
ছবি সংগৃহীত
প্রিয় আড্ডায় ১৬ বছরের বন্ধুত্বের গল্প শোনালেন তৌসিফ
আপডেট: ০৭ আগস্ট ২০১৬, ০৬:১২
ছবি : শামছুল হক রিপন।
(প্রিয়.কম) আজ বন্ধু দিবস। এই দিবসে প্রিয়.কম-এর আয়োজন ছিল বন্ধুকেন্দ্রিক। প্রিয়.কমের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ব্যস্ততার মাঝেও বন্ধুকে নিয়ে প্রিয়.কমের অফিসে উপস্থিত হয়েছিলেন মডেল ও অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব। তার বন্ধুর নাম কাজী অর্ক রহমান। এই বিশেষ দিনের বিশেষ আয়োজনে আড্ডা হলো তাদের সঙ্গে। আড্ডায় উঠে এসেছে তাদের ১৬ বছরের বন্ধুত্বের নানা কথা।
বন্ধু জীবনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ঘটে যাওয়া নানা মজার ঘটনা বলার পাশাপাশি বন্ধুকে নিয়ে আরও অনেক আলোচনায় মেতেছিলেন তৌসিফ। তারই চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো প্রিয় পাঠকদের জন্য।
ব্যস্ত তৌসিফ সময়জ্ঞ্যান নিয়ে ভালোই সচেতন। তাই তো তার দেয়া সময় মতো বন্ধুকে নিয়ে হাজির হলেন প্রিয়.কম অফিসে। সময়টা বিকেল হলেও বৃষ্টির কারণে বাইরে ফটোশুট করা গেল না। তবে অফিসের মধ্যেই এই পর্ব শেষ করা হলো। সবার পরিচিত মুখ তৌসিফ। কিন্তু বন্ধুকে নিয়ে খুব একটা ক্যামেরার সামনে হাজির হতে দেখা যায় না তাকে। তবে এবারের আড্ডার মূল আকর্ষণ হচ্ছে তৌসিফ মাহবুবের বন্ধু কাজী অর্ক রহমান। তার বন্ধু অর্ক পেশায় শিক্ষকতা করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। তারও ব্যস্ততা কম নয়। কিন্তু বন্ধু তৌসিফ ডাকা মাত্রই হাজির এখানে।
কারণটা অবশ্য অর্কের মুখেই শোনা গেল। অর্ক বলেন, ‘বন্ধু মানে বিশ্বাস। বন্ধুত্বে কোন প্রশ্ন থাকবে না। আমাদের বন্ধুত্ব এমন যে আমাদের মধ্যে কেউ কাউকে ডাকলে আমরা কখনও প্রশ্ন করি না। আমাদের দুজনের প্রতি সেই বিশ্বাস আছে যে আমরা কেউ কারো ক্ষতি করব না।’ তৌসিফও বন্ধুর কথায় সায় দিলেন।
তবে তাদের এই বিশ্বাস কিন্তু একদিনেই হয়নি। ১৬ বছর ধরে তাদের এই বন্ধুত্ব। এই দীর্ঘ সময়ের গল্প শোনার জন্য ফ্ল্যাশব্যাকে যাওয়া হলো।
আর এর শুরুটা করলেন তৌসিফ। ২০০১ সালের কথা। তখন তৌসিফ পড়ছেন ষষ্ঠ শ্রেণিতে। আর সেই ক্লাসে একই শাখায় পড়তেন অর্ক। তখন থেকেই তাদের মধ্যে চেনা জানা। এরপর বন্ধুত্ব। তবে ক্লাস থেকে বন্ধুত্ব শুরু হলেও এটি আরও গাঢ় হয় এলাকা থেকে। কারণ তারা দুজনই তখন ছিলেন মোহাম্মাদপুর এলাকায়। তাই স্কুল বন্ধু থেকে এলাকার বন্ধুতে পরিণত হন তারা। সেই থেকে একসঙ্গে চলাফেরা।
