ছবি সংগৃহীত

অপু বিশ্বাসের বক্তব্যে আহত মৌসুমী

priyo.com
লেখক
প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০১৫, ০৮:৩৩
আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৫, ০৮:৩৩

(প্রিয়.কম) জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়ে অপু বিশ্বাসের বক্তব্যের পর এবার পাল্টা বক্তব্য দিলেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। ১১ তারিখ রাতে অপু বিশ্বাসের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজ থেকে অপু বিশ্বাস জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের উপর অনাস্থা পোষণ করে একটি স্ট্যাটাস প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে প্রিয়.কম অপু বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলে একটি সংবাদ প্রচার করে। এদিকে উক্ত সংবাদ এবং অপুর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে চিত্রনায়িকা মৌসুমী ১২ তারিখ দুপুরে একটি পাল্টা স্ট্যাটাস দেন।

মৌসুমী তার স্ট্যাটাসে বলেন, ‘অপু কে আমি যতদুর চিনি এমন স্ট্যাটাস সে কখনো দিতে পারেনা। তার অজান্তে এটা পোস্ট হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস, অপু ফিল্ম এর জন্য কম কষ্ট করে নি ভালোবেসে ফেলেছে, সবাই যখন হাল ছেড়ে দিলো অপু তখনও হাল ছাড়ে নি। যারা তাকে নিয়ে আমাকে জড়িয়ে এমন অপপ্রচার করছেন, ফিল্ম কে ধংস করছেন, এবার থামুন। আর কত মিথ্যা! আমাকে নিয়ে তো আর কোনো খবর বাকি নাই, মনের মাধুরী মিশিয়ে তারা কথা লিখেন একবারও কি ভাবেন যে এতে দেশও নোংরা হয়। আসুন আর নোংরা না করি। আসুন সবাই মিলে এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রূখে দাড়াই।' উল্লেখ্য ১০ মার্চ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের গেজেট ঘোষণা করা হয়েছে। চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত 'দেবদাস' ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে পুরস্কার পেয়েছন মৌসুমী। কিন্তু দেবদাস ছবির প্রধান চরিত্র পার্বতীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অপু বিশ্বাস। এ প্রসঙ্গে অপু তার কষ্টের কথা জানান ফেসবুকে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারকেও করেন কড়া সমালোচনা। অপু তার স্টেটাসে বলেছিলেন, 'মৌসুমী আপু অনেক ভালো কাজ করেন এবং দেবদাস ছবিতেও অনেক ভালো কাজ করেছেন। কিন্তু ছবিতে পার্শ্ব অভিনেত্রী ছিল মৌসুমী আপু। তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পাচ্ছে দেবদাস ছবিটির জন্য। কিন্তু ছবিটির প্রধান নায়িকা আমি। দেবদাস ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার পেলে সেটা আমার পাওয়ার কথা।কিন্তু পাচ্ছেন মৌসুমী আপু। এমন বিচারক কমিটির কার্যক্রমে আমি হতাশ।এভাবে আর কত দিন? আমরা শিল্পীরা কি কোন দিন সঠিক মূল্যায়ন পাবোনা?'
এদিকে চিত্রনায়িকা মৌসুমী চলচ্চিত্রে তার দীর্ঘদিনের অবস্থান নিয়ে আবেগঘন বক্তব্য দিয়েছেন। মৌসুমী তার স্ট্যাটাসে বলেন, ‘সারাজীবন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি, সবার ভালো মন্দ মিশানো কথাও শুনেছি। জীবনে মানুষকে অনেক রূপে আসতে যেতে দেখেছি, ভালোবাসাকে ঘৃনা আর ঘৃনাকে ভালোবাসায় বদলাতে দেখিছি অনেক কষ্ট পেয়েছি সামলেও নিয়েছি। এই ইন্ডাস্ট্রিকে যে খুব ভালোবেসে ফেলেছি। থাক সেসব কথা। কিছু মানুষ থাকবে সিনেমা কে ধংস করতে, যেমন এই ছবিটা (অপুর স্টেটাসের স্ক্রিনশট) আমাকে ইনবক্স করা হয়, সারারাত ভাবলাম চুপ থাকবো। কিন্তু এতে তো সাহস বাড়বে, আমাদের থেমে না থেকে আগে বাড়ত��� হবে।’ এবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ২৫টি ক্যাটাগরির ১৭টি জিতেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত গাজী রাকায়েত এর ‘মৃত্তিকা মায়া’। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ পরিচালক, প্রধান চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা, শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা-অভিনেত্রী, শ্রেষ্ঠ খলচরিত্র, শ্রেষ্ঠ কাহিনিসহ মোট ১৭টি শাখায় শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার পায় এই ছবি। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র শাখায় যৌথভাবে পুরস্কার পাচ্ছেন ফরিদুর রেজা সাগর ও গাজী রাকায়েত। ছবিটি অন্য যেসব বিভাগে সেরা হয়েছে, তার মধ্যে আছে শ্রেষ্ঠ সম্পাদক, শ্রেষ্ঠ শিল্পনির্দেশক, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক, পোশাক ও সাজসজ্জা এবং মেকআপম্যান। এদিকে প্রধান চরিত্রে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন মৌসুমী (দেবদাস) ও শর্মিমালা (মৃত্তিকা মায়া)। সেরা অভিনেতা হয়েছেন তিতাস জিয়া। পার্শ্বচরিত্রে সেরা অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ এবং সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী অপর্ণা। খলচরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা মামুনুর রশীদ।