
ছবি সংগৃহীত
হলিউডের সর্বকালের সেরা যত রোমান্টিক সিনেমা-পর্ব ১ (ভিডিও)
আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০৩:৫০
পৃথিবীতে এ পর্যন্ত অসংখ্য রোমান্টিক ছবি নির্মিত হয়েছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি ছবি মানুষ যুগ যুগ ধরে হৃদয়ে ধারণ করছে। এ রোমান্টিক ছবির কোন কোন জুটি বাস্তব জীবনেও প্রেম করেছেন। হলিউডের সর্বকালের সেরা কয়েকটি রোমান্টিক ছবির তালিকা এখানে তুলে ধরা হলো। গন উইথ দ্য উইন্ড (১৯৩৯) যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধের সময় স্কারলেট ও’হারা ও রেথ বাটলারের প্রেম নিয়ে ১৯৩৯ সালে নির্মিত হয়েছে গন উইথ দ্য উইন্ড ছবি। ভিক্টর ফ্লেমিং পরিচালিত এ ছবির গল্পটা এক স্বার্থপর নারীর, যে নিজের ভালোবাসার কথা ভালোবাসার মানুষটিকে জানাতে চায় না। শেষ পর্যন্ত সেই মানুষটিকে সে হারিয়েই ফেলে। স্কারলেট জানত না, যে সময় সে অ্যাশলির কাছে তাঁকে গ্রহণ করার অনুরোধ করছিল, একই সময় সেই ঘরে ছিল রেথ। দ্য ওয়ে উই ওয়্যার (১৯৭৩) সিডনি পোলাক পরিচালিত দ্য ওয়ে উই ওয়্যার ছবিটিতে গুরুত্ব পেয়েছে দুটি মানুষের জীবনদর্শন। কেটি আর হাবেল পড়ত একই কলেজে। কিন্তু দুজনের জীবনদর্শন একেবারে আলাদা। কেটি মনেপ্রাণে সাম্যবাদী। স্পেনের গৃহযুদ্ধ কিংবা ইউরোপে হিটলারের উন্মেষ কোনোটাই সে ভালো চোখে দেখে না। কঠোর পরিশ্রম করে তাকে খরচা মেটাতে হয় পড়াশোনার। কিন্তু হাবেল খেলাধুলা নিয়ে মেতে থাকে, রাজনীতির ধার ধারে না। দুই ভিন্ন জগতের দুই বাসিন্দার দেখা হয় বহু বছর পর। ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৭৩ সালে। [video:http://www.youtube.com/watch?v=E6JHh9OFTbQ] কাসাব্ল্যাঙ্কা (১৯৪২) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানদের আক্রমণ থেকে বাঁচতে ইউরোপীয়দের অনেক শরণার্থীই আশ্রয় খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য দরকার এক্সিট ভিসা যা পাওয়া যেতে পারে কাসাব্ল্যাঙ্কায়। কাসাব্ল্যাঙ্কায় জনপ্রিয় ক্যাফে চালায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাসিত রিক ব্লেইন। ঘটনাক্রমে ট্রানজিটের দুটো কাগজ পায় ব্লেইন। ইতোমধ্যে সে শহরেই সে পেয়ে যায় প্রেমিকা ইলসাকে। কিন্তু ইলসার স্বামী আছে যে কিনা লাজলো চেকোস্লোভাকিয়ার বিদ্রোহী নেতা। জার্মানরা তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে। এ বেপারে ইলসা ব্লেইনের সাহায্য চায়। তবে ঈর্ষাকাতর ব্লেইন কি সাহায্য করবে? ১৯৪২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এ ছবিটি পরিচালনা করেছেন মাইকেল কার্টিজ। লাভ স্টোরি (১৯৭০) আর্থার হিলার পরিচালিত লাভ স্টোরি মুক্তি পেয়েছে ১৯৭০ সালে। হার্ভার্ডের আইনের ছাত্র অলিভার এবং সংগীতের ছাত্রী জেনিফার। ভিন্ন দুই জগৎ থেকে উঠে এলেও পরস্পরের প্রেমে পড়ে যায় দুজনেই। কিন্তু বিয়ের পর নেমে আসে দুর্যোগ। অলিভারের ধনাঢ্য বাবা রেগে গিয়ে তাকে ত্যাজ্য করে। প্রতিকূলতার পরও তাদের দৃঢ় বিশ্বাস, ভালোবাসা পৃথিবীর সব সমস্যার সমাধান করতে পারে। টোয়ালাইট (২০০৮) একটি সাধারণ সুন্দরী মেয়ে একটি হ্যান্ডসাম ছেলের দেখা পেয়ে যায়। প্রেম করার পর মেয়েটি জানতে পারে ছেলেটি ভেমপায়ার। এরকমই একটি কাহিনী নিয়ে নির্মিত হয়েছে টোয়ালাইট সাগা। সারা পৃথিবীর সব তরুণদের কাছেই এটি হয়ে উঠেছে একটি প্রিয় ছবি। হলিউডের হটেস্ট কাপল রবার্ট পেটিনসন এবং ক্রিস্টেন স্টুয়ার্টসের বাস্তব জীবনের প্রেমও চিত্রিত হয়েছে ছবিটিতে। [video:http://www.youtube.com/watch?v=fFLrRlPBg0A] টাইটানিক (১৯৯৭) টাইটানিক এমন একটি ছবি যা পৃথিবীর সব রোমান্টিক ছবিকে হার মানায়। ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জাহাজকে কেন্দ্র করে চিরকালের অসম প্রেমকাহিনীকে পরিচালক জেমস ক্যামেরন ভীষণ জাকজমকের সাথে চিত্রায়িত করেছেন। ব্যবসাসফল এই আলোচিত প্রেমের ছবিতে অভিনয় করেছেন কেইট উইন্সলেট, লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও প্রমুখ। রোমান হলিডে (১৯৫৩) রাজকুমারী অ্যান এক রাতে হোটেল ছেড়ে পালিয়ে গেলেন। কারণ, নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য ইউরোপ ভ্রমণে ছুটিতে বের হয়েও অশান্তিতে ছিলেন তিনি। সব সময় বর্মের আড়ালে থাকলে কি আর ছুটি কাটানো যায়? তার সঙ্গে দেখা হলো রোমে অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে আসা মার্কিন সাংবাদিক জোয়ের। অ্যানকে বেঞ্চিতে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে জো তাকে নিজের ঘরে নিয়ে এল। ধীরে ধীরে প্রেম হয়ে গেল দুজনের। ছবিটির পরিচালক উইলিয়াম উইলার।
- ট্যাগ:
- বিনোদন
- হলিউড
- রোমান্টিক ছবি
- হলিউড