‘এলাকায় তখন পুড়ির দোকানে পুরি আর চা খাওয়া ছিল নিয়মিত ব্যাপার। একসঙ্গে তখন পুরি খেতাম আর আড্ডা দিতাম। আমাদের অল্প টাকা দেয়া হতো বাসা থেকে কিন্তু আমরা শেয়ার করে খেতাম, কথাটা বলছিলেন তৌসিফ।
তবে মজার ব্যাপার হলো তৌসিফের বন্ধু অর্কের বাবা হলেন সেই স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল যেখানে তারা পড়তেন। তবে কি তৌসিফের জন্য কোন সুবিধা ছিল? এর উত্তর অবশ্য দিলেন অর্ক। তিনি বলেন, ‘কোন ধরনের সুবিধা ছিল না। বরং তৌসিফ যখন আমার বাবার কাছে বাসায় পড়তে আসতো তখন আমাকেও আমার বাবা পড়তে বলতেন। আর আমাদের তো ফাঁকি দেবার কোন উপায় ছিল না। কিছু হলেই আমার বাবার কানে চলে যেত’।
বোঝা গেল বাবা-মার বাধ্য সন্তান ছিলেন তারা। কিন্তু সেই বয়সে কোন ধরনের ফাঁকি দেয়া হয়নি এইটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে বুঝি পাঠকদের। তবে পাঠকদের জন্য বলবো এখানেই শেষ নয়, ফাঁকি দেয়ার কথা এবার নিজেই জানালেন তৌসিফ। ‘সেই সময়টা গেমিংয়ের সময় ছিল। আমরা তখন গেমিং নেশায় পড়ে যাই। কিন্তু গেম খেলতে তো অনেক সময় খরচ হয় সঙ্গে টাকাও। তাতে কি! আমরা দুজন মিলে সেই টাকা মেনেজ করে ফেলতাম। কিন্তু আমাদের কথা একটাই কোচিংয়ের ফাঁকে আমরা গেম খেলবো। আমি কোন দিন ঠিক সময় মতো কোচিংয়ে যেতে পারতাম না। কিন্তু অর্ক তো মিস দেয়ার মতো ছেলে না। তাই সে যখন যেত তখন গিয়ে নানা বাহানা দেখাতো আমাকে নিয়ে।’
বাহ! এই না হল বন্ধুত্ব। বন্ধুকে বাঁচানোর জন্য তখন থেকেই যে চেষ্টা করেছে অর্ক। এতক্ষণের কথায় তাদের বন্ধুত্ব বেশ ভালো যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ দেখি কথায় একটু বিরতি। না কথায় না। বিরতি আসলে বন্ধুত্বে। একবার প্রায় এক বছরের মতো যোগাযোগ ছিল না তাদের মাঝে।
হঠাৎ একদিন অর্কের বাসায় কলিংবেল বেজে ওঠল। অর্ক দরজ��� খুলতেই দেখে তৌসিফ দাঁড়ানো। আর তখনই তৌসিফ বলে উঠে অর্ক আমি স্কুল ছেড়ে দিয়েছি। অর্ক কিছু বুঝে উঠার আগেই যেন ভিতরে ডাকে। ভালোমন্দের খবর নেই হঠাৎ এসেই এমন কথা। বলছিলেন অর্ক। তবে এটাই শেষ নয়। এরপরেও ঠিক এমন ঘটনা ঘটেছে অনেকবার। কিছুদিনের জন্য উধাও হয়ে যাওয়া তৌসিফ মাঝে মাঝে অর্কের বাসায় গিয়ে চমকে দেন। তৌসিফ কখনও স্কুল ছাড়ার কথা বলে আবার প্রেমিকার কথা। কথাগুলো হেসেই বলে যাচ্ছেন অর্ক।
প্রেমিকা প্রসঙ্গে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ছিল ‘দুই বন্ধুর মধ্যে কার আগে প্রেমিকা হয়েছিল?’
