(তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা) কেন্দ্রের নির্দেশে ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। দীর্ঘ এক যুগ পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই সম্মেলন ঘিরে তৎপর হয়ে উঠেছেন পদ প্রত্যাশীরা। দিন যতো ঘনিয়ে আসছে নেতাকর্মীদের তৎপরতা ততোই বাড়ছে।

সাদুল্যাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের জন্য সোমবার বিকেল শেষ সময় পর্যন্ত যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা হলেন সভাপতি পদে সাদুল্যাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও গাইবান্ধা-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকার, বর্তমান সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ জাকারিয়া খন্দকার, বনগ্রাম ইউনিয়ন সহ-সভাপতি সামছুজোহা প্রামাণিক রাঙ্গা ও খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নজেল হোসেন।

সাধারণ সম্পাদক পদে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শাহারিয়ার খাঁন বিপ্লব, বর্তমান সহ-সভাপতি মোজহারুল ইসলাম, জেলা বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মতিয়ার রহমান, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুকুল ইসলাম ফারুক, বর্তমান ফরিদপুর ইউনিয়ন সভাপতি নুর আজম মন্ডল নিরব।

এ সম্মেলনকে সামনে রেখে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা ও হিসাব নিকাশ। আওয়ামী লীগের কাউন্সিলরদের মধ্যে একটাই প্রশ্ন এবার কে হবেন সাদুল্যাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক।

আর এই সম্মেলনকে সামনে রেখে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থীরা প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। ব্যানার ফেস্টুন লাগানোসহ দৌড় ঝাঁপ শুরু করেছেন ভোটাদের দ্বারে দ্বারে।

উপজেলার একাধিক কাউন্সিলর জানান, যারা দলের মর্যাদা রেখে এই উপজেলার অনিয়ম-দুর্নীতি রোধ করতে পারবে তাদেরকেই আমরা আগামী দিনের দলের অবিভাবক নির্বাচিত করব।

এই সম্মেলনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক আব্দুল জলিল সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সাদুল্যাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন বিগত ১৯ জানুয়ারি ২০০৪ইং তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। এর পর থেকে আর কোনো কাউন্সিল না হওয়ায় কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি সাদল্যাপুর বহুমূখী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করবেন গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাড. সৈয়দ শামস-উল আলম হিরু। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধরী।

তিনি আরও জানান, সম্মেলনে উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২৪৬ জন। এর মধ্যে ১১টি ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ইউনিয়নে ২১ জন করে ২৩১ জন এবং ১৫ জন কোয়াবশন কাউন্সিলর ভোটার রয়েছে।