ছবি সংগৃহীত

আশেপাশের সবাই কতটা "ভয়" পায় আপনাকে? জেনে নিন একটি মজার কুইজ খেলে

প্রিয় লাইফ
লেখক
প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ১৬:২০
আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ১৬:২০

সবাই বলে ‘রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন’! এই কথাটি কিন্তু অতিরিক্ত বদমেজাজি মানুষের জন্য একেবারে সত্যি কথা। কারণ রাগ উঠলে হুঁশ-জ্ঞান বজায় রাখা একটু কষ্টকরই বটে। অনেকেই আছেন যারা রেগে গেলে কাকে কী বলছেন বা কার সাথে কী ধরণের আচরন করছেন তা বুঝতে পারেন না। কারণ একটাই, অতিরিক্ত রাগ! রাগ এমন একটি জিনিষ যা মানুষের কাণ্ডজ্ঞান ধ্বংস করতে সক্ষম। রাগের মাথায় অনেকে এমন অনেক কাজ করে বসেন যা সুস্থ-স্বাভাবিক মস্তিষ্কে তিনি ভাবতেও পারতেন না। প্রতিটি মানুষেরই উচিৎ নিজের রাগটাকে একটু নিয়ন্ত্রণে রাখা। যদিও কথায় বলে যাদের রাগ বেশি তারাই মনের দিক থেকে ভালো মানুষ হয়। কারণ তারা রাগের মাধ্যমে ভেতরের ক্ষোভ প্রকাশ করে পরিশুদ্ধ মনের অধিকারী হতে পারেন, যা অন্য মানুষ পারেন না। তারপরও রাগটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখাই ভালো। রাগ আমরা সবাই হই, কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন যে এই রাগের জন্য কেউ আপনাকে ভয় পাচ্ছে কিনা? কিংবা আশেপাশের মানুষ আপনাকে কতটা সমঝে চলে? আপনার মেজাজের ঝাঁজকে কতটা পরোয়া করে? যদি জানতে ইচ্ছা হয় তো জেনে নিতে পারেন আমাদের এই দারুণ মজার কুইজটি থেকে। আসুন, খেলি!

১. সাধারণত রাগ উঠলে আপনি কি করেন?

ক) চুপচাপ বসে রাগ কমানোর চেষ্টা করেন খ) জিনিষপত্র ভাংচুর বা ছোড়াছুঁড়ি করেন গ) আমার রাগ ওঠেই না বলতে গেলে ঘ) অন্যের ওপর রাগ ঝাড়েন ঙ) রাগটা যুক্তিসঙ্গত কিনা বোঝার চেষ্টা করেন তারপর রাগ দেখান।

২. সকালে আপনার একটু গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে, ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়েছিলেন কিন্তু অ্যালার্ম বাজেনি, কী করবেন?

ক) তাড়াহুড়ো করে তৈরি হয়ে রওনা দেবেন কাজে খ) প্রথমে ঘড়ি আছাড় দিয়ে ভেঙে নেবেন গ) আজকের দিনটাই খারাপ বলে তৈরি হওয়া শুরু করবেন ঘ) সারাদিন মেজাজ খারাপ করে থাকবেন ঙ) সামনে যাকে পাবেন তার সাথেই রুঢ় আচরন করবেন

৩. আপনি কোনো ভুল করেছেন, কী করবেন?

ক) ভুল মেনে নেবেন চুপচাপ খ) নিজেকে সঠিক প্রমানের চেষ্টা চালিয়ে যাবেন গ) নিজের ওপর রাগ করে ঘরের জিনিষপত্র ভাংচুর করবেন ঘ) অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করবেন ঙ) নিজেকে দোষারোপ করবেন

৪. সকালে বিছানায় ঘুম ভেঙে আপনার প্রথম চিন্তা

ক) আরেকটি অসাধারণ দিন আমার জন্য অপেক্ষা করছে খ) আমি যদি অ্যালার্ম ঘড়িটাকে ছুঁড়ে মারি তাহলে কী এটা বন্ধ হবে? গ) উফ! অসহ্য আরেকটা দিনের শুরু ঘ) চা/কফি খেয়ে দৌড় দিতে হবে কাজে ঙ) ধুর, স্বপ্নটা ভেঙে গেল!

৫. আপনি বাসে উঠে কাজের উদ্দেশে যাচ্ছেন, বাসের ভাড়া অতিরিক্ত চাইলে আপনি কি করবেন?