আঙুলের ইশারা যে তৌসিফের দিকে। তবে তৌসিফের প্রেমের ক্ষেত্রেও যে অবদান রয়েছে অর্কের। প্রেম করতে গেলে মাঝে মাঝে হাত খরচা যে নিতেন বন্ধুর কাছ থেকে। প্রেমিকার দিক থেকে তৌসিফ এগিয়ে ছিলেন। তবে এতে অবশ্য বন্ধুত্বে কোন ধরনের ভাটা পড়েনি। কারণ অর্ক মনে করেন, বন্ধুত্বে বোঝাপড়া ভালো হতে হবে। যদি এটা না থাকে তাহলে কেমন বন্ধু। আমাকে যখন সে এই আড্ডার জন্য ফোন করে বলছে যে এইদিন আমি ফ্রি আছি কিনা, তৌসিফকে সময় দিতে পারব কিনা তখন আমি কোন প্রশ্ন ছাড়াই তাকে হ্যাঁ বলছি এবং তৌসিফ আমাকে আসতে আসতে গাড়িতে বলছে যে কোথায় যাচ্ছি।
তাদের বন্ধুত্ব ১৬ বছরের তাই এতো তাড়াতাড়ি আড্ডা শেষ হচ্ছে না। শোনার বাকি আছে আরও গল্প।
বন্ধু তো বন্ধু। তবে এই বন্ধুত্বে একজন হচ্ছেন জনপ্রিয় তারকা। তাই অর্কের কাছে প্রশ্ন উঠতেই পারে যে তারকা তৌসিফ কেমন?
অর্ক বলেন, ‘তারকা তৌসিফ তখনই বোঝা যায় যখন কোন জায়গায় আমরা একসঙ্গে যাই। তখন তাকে ঘিরে সবাই সেলফি তুলতে চায়, কথা বলতে চায়। তখন মেজাজ একটু খারাপ হয়ে যায়। কারণ আমরা সচরাচর একসঙ্গে হতে পারি না কারণ আমাদের ব্যস্ততা। আর যখন হই তখন এই সব দেখলে একটু মেজাজ গরম হয়। আর তখনই মনে হয় যে, হ্যাঁ আমার বন্ধু তৌসিফ আসলেই অনেক বড় তারকা’।
তারকা প্রসঙ্গ যখন আসল তখন তৌসিফের কাছে জানতে চাওয়া হলো, তার কাজের সমালোচনা করেন কি তার বন্ধু?
‘অর্ককে মাঝে মাঝে আমি সাজেস্ট করি আমার কাজগুলো দেখার জন্য। তখন সে দেখে আমার সমালোচনা করে বা রিভিউ করে। তাছাড়া আমার এক বন্ধু আছে দেশের বাইরে থাকে সে আমার অভিনীত সব নাটক দেখেছে এবং আমার সমালোচনা করে সেখান থেকেই। আমার নাটকের রিভিউ দেয় তারা। এটা আসলে অনেক বড় ব্যাপার’।
দুই বন্ধুর গল্প শুনতে শুনতে আড্ডা বেশ জমে উঠেছে। কিন্তু একই আড্ডায় যে শুধু বন্ধুর জন্য বন্ধুর প্রশংসা। এবার নেগেটিভ কিছু শোনা যাক তাদের মুখ থেকে।
প্রথমেই এই বিষয়ে তৌসিফের কাছে জানতে চাওয়া হলো, বন্ধু অর্কের প্রতি কোন রাগ নেই আপনার?
উত্তরে যেন প্রথমেই হাসি তার মুখে। তিনি বলেন, রাগ নেই তবে ক্ষোভ আছে। আমার খুব ইচ্ছা ছিল তার বিয়েতে আমি সবকিছু দায়িত্ব নিয়ে পাশে থাকবো। যদিও কাজের ব্যস্ততায় তা হয়ে উঠে নি। কিন্তু সবচেয়ে অবাক করা বিষয় একদিন হঠাৎ করে আমি জানতে পারি তার বাগদান হয়ে গেছে। আমাদের বন্ধুদের মধ্যে উনি সবার আগে বিয়ে করেছেন। কিন্তু আমাকে দাওয়াত দেননি বাগদান অনুষ্ঠানে।
ক্ষোভের কথাটা তৌসিফ হাসিমুখে বললেও এর জন্য অবশ্য খেসারত দিতে হয়েছে অর্ককে। আর সেটি জানালেন অর্ক নিজেই। তিনি বলেন, এটি জানার পর যখন তৌসিফ আসল আমার সঙ্গে দেখা করতে তখন সে বলেছিল যদি আমি হাঁটু গেরে তাঁকে সরি বলি তাহলেই সে রাগ কমাবে। আর তখন আমরা এক বাজারের সামনে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম। তখন আর কি করার। আমাকে তাই করতে হয়েছিল।
যাক বন্ধুত্ব তাহলে তখনও অটুট। তবে এবার অর্কের কাছে জানতে চাওয়া, তারকা তৌসিফের জন্য অনেক মেয়েই পাগল। আপনার স্ত্রী কি তৌসিফের কাজ পছন্দ করে?
