ছবি সংগৃহীত

নারী সমাজের উন্নয়নে গাইবান্ধার ফ্রেন্ডশিপ

priyo.com
লেখক
প্রকাশিত: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০৬:১৭
আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০৬:১৭

(তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা) গাইবান্ধার চরাঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা, লিগ্যাল এইড এবং তাঁতশিল্পের মাধ্যমে নারী সমাজের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে গাইবান্ধার বেসরকারি সংগঠন ফ্রেন্ডশিপ। তাদের কর্মকান্ড এলাকার নারী ও বেকারদের স্বাবলম্বী করে তুলছে। পাশাপাশি ফ্রেন্ডশিপের দেওয়া আইনি সহায়তায় এলাকায় বাল্যবিয়ে ও যৌতুক প্রথাও কমে এসেছে অনেকাংশে।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি, সদর উপজেলা এবং কুড়িগ্রামের ৩৫টি চরে ফ্রেন্ডশিপ বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে হতদরিদ্র মহিলাদের সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। আগে যে চরগুলোতে বাল্য বিয়ে, নারী নির্যাতন ছিল নিত্যদিনের ঘটনা, স্বাস্থ্যসেবা ও লেখাপড়া ছিল স্বপ্নের মতো এখন সেই অক্ষরজ্ঞানহীন চরের মানুষের কাছে উপযুক্ত শিক্ষা ও কর্মসংস্থান নিয়ে হাজির হয়েছে ফ্রেন্ডশীপ। তারা বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামের হতদরিদ্র মহিলাদের কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। আর কর্মের ফলে অভাবী সংসারে এসেছে আর্থিক স্বচ্ছলতা। বন্ধ হয়েছে বাল্যবিয়ে ও নারী নির্যাতনের ঘটনাও।

ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের খাটিয়ামারি গ্রামের মরিয়ম বেগম ও জরিনা বেগম বলেন, চরে বাল্যবিয়ে আগে বেশি ছিল, এখন নাই। এখন এই চরে স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে।

একই গ্রামের আবুল কালাম মিয়া বলেন, ফেন্ডশিপ সংস্থার লোকজন আমাদের আইনী সহায়তা দিচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে সচেনতার করার পাশাপাশি যৌতুক নেওয়া ও দেওয়া অপরাধ এবং নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন বিষয়েও চরের এসব মানুষকে আইন সর্ম্পকে ধারণা দিচ্ছে।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ট্রেইনার জহুরুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন ২০-২৫ জন নারী-পুরুষকে এই কেন্দ্রের মাধ্যমে আইনি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। এতে তারা হয়রানির শিকার হচ্ছে না।

গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক সামছুল আলম হিরু জানান, ফ্রেন্ডশীপ সংস্থার এই উদ্যোগ নেওয়ার ফলে এ সব চরে বাল্য বিয়ে, নারী নির্যাতন যেমন কমেছে তেমনি বেড়েছে শিক্ষার হার, স্বাস্থ্যসেবা ও কর্মসংস্থানের সংখ্যাও। এসবের কারণে চরের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পেয়েছে।

লিগ্যাল এইডের পরিচালক ব্যারিস্টার আয়শা তাওসিন খান বলেন, এসব গ্রামগঞ্জ থেকে কীভাবে সুশাসনকে উপরে তুলে আনা যায় সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বিশেষ করে চরের নারীদের স্বাবলম্বী করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ৩৫টি চর বাদেও আমরা পর্যায়ক্রমে অন্য চরগুলোতে কাজ শুরু করব।