ছবি সংগৃহীত

রোমের বাদশা হেরাক্লিয়াসের কাছে রাসুলের [সা] পত্র!

মাওলানা মনযূরুল হক
লেখক
প্রকাশিত: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০৬:২৪
আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০৬:২৪

হোদাইবিয়ার সন্ধির পর অবস্থা স্বাভাবিকভাবেই শান্তিপূর্ণ হয়ে যায়। ইসলামের দাওয়াত স্বাদ গ্রহণের সুযোগ পায় এবং উন্নতি ও প্রগতির পথে অগ্রসর হওয়ার নতুন রাস্তাসমূহ বিস্তৃত হতে থাকে। এই সুযোগে রাসুল [সা] পৃথিবীর বিভিন্ন শাহানশাহ, সম্রাট ও আরবের আমির-উমারা বরাবর কতকগুলো চিঠি লেখেন এবং তাদেরকে অত্যন্ত বিজ্ঞজনোচিত পন্থায় ইসলামের দাওয়াত দেন। এজন্য তিনি বেশ আয়োজন করেন এবং প্রত্যেক সম্রাটের জন্য এমন সব দূত নির্বাচিত করেন যারা তাদের সম্মান ও মর্যাদা মোতাবেক কথাবার্তা বলতে পারেন এবং সেখানকার ভাষা, তাছাড়া দেশের অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। হেরাক্লিয়াসের নামে প্রেরিত পত্র তিনি হজরত দাহিয়্যাতুল-কালবী মারফত পাঠান এবং তিনি বসরার মাধ্যমে এই পত্র সম্রাট হেরাক্লিয়াসের কাছে পৌঁছে দেন। পত্রটি নিন্মে... “পরম দাতা ও দয়ালু আল্লাহর নামে। মুহাম্মদের পক্ষ থেকে যিনি আল্লাহর বান্দা ও তার রাসুল, এই পত্র রোম সম্রাট হেরাক্লিয়াসের নামে প্রেরিত হচ্ছে। হেদায়াতের অনুসারীদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক! এরপর আমি তোমাকে ইসলামের দিকে আহ্বান করছি। ইসলাম কবুল কর, শান্তি পাবে। আল্লাহ তোমাকে দ্বিগুণ পুরষ্কার দেবেন। আর তুমি যদি তা না মান, এর থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও তাহলে তোমার প্রজাবর্গের গোনাহও তোমার কাঁধে চাপবে। হে কিতাবধারিগণ! এমন একটি কথার দিকে এস যা তোমাদের ও আমাদের মাঝে বরাবর আর তা হলো, আমরা আল্লাহ ছাড়া অপর কারোর ইবাদত করবো না। আর আমাদের কেউ আল্লাহকে বাদ দিয়ে আমাদের কাউকে ‘রব’ তথা প্রভু-প্রতিপালক হিসাবে গ্রহণ করবো না। আর যদি তোমরা এর থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও তাহলে বল, সাক্ষী থাক, আমরা মুসলমান।” (নবিয়ে রহমত) মূল- সাইয়েদ আবুল হাসান আলি নদভি রহ. অনুবাদ- মাওলানা মনযূরুল হক