আমি তৌসিফের কাজ সমালোচনা না করলেও আমার স্ত্রী ঠিকই সেটার খোঁজখবর রাখে। প্রায়ই তৌসিফের নাটক দেখে বলে তৌসিফকে এই নাটকে ভালো লাগছে বা এটাতে আরও ভালো করতে পারতো এমন অনেক কিছুই। আর তৌসিফকে নিয়ে আমি আর আমার স্ত্রী দুজনই গর্ব করি।
১৬ বছরের বন্ধুত্ব কম নয় কিন্তু। এই সময়ের মধ্যে তো নিশ্চয় অনেক মজার ঘটনাও ঘটেছে। তেমন কোন ঘটনা কি মনে পড়ছে আপনাদের?
তৌসিফ বলেন, মজার অনেক গল্পই আছে তারমধ্যে একটা হলো। একদিন অর্কদের পরিবারের সঙ্গে আমি রাঙামাটি বেড়াতে যাই। বাসে যাওয়ার সময় অর্কের বাবা আমাকে জিজ্ঞেস করে তোমার কি অর্কের মতো সমস্যা আছে নাকি? মানে সিগারেট খাওয়ার কথা বলছেন তিনি। আমি তো ভালো ছেলের মতো না করে দিয়েছি। পরে বাস এক জায়গায় থামে। তখন অর্ক একটু পাশ থেকে আসছি বলে ওর বাবাকে বলে। এখন আমি তো বলে ফেলেছি যে আমি খাই নাই। তাই আমি যেতে পারছি না। পরে রাত তিনটার দিকে আমি অর্ক ডাক দিয়ে বলি সারাদিন সিগারেট খাইনি এখন চল আমার সঙ্গে একা বাইরে খেতে ভয় লাগছে। তাছাড়া আরও অনেক মজার ঘটনা আছে।
ঘড়ির কাঁটায় বিদায়ের ঘণ্টা বাজছে। তবে আড্ডা যে চলছে সমান তালে। তাই সময়ের দিকে লক্ষ্য না করে আরও কিছুক্ষণ আড্ডায় মনোযোগ দেয়া হলো।
এতো দিনের বন্ধুত্বে এবার শুনবো দুই বন্ধুর ভালো খারাপ দিক। প্রথমেই তৌসিফ সম্পর্কে বলেন অর্ক। ‘তৌসিফ অনেক প্রাকটিক্যাল। আমি যখন ভাবী কোন কাজ করবো আর এইটা ভেবে যখন আমি প্রস্তুতি নিচ্ছি তখন দেখি সে সেটি শুরু করে দিয়েছে। তার একটাই কথা এতো চিন্তা করার কি আছে। আর খারাপ দিক বললে এতো প্রাকটিক্যাল সে যে কিছু কিছু সময় কিছু করার আগে চিন্তা করে যে এটা করলে কি লাভ হবে। তাছাড়া দেখা গেছে তৌসিফ যখন যেটা চাইতো সেটা পূরণ করার জন্য হলেও বন্ধুদের কাছ থেকে হেল্প নিত যেটা অবশ্য বন্ধুদের একটু ভোগান্তি হতো।’
এবার যে তৌসিফের পালা। তবে সে প্রথমেই অর্কের উদ্দেশ্যে বলল সে অবশ্য আমাকে অনেক হেল্প করছে সবসময়। এটা আসলে বলে শেষ করা যাবে না। তবে তার একটা খারাপ দিক হচ্ছে দেখা যায় সে আমাদের সঙ্গে কোথাও যেতে না করছে কিন্তু অন্যবন্ধুদের সঙ্গে আবার ঠিক যাচ্ছে। যদিও সময়ের কারণে হয়তোবা একসঙ্গে যাওয়া হয় না আমাদের।
দুই বন্ধু যখন ভালো খারাপ দিক নিয়ে কথা বলায় ব্যস্ত তখন জানতে চাওয়া হলো তাদের মধ্যে কোন জিনিসটাতে মিল রয়েছে?
