার নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে। রবি একটি কাঠামোবদ্ধ কোম্পানি। কিন্তু এ ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন বাজারের চাহিদা বুঝে নতুন উদ্যোক্তা, যারা নিজেদের মতো করে ব্যবসার ধারাটি তৈরি করে নিতে পারবেন। তাই আমরা আর-ভ্যাঞ্চারস প্লাটফর্মটি তৈরি করেছি, যাতে এ ক্ষেত্রে যারা আমাদের চেয়ে উপযুক্ত তারা যেন ডিজিটাল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ পান। প্রথমে আমরা আমাদের কর্মীদের তাদের ধারণাটি বাস্তবায়নের সুযোগ দিচ্ছি; যেহেতু তারা এই ব্যবসার আবহটা ভালো বোঝেন। সাত কর্মকর্তাদের উদ্যোগ নিয়ে তাদের সাথে আমরা একযোগে কাজ করেছি, যাতে উদ্যোগগুলো সফল হয় এবং প্রতিটি ব্যবসায়িক ধারণার জন্য এক কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি আমরা। আমাদের বিশ্বাস, এ উদ্যোগের ফলে রবিতে আধুনিক, কর্মতৎপর ও ডিজিটাল কাজের সংস্কৃতি আরও সমৃদ্ধ হবে। শিগগিরই দেশের প্রাণবন্ত তরুণদের আর-ভেঞ্চারস প্লাটফর্মের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনাও আছে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস’র সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর এবং মাইক্রোসফট বাংলাদেশ’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর সোনিয়া বশির কবির।

প্রিয় প্রযুক্তি/শান্ত