কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর
হাশেম খান

হাশেম খান

শিল্পী, জাতীয় জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি

চাঁদপুর জেলার ডাকাতিয়া নদীর তীরে সবুজ শ্যামল 'শেখদী' গ্রামে পিতা মো. ইউসুফ খান ও মাতা নূরুন্নেসা বেগম এর ঘরে ১৯৪২ সালের ১৬ এপ্রিল, বাংলা ১৩৪৮ এর ৩ বৈশাখ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন দেশবরেণ্য শিল্পী হাশেম খান। তিনি ১৯৫৬ সালে গভর্নমেন্ট ইনস্টিটিউট অব আর্টস এন্ড ক্রাফটস ( বর্তমানে চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) এ প্রথম শ্রেণিতে পাঁচ বছরের শিক্ষা কোর্স সমাপ্ত করেন। ১৯৬১-১৯৬৩ সালে চারুকলা ইনস্টিটিউটে মৃৎশিল্প বিষয়ে রিসার্স স্কলার। ১৯৫৬ সাল থেকেই নিয়মিত ছবি আঁকছেন এই প্রখ্যাত শিল্পী এবং দেশে বিদেশে প্রায় ৫০টি প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছেন। ১৯৮৯ সালে বুলগেরিয়ার অষ্টম আন্তর্জাতিক তৈলরঙ ছবির কর্মশালায় ১৪টি দেশের শিল্পীদের ছবির মধ্যে তার ছবি শ্রেষ্ঠ শিল্পকর্ম হিসেবে বিবেচিত হয়। 'নবান্ন' উৎসব, বসন্ত উৎসব, মঙ্গল শোভাযাত্রা, বাংলা নববর্ষ ইত্যাদি উৎসবের প্রথম প্রবর্তনে ও প্রতিষ্ঠার অন্যতম নেতা। ’৬৯ এর গণ-আন্দোলনে চারুশিল্পীদের সক্রিয়ভাবে যোগদানের অন্যতম সংগঠক এবং ১৯৭১ সালে সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে সম্পৃক্ত ছিলেন। শত্রু দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়েও আহত অবস্থায় ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধ চালিয়ে যান এই শিল্পী। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর যাত্রী লাউঞ্জ, বাংলাদেশ বিমানের প্রধান কার্যালয়- 'বলাকা' চত্বরের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ, কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার, ইউনাইটেড হাসপাতাল, টাকা জাদুঘর, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারসহ বেশ কিছু ম্যুরাল তিনি তৈরি করেছেন যা সাধারণ মানুষকে মুগ্ধ করেছে।

সংবাদ

loading ...