দুজনের একসঙ্গে জবাব, আমরা খুব ভালো ওরগানাইজ করতে পারি। যখন আমরা বন্ধুরা একসঙ্গে কিছু করার প্ল্যান করি তখন অন্যসবাই যখন ভাবছে কিভাবে করবে তখন আমরা সেটা করে ফেলি।
ভালোই কোন প্ল্যান চিন্তা করার সঙ্গেই তা আপনারা ওরগানাইজ করে ফেলেন। কিন্তু নিজেদের এমন কোন প্ল্যান আছে যা এখনও করা হয়নি?
আমাদের একটা প্ল্যান আছে। সেটা হলো আমাদের খুব ইচ্ছা আমরা তিনটা বন্ধু (এখানে সে উপস্থিত নাই) একসঙ্গে প্রেমিকা নিয়ে একটা জায়গায় ঘুরতে যাব। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেটা করা হলো না।
কথাটা হতাশ হয়ে বললেও হয়তোবা কোন একসময় ঠিকই পূরণ হবে। কিন্তু আড্ডার যে মূল উদ্দেশ্য সেটা হল বন্ধু দিবস। সেই বন্ধু দিবসে কোন উপহার কি দেয়া হয়। জানতে চাওয়া হয়েছিল দুজনের কাছেই।
মজার ব্যাপার হলো বন্ধু দিবসে এখন পর্যন্ত কোন উপহার দেয়া হয়নি আমাদের। আমরা যখন বাইরে যাই তখন কোন না কোন কিছু নিয়ে আসি। তবে এবার আমাদের উপহার দেয়া উচিত বন্ধু দিবসে। বলেই যেন হেসে উঠলেন দুজন।
তবে বন্ধু দিবসে অর্কের কাছে তৌসিফের চাওয়া সে যেন আরও বেশি বেশি সময় পার করে তার সঙ্গে। আরও অনেকটা পথ যেন তার সঙ্গে থাকে। অন্যদিকে অর্ক চেয়েছেন তৌসিফ যেন খুব শিগগিরিই বিয়ে করেন। আর তাতে কিন্তু সম্মতি জানিয়েছেন তৌসিফ।
আড্ডা প্রায় শেষ। কিন্তু একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম তারা একে অপরকে তুমি বলে ডাকছে। বিষয়টিতে আগ্রহ থাকায় তাই শেষ প্রশ্ন করলাম তাদের যে ‘তুমি’ ডাকার রহস্য কি?
উত্তর বলার আগেই হেসে দিলেন দুজন। এরপর তৌসিফ বলেন, সেটা বলতে হলে আবার শুরুর দিকে যেতে হবে। যখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়তাম তখন জুনিয়র কিছু পোলাপান আমাদের নাম ধরে ডাকা শুরু করল তখন আমি আর অর্ক চিন্তা করলাম এভাবে যদি তারা নাম ধরে ডাকে তাহলে তো সমস্যা। আমাদের মধ্যে বড় বড় ভাব থাকবে না। তখন আমরা একে অপরকে তুমি ডাকা শুরু করলাম যাতে ওরা বোঝে যে আমরা যেখানে তুমি ডাকি সেখানে তো নাম ধরে ডাকার কোন প্রশ্ন আসে না। সেই থেকে আমরা তুমি বলে ডাকি। যদিও এই তুমি ডাকের জন্য আমাদের অনেক কথা শুনতে হয়। বলেই যেন আবার হাসির রোল।
আর তাদের এই হাসির মধ্যে যেন ধরা পড়ছিল ১৬ বছরের বন্ধুত্বের ছাপ।
- ট্যাগ:
- তারকার জীবন
- বিনোদন
- টিভি
- তৌসিফ মাহবুব