
ছবি সংগৃহীত
বিশ্বের যে গাছগুলো অনেক অদ্ভুত ও বিরল
আপডেট: ২৯ জুন ২০১৫, ০৬:৪৩
(প্রিয়.কম) গাছ আমাদের পরম বন্ধু এটা চিরন্তন সত্য। পৃথিবীতে মনুষ্য জাতির টিকে থাকার জন্য গাছের কোন বিকল্প নেই। কী না করে তারা? পরম বন্ধু গাছ বেঁচে থাকার মূল উপাদান অক্সিজেন উৎপাদন করে এই ধরনীতে বাঁচিয়ে রাখে আমাদের। গাছ আমাদের আশ্রয়দাতা, খাদ্যের যোগানদাতা। এই গাছ দিয়েই আমরা সভ্যতার প্রতিটি উৎকর্ষে লাভবান হয়েছি। পৃথিবীতে আছে নানা কিসিমের গাছ। এদের মধ্যে দীর্ঘকায়, ক্ষুদ্র, প্রবীণ, রঙ-বেরঙের, অদ্ভুতাকৃতির কত রকমের গাছ যে আছে তা লিখে শেষ করা যাবে না। পৃথিবীর কয়েকটি চমৎকার গাছের খোঁজখবর আর ছবি প্রিয় পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল-
১২৫+ বছরের প্রাচীন রডোডেনড্রন গাছ। স্থান: কানাডা
১২৫ বছর বয়সী এই রডোডেনড্রন গাছটি সত্যিকার অর্থে কোন প্রকাণ্ড বৃক্ষ নয়। এটিকে বিজ্ঞানের ভাষায় গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ বলা হয়। কিন্তু শতবছরের প্রকান্ড এই প্রাচীন গাছটিকে দেখে কেউ কি বলবেন এটি একটি গুল্ম উদ্ভিদের ঝোঁপ?
১৪৪ বছর বয়সী উইস্টেরিয়া। স্থান: জাপান।
১৯৯০ বর্গ কিলোমিটার (হাফ একর) জুড়ে বিরাজিত এই গাছটি জাপানের সবচেয়ে বড় গাছ।
উইন্ড সুইপ্ট ট্রিস। স্থান: নিউজিল্যান্ড
নিউজিল্যান্ডের স্লপ পয়েন্টে অবস্থিত এই গাছটি কোণাকুণিভাবে বেড়ে উঠেছে। কারণ জন্মের পর থেকেই এন্টার্কটিকা মহাসাগরীয় বাতাসে একদিলে হেলে থাকত গাছটি।
এই জাপানী প্রজাতির ম্যাপল লিফ গাছটি যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন প্রদেশের পোর্টল্যান্ডে অবস্থিত।
যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগনে অবস্থিত এই বড় মস গাছটি দর্শণার্থীদের কাছে এক বিরাট বিস্ময়।
এই গাছটি চিলি এবং আর্জেন্টিনার আন্টার্টিক প্রজাতির সমগোত্রীয়। যদিও এটি যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের গাছ।
পুস্পিত চেরি গাছ। স্থান: বন, জার্মানী
এই পুস্পিত চেরি গাছের টানেলটি জার্মানীর বন শহরে অবস্থিত।
অ্যাঞ্জেল ওক গাছ, স্থান: জন দ্বীপ, দক্ষিণ ক্যারোলিনা।
১৪০০-১৫০০ বছরের পুরনো এই গাছটি লম্বায় ৬৬.৫ ফুট।
জাঁকালো এই কৃষ্ণচূড়া গাছটি ব্রাজিলে অবস্থিত।
মূলত এই গাছটির উৎপত্তি দ্বীপ রাষ্ট্র মাদাগাস্কারে হলেও সারা বিশ্বে তা ছড়িয়ে পড়েছে।
ড্রাগন ব্লাড ট্রিস, ইয়েমেন।
এই গাছটির নাম ড্রাগন ব্লাড হওয়ার কারণ স্বভাবতই এর আকৃতির কারণে।
দ্য প্রেসিডেন্ট নামের এই গাছটি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে অবস্থিত। গাছটি পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম সেকুয়া প্রজাতির গাছ।
ক্যালিফোর্নিয়ার সেকুয়া ন্যাশনাল পার্কে অবস্থিত এই গাছটি প্রায় ৭৩ মিটার লম্বা এবং নিচে অন্তত ২৮ মিটার অব্দি বিস্তৃত।
ওরগোনের ম্যাপল ট্রি টানেল।
রেইনবো ইউক্যালিপটাস। স্থান: কিউআই, হাওয়াই
সমগ্র দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থিত এই গাছটি সুন্দর এবং কাজেরও। গাছটির রঙিন বাকলগুলো অনেক সুন্দর এবং এগুলো কাগজ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
জাকারান্ডাস। স্থান: দক্ষিণ আফ্রিকা
বেগুনি ফুল সমৃদ্ধ সুন্দর এই জাকারান্ডাস গাছটি দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থিত।
ওক গাছের সারি। স্থান: ডিক্সি প্লানটেশন, দক্ষিণ ক্যারোলিনা।
১৯৭০ সালের দিকে এই ওক গাছগুলো দক্ষিণ ক্যারোলিনার ডিক্সি প্লানটেশনে লাগানো হয়।
বাওবাব গাছ। স্থান: মাদাগাস্কার
মাদাগাস্কারের এই বাওবাব গাছগুলো অনেক পানি জমিয়ে রাখে। খরার সময় স্থানীয়দের কাছে এটি একটি উৎকৃষ্ট পানির উৎস।
ডার্ক হেজেস। স্থান: উত্তর আয়ারল্যান্ড।
আয়ারল্যান্ডের এই ডার্ক হেজেস আঠারশ দশকের দিকে রোপণ করা হয়। এই গাছের সারি গুলো বিখ্যাত গেম অব থ্রোনস চলচ্চিত্রেও দেখা যায়।
- ট্যাগ:
- আন্তর্জাতিক
- 'গাছ ও পাতা'