আসিফ মেহ্দী
সাহিত্যিক, সাইন্স ফিকশন লেখক
সবাই তাকে চেনে আসিফ মেহ্দী হিসেবে । পরিবারের কাছে অবশ্য তার নাম চপল। জন্মেছেন ১৯৮৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর। কন্যা রাশির এই জাতকের জন্ম হয়েছিল কুষ্টিয়ায়। স্থায়ী ঠিকানা গ্রাম/ডাকঘর: বসন্তপুর, থানা: শৈলকূপা, জেলা: ঝিনাইদহ, বিভাগ: খুলনা। বাবা মো. সুজায়াত হোসেন এবং মা সাহানা সুলতানা চামেলীর তিন সন্তানের একজন আসিফ। অন্য দুই ভাইয়ের নাম আতিক মেহ্দী ও তারেক মেহ্দী। স্ত্রী ডা. মৌবীণা জ্যাকলিন বারি। বর্তমানে সরকারি চাকুরিজীবী হিসেবে সহকারী বেতার প্রকৌশলীর পদে বাংলাদেশ বেতারের গবেষণা ও গ্রহণ কেন্দ্রে কর্মরত আছেন। প্রথম বই ‘বেতাল রম্য’। সেসময়ে রম্য পত্রিকা ‘রস+আলো’ এবং স্যাটায়ার ম্যাগাজিন ‘উন্মাদ’-এ লেখালেখি সুত্র ধরেই প্রথম বইটি ছিল রম্যগল্পের সংকলন। বইটির প্রচ্ছদ করেছিলেন বরেণ্য রম্যলেখক, স্বনামধন্য কার্টুনিস্ট, ‘উন্মাদ’-এর প্রধান সম্পাদক আহসান হাবীব। বইটি প্রকাশ করেছিল, শুভ্র প্রকাশ। স্কুল-কলেজ-ভার্সিটিতে অনেকের সঙ্গেই ভালো বন্ধুত্ব থাকলেও বর্তমানে সবচাইতে কাছের বন্ধু মনে করেন সহধর্মিণী মৌবীণা জ্যাকলিন বারিকে। এছাড়াও সবসময় লেখালেখিতে উৎসাহ , অনুপ্রেরণা দেওয়া ফেসবুক পেজ ও আইডির ফ্রেন্ডস ও ফলোয়ারস লিস্ট-এ থাকা পাঠকবন্ধুদেরকেও কাছের বন্ধু মনে করেন তিনি। পড়াশোনা করেছেন যথাক্রমে, স্কুল- বি, এ, এফ, শাহীন কলেজ ঢাকা, কলেজ: নটরডেম কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়: বুয়েট-এ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং। লেখকের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১৪। ছোটবেলা থেকেই অনেক রকম শখ ছিল এই লেখকের। সময় আর বয়সের সাথে সাথে পালটে গিয়েছে সেগুলো। যেমন: ছবি আঁকা, স্ট্যাম্প কালেকশন, বিদেশি মুদ্রা সংগ্রহ ইত্যাদি। তবে লেখালেখিতে আগ্রহ ছিল সারাজীবনই। ক্লাস থ্রি-তে পড়ার সময় লিখেছিলেন প্রথম ছড়া ‘পেটুক ভাই’। তখন টাকা জমিয়ে দুই টাকা দিয়ে লুকিয়ে খাতা কিনে তাতে নিজের লেখাগুলো লিখে রাখতেন আসিফ। সেসময় পাঠ্যবই ছাড়া বাসা থেকে অন্য বই পড়ার ক্ষেত্রে উৎসাহ পাননি; তাই গল্পের বই তেমন না পড়লেও লেখালেখি করতেন সুযোগ পেলেই। ক্লাস সেভেন-এ পড়ার সময় স্কুলে প্রথম দেয়ালিকা করেন! এরপর পত্রিকা তৈরির কাজ শুরু। প্রথম পত্রিকা ছিল বদহজম। এরপর হযবরল, লেখালেখি, টাটকা নামে আরও অনেকগুলো পত্রিকা প্রকাশ করেন। বর্তমান বাসস্থান উত্তরার সেক্টর ১৩ তে। প্রিয় সিনেমা ‘জীবন থেকে নেয়া’। প্রিয় ব্যক্তি লেখকের বাবা।প্রিয় বই জীবনে পড়া প্রথম উপন্যাস, ‘শেষের কবিতা’। প্রিয় খাবার নানরুটি, চিকেন গ্রিল এবং ঠাণ্ডা কোক-এই প্যাকেজটি! প্রিয় রং সবুজ! প্রিয় স্থান খুলনা। স্কুলের প্রত্যেকটি শিক্ষকই খুব প্রিয়। লেখকের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা লেখালেখির মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেওয়া। যদিও মানুষ জানেনা যে, লেখালেখির পাশাপাশি আসিফ হালকা-পাতলা উপস্থাপনা এবং অভিনয়ও করতে পারেন। বুয়েটে বা বিপিএটিসিতে (সরকারি ক্যাডার অফিসারদের প্রশিক্ষণকেন্দ্র) বিভিন্ন প্রোগ্রামে উপস্থাপনা ও অভিনয় করেছেন তিনি। এছাড়া একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে তিন বছর শিশুকিশোরদের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেছেন। জীবনে লেখক হতে চেয়েছিলেন, হয়েছেন। প্রকৌশলী হবার কথা ছিল। হয়েছেন। তবু মনে হয় লেখার জন্য পুরোপুরি অভিজ্ঞতা এখনো পাননি তিনি। লেখালেখিকে সমৃদ্ধ করার জন্য বিচিত্র প্রকৃতি ও পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন জনপদের সঙ্গে থাকার অভিজ্ঞতা দরকার। এর জন্যে দেশের বাইরে যাওয়া দরকার। সেটা এখনো যাওয়া হয়নি লেখকের।
আসছে বইমেলায় অনিন্দ্য প্রকাশ থেকে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে জনপ্রিয় সাহিত্যিক আসিফ মেহ্দীর সায়েন্স ফিকশন তরু- b„। রহস্য আর অ্যাডভেঞ্চারে মোড়া বইটি যে লেখকের আর সবগুলো বইয়ের মতন পাঠক জনপ্রিয়তা পাবে সেটা জানা কথা। তবে আজ বই নিয়ে নয়, প্রিয়.কমের সামনে আসিফ মেহ্দী হাজির হয়েছেন নিজের কিছু ন্যানো কাব্য নিয়ে।
সংবাদ