ক) কন্ডাক্টরকে মারবেন খ) চুপচাপ টাকা দিয়ে দেবেন গ) ঝগড়া শুরু করবেন ঘ) হুমকি দেবেন আপনি আপনার এলাকায় গেলে বাস ভেঙে দেবেন ঙ) আশে পাশে মানুষকে নিজের কথায় সায় জানাতে বলবেন

৬. আপনি নতুন একটি ইলেকট্রিক জিনিষ বাজার থেকে কিনে আনলেন, কিন্তু সব কিছু ঠিক থাকা সত্ত্বেও জিনিষটি চলছে না, আপনি কি করবেন?

ক) জিনিষটি তুলে আছাড় মারবেন খ) দোকানে ছুটবেন সেলসম্যানের সাথে ঝগড়া করতে গ) ভালো করে আবার চেষ্টা করবেন জিনিষটি চালানোর, না হলে দোকানে নিয়ে যাবেন বদলে আনতে ঘ) ধুর! পয়সাটাই নষ্ট বলে বসে থাকবেন ঙ) জিনিষটি চলছে না বলে চেঁচামেচি করবেন

৭. আপনি আপনার প্রিয় মানুষটির সাথে কথা বলছেন, হঠাৎ লক্ষ্য করলেন তিনি আপনার কথা শুনছেন না, কি করবেন?

ক) আপনি কথা বলা বন্ধ করে উঠে চলে যাবেন খ) প্রিয় মানুষটির সাথে ঝগড়া শুরু করবেন গ) হাতের কাছে থাকা কোন বস্তু ছুঁড়ে মারবেন তার দিকে ঘ) তাকে জিজ্ঞেস করবেন, আপনার কথা না শোনার কারণ ঙ) তার সাথে ১ সপ্তাহ কথা বলা বন্ধ রাখবেন

৮. আপনার সামনে কেউ নিজেকে অনেক বড় বলে বড়াই করছেন , কিন্তু আসলে তিনি তা নন। কী করবেন?

ক) তাকে মারতে উদ্যত হবেন খ) তাকে সবার সামনে অপমান করার চেষ্টা করবেন গ) মুচকি হেসে সেখান থেকে চলে যাবেন ঘ) চুপচাপ বসে বসে বিরক্ত হবেন ঙ) রেগে গিয়ে তাকে চুপ থাকতে বলবেন

৯. বন্ধুদের আড্ডায় আপনার কাছের কোন বন্ধু আপনাকে নিয়ে বেশ মজা করছেন যা আপনাকে অপমানিত করছে, আপনি কি করবেন?

ক) উত্যক্ত হয়ে পাল্টা জবাব দেবেন খ) মনে মনে বন্ধুত্ব ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেবেন এবং পরবর্তীতে তাকে অপমানের চেষ্টা করবেন গ) সবার সামনে প্রতিবাদ মুখর হয়ে বন্ধুর সাথে ঝগড়া বা মারামারিতে লিপ্ত হবেন ঘ) বন্ধুই তো, এই ভেবে চুপচাপ অপমান হজম করবেন ঙ) আড্ডা ছেড়ে উঠে চলে যাবেন

১০. কেউ যদি আপনাকে অযথা কোন কিছুর জন্য দোষারোপ করে তখন কি করবেন?

ক) রেগে গিয়ে প্রতিবাদ করবেন খ) প্রচণ্ড ক্ষোভ নিয়ে ঝগড়া কিংবা মারামারি করবেন গ) মনে মনে প্রতিশোধ নেবার প্ল্যান করবেন ঘ) কষ্ট পেয়ে চুপচাপ বসে থাকবেন ঙ) উপযুক্ত প্রমাণ জোগাড় করে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করবেন

১১. আপনার কারো সাথে ঝগড়া হলে সাধারণত আপনি কি করেন?

ক) মারামারি বাঁধিয়ে দেন খ) সামনে কিছু না বললেও প্রতিশোধ নেয়ার চিন্তা করেন গ) মানুষটি কে তার ওপর নির্ভর করে কাজ করেন ঘ) মুখের ওপর যা তা বলে দেন ঙ) সাধারণত আমার কারো সাথে ঝগড়া হয় না

