ছবি সংগৃহীত

দেশে ২৯০ উপজেলায় ফাইবার অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হচ্ছে

techadmin
লেখক
প্রকাশিত: ১১ জুন ২০১৩, ০৯:৫৫
আপডেট: ১১ জুন ২০১৩, ০৯:৫৫

(প্রিয় টেক) বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত শক্তিশালী কমন নেটওয়ার্ক আরো সম্প্রসারণ হচ্ছে। ৬৪ জেলার মধ্যে ২৯০ উপজেলায় ফাইবার অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন্স ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) অপারেটরদের সাথে চুক্তিস্বাক্ষর করেছে রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠান পাওয়ার গ্রিড কোম্পানী (পিজিসিবি)।

সম্প্রতি পিজিসিবির কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির ফলে এনটিটিএন অপারেটররা সারাদেশে পিজিসিবি ৩৬শ’ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করতে পারবে। এই ৩৬শ’ কিলোমিটারের মধ্যে ফাইবার এট হোম লিমিটেড ১৯০০ কিলোমিটার এবং বাকি ১৭০০ কিলোমিটার সামিট কমিনিউকেশন পেয়েছে। এই দুই এনটিটিএন অপারেটর সারাদেশে নেটওয়ার্ক বিস্তারে একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে। পিজিসিবির এই নেটওয়াকের্র ফলে এনটিটিএন অপারেটররা দেশের সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত হলো। এনটিটিএন অপারেটরদের এই অবকাঠামো ব্যবহার করে অন্যান্য টেলিকমিউনিকেশন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ সহজে তাদের সেবা নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছতে পারবে, যা একমাত্র ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য সহায়ক। চুক্তি সম্পাদনের সময় উপস্থিত ছিলেন পিজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কোম্পানি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিটিআরসি মহাপরিচালকসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, ফাইবার এট হোম ও সামিট কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ অন্যান্য উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ। উল্লেখ্য, এনটিটিএন অপারেটররা তাদের এনটিটিএন গাইডলাইন অনুসারে একমাত্র বৈধ ট্রান্সমিশন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সারাদেশে ভূগর্ভস্থ অপটিক্যাল ফাইবার লাইন বিস্তারে নিয়োজিত রয়েছে। এনটিটিএন অপারেটরদের মধ্যে ফাইবার এট হোম সারাদেশে ২ হাজার কিলোমিটার এবং ঢাকা শহরে ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভূগর্ভস্থ ফাইবার লাইন স্থাপন করেছে। অন্যদিকে সামিট কমিউনিকেশনও সারাদেশে একইভাবে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক বিস্তার করছে। এনটিটিএন অপারেটরদের এই কমন নেটওর্য়াকের ফলে দেশে ডিজিটাল বৈষম্য দূর হচ্ছে। এনটিটিএন অপারেটরদের মধ্যে ফাইবার অ্যাট হোম সারা দেশে ২ হাজার কিমি এবং ঢাকা শহরে ৫০০ কিমি পর্যন্ত ভূগর্ভস্থ ফাইবার লাইন স্থাপন করেছে। অন্যদিকে সামিট কমিউনিকেশনও সারা দেশে একইভাবে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক বিস্তার করছে। তাদের দাবি, এ কমন নেটওয়ার্কের ফলে দেশে ডিজিটাল বৈষম্য দূর হচ্ছে। ডিজিটাল বৈষম্য আরো দ্রুত দূরীকরণের জন্য সারা দেশে ৩ হাজার ৬০০ কিমি অপটিক্যাল ফাইবার এনটিটিএন অপারেটরদের দেয়ার জন্য একটি চুক্তি সম্পাদন করেছে পিজিসিবি। এই ৩৬০০ কিমির মধ্যে ফাইবার অ্যাট হোম লি. ১৯০০ কিমি এবং বাকি ১৭০০ কিমি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করবে সামিট কমিউনিকেশন। এ দুই এনটিটিএন অপারেটর সারা দেশে নেটওয়ার্ক বিস্তারে পরস্পরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে। এনটিটিএন অপারেটরদের এ অবকাঠামো ব্যবহার করে অন্যান্য টেলিকমিউনিকেশন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সহজে তাদের সেবা নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছতে পারবে। এ প্রকল্পের আওতায় ৭ হাজার ৮৩০ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপন করা হবে। কেনা হবে টার্মিনাল ইক্যুইপমেন্ট, ৭০ জেনারেটর। এজন্য ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৬১, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ২২৫, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১৯৬ ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। প্রসঙ্গত, প্রায় ৭২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে ই-সেবা দেয়ার জন্য আরো একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন চলছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি উপজেলায় প্রকল্পটির আওতায় সেবা দেয়া শুরু হয়েছে। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে কার্যক্রমের একটি বড় অংশ বাস্তবায়ন না হওয়ায় প্রকল্পটি সংশোধন করার পরিকল্পনা করছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। তবে কয়েকটি উপজেলার জন্য দুঃসংবাদও রয়েছে। দেশের একটি বড় অংশে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক নেই। এজন্য ৬৪ জেলার ২৯০ উপজেলায় নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করা হচ্ছে। তবে ভৌগোলিক কারণে ভোলা সদর, সমুদ্র উপকূলবর্তী সন্দ্বীপ, হাতিয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া, বড় নদী তীরবর্তী রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি, লংদু, জুরাইছড়ি, বিলাইছড়ি, বরকল ও বরিশালের মুলাদী, মেহেদীগঞ্জ ও হিজলা উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।