ছবি সংগৃহীত

আপনার কানের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর যে ৫টি কাজ

Kaniz DIya
লেখক
প্রকাশিত: ০২ জানুয়ারি ২০১৫, ১৭:১৯
আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৫, ১৭:১৯

(প্রিয়.কম) গত কয়েক বছর যাবত কানের সমস্যা এবং শ্রবণশক্তি হ্রাস হওয়া বা হারানো মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কিন্তু আমরা এই সমস্যা নিয়ে কেউই তেমন চিন্তিত নই। আমরা বর্তমানে শুনতে পাচ্ছি বলে ভাবছি কোন সমস্যাই হচ্ছে না বা হবে না। কিন্তু বেশ কিছু কাজ যা আমরা প্রতিনিয়ত করছি সেগুলোর কিছু দীর্ঘমেয়াদী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে যার ফলে আমাদের কানের স্থায়ী ভাবে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে থাকে। এইসকল কাজ করা থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিত এবং সতর্ক হওয়া উচিত আজ থেকেই।

১) হেডফোন অতিরিক্ত ব্যবহার করবেন না

অনেকেই কানে হেডফোন লাগিয়ে রাখেন অনেকটা সময় ধরে। এতে করে কানের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে থাকে। ২০-২৫ মিনিটের বেশি কানে হেডফোন লাগিয়ে রাখা একেবারেই উচিত নয়।

২) উচ্চ সুরে গান শোনা থেকে বিরত থাকুন

সাউন্ডবক্স হোক বা ইয়ারফোন হোক না কেন অতিরিক্ত সাউন্ড দিয়ে গান শোনার অভ্যাসটি কানের এবং শ্রবণশক্তির জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। ডাক্তারগণ বলেন ৮৫ ডেসিবেলের বেশি শব্দ যদি কেউ প্রতিনিয়ত শুনতে থাকে, তাহলে ধীরে ধীরে তার শ্রবণশক্তিও ক্ষতিগ্রস্থ হতে থাকে। অতিরিক্ত আওয়াজে আমাদের কানের পর্দায় প্রদাহের সৃষ্টি হয় যায় ফলে কানের পর্দার স্থায়ী ক্ষতি হয়।

৩) ধাতব কোনো কিছু দিয়ে কান খোঁচানোর অভ্যাস ত্যাগ করুন

আমাদের কানের ভেতরের অংশ অতিরিক্ত মাত্রায় সংবেদনশীল। একারণে কানের ভেতরে কোনো ধরণের ধাতব কিছু ঢোকাবেন না। এতে করে ইনফেকশনের সম্ভাবনা থাকে।

৪) কান পরিষ্কারের সময় সতর্ক থাকুন

অনেক সময়েই আমরা ইয়ারবাড দিয়ে কান পরিষ্কার করে থাকি। অনেকে কান চুলকালে ম্যাচের কাঠিও ব্যবহার করে থাকেন যা একেবারেই উচিত নয়। কান পরিষ্কারের সময় অনেক বেশি সতর্ক থাকার চেষ্টা করুন। কানের বেশি ভেতরে পরিষ্কার করতে যাবেন না। যদি প্রয়োজন মনে হয় তবে এবারে এক্সপার্টের সহায়তা নিন।

৫) কান ব্যথাকে বা কানের ইনফেকশনকে অবহেলা করবেন না

অনেক সময় আমরা সামান্য কান ব্যথাকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে চাই না। এবং অনেকে কানের ইনফেকশনও বেশি গুরুত্ব দিতে চান না। এগুলো কানের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কানের সামান্য প্রদাহ এবং ইনফেকশন অবহেলা করা কানের জন্য বড় ধরণের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই কানে ব্যথা হলে এবং ইনফকশন চোখে পড়লে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। সূত্রঃ হেলথডাইজেস্ট