ফলাফলঃ

১ এর ক-৫ খ-১৫ গ-০ ঘ-২০ ঙ-১০ ২ এর ক-০ খ-১৫ গ-৫ ঘ-১০ ঙ-২০ ৩ এর ক-০ খ-১০ গ-১৫ ঘ-২০ ঙ-৫ ৪ এর ক-০ খ-১৫ গ-২০ ঘ-৫ ঙ-১০ ৫ এর ক-২০ খ-০ গ-১০ ঘ-১৫ ঙ-৫ ৬ এর ক-১৫ খ-২০ গ-৫ ঘ-০ ঙ-১০ ৭ এর ক-৫ খ-১০ গ-১৫ ঘ-০ ঙ-২০ ৮ এর ক-১৫ খ-২০ গ-৫ ঘ-০ ঙ-১০ ৯ এর ক-১০ খ-২০ গ-১৫ ঘ-০ ঙ-৫ ১০ এর ক-১০ খ-১৫ গ-২০ ঘ-০ ঙ-৫ ১১ এর ক-১৫ খ-২০ গ-৫ ঘ-১০ ঙ-০

০ থেকে ৪৯ এর জন্যঃ

আপনি মোটেও বদমেজাজি নন। এমনকি আপনার রাগও বেশ কম। রাগ ওঠে না বললেই চলে। আপনি বেশ নরম স্বভাবের মানুষ। এটি কিন্তু আপনার জন্য ভালো নয়। কারণ পৃথিবীটা শক্তের ভক্ত আর নরমের যম। আপনাকে নরম স্বভাবের পেয়ে আপনার কথিত বন্ধু বান্ধবেরাও আপনাকে নিয়ে মজা করে। অনেক ক্ষেত্রেই আপনাকে ঠিক পাত্তা দিতে চায় না। আপনাকে একটু শক্ত প্রকৃতির হতে হবে।

৫০ থেকে ৯৯ এর জন্যঃ

আপনি অনেক কম রাগ করেন। খুব বেশি মাত্রায় উত্যক্ত না হলে সাধারণত রাগেন না। আপনার আদর্শ অহিংসা পরম ধর্ম। আপনি অনেক ভালো মনের মানুষ। তবে জীবন চলতে গেলে একটু রাগ থাকা ভালো। এতে জীবনের লক্ষ্য নির্দিষ্ট হয়। রাগ কম থাকার কারণে সকলে আপনাকে যথেষ্ট পছন্দ করে, তবে প্রেম ভালোবাসার ক্ষেত্রে এই কম রাগ নিয়ে আপনি প্রতারণার শিকার হতে পারেন।

১০০ থেকে ১৩৯ এর জন্যঃ

আপনাকে আশেপাশের সকলে মোটামুটি সমঝেই চলে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপনাকে প্রতিনিয়তই রুখে দাড়াতে হয় এবং আপনি নির্দ্বিধায় রুখে দাঁড়ান। তবে আপনার মেজাজের মাত্রা আপনি নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। এটি আপনার সব চাইতে ভালো গুণ। আপনি খুব বেশি মাত্রায় রাগেন না এবং যুক্তিসঙ্গত কারনেই রেগে থাকেন। আপনার মেজাজের ঝাঁজ ঠিকই আছে বলা যায়।

১৪০ থেকে ১৭৯ এর জন্যঃ

আপনি বেশ মেজাজী একজন মানুষ। দূরের কেউ সেটা না বুঝলেও কাছের মানুষেরা আপনাকে বেশ ভয় পায়। হুট করেই আপনার রাগ উঠে যায়। তবে রাগ উঠলে কোনো হুঁশ জ্ঞান থাকে না আপনার। আপনি জিনিষপত্র ভাংচুর করে রাগ প্রকাশ করেন। আপনার রাগ নিয়ন্ত্রণে আনাও বেশ কষ্টকর। কিন্তু আপনি প্রচণ্ড আবেগী মানুষ। আপনার রাগের সাথে আপনার কষ্টের সম্পর্ক রয়েছে। আপনার রাগ ভালোবাসা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। কারণ ওপরে বেশ বদমেজাজী ও রাগী হলেও আপনি ভেতরে অনেক ভালো মনের মানুষ।

১৮০ থেকে ২২০ এর জন্যঃ

আপনি চূড়ান্ত মাত্রায় বদমেজাজি এবং রাগী মানুষ। রেগে গেলে আপনার হুশ জ্ঞান ঠিক থাকে কিন্তু তা পুরোটাই যার ওপরে আপনার রাগ তার ক্ষতি করার চিন্তায় মগ্ন থাকে। আপনার রাগ অনেকটা বিধ্বংসী ধরণের। এতোটা রাগ ভালো নয়। কারণ অন্যের ওপর প্রতিশোধ নেয়ার চিন্তায় আপনি নিজেরই ক্ষতি করে ফেলেন। এই রাগের কারণে অনেকেই আপনাকে অপছন্দ করে।