ছবি সংগৃহীত

Viper4Android Fx দিয়ে বদলে ফেলুন অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আপনার মিউজিক অভিজ্ঞতা

Mosabbir Ahmad Khan
লেখক
প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারি ২০১৪, ০৭:০৫
আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৪, ০৭:০৫

sc (প্রিয় টেক) বিভিন্ন ধরনের স্মার্ট ডিভাইস ধীরে ধীরে আমাদের বর্তমান জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠছে। বহুবিধ ব্যবহার উপযোগিতাই এর প্রধান কারণ। আর স্মার্ট ডিভাইসের মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মের ডিভাইস এ মুহুর্তে শীর্ষ স্থানে রয়েছে। স্মার্ট ডিভাইসগুলোকে মাল্টিমিডিয়ার বিকল্প হিসেবে অগণিত ব্যবহারকারী ব্যবহার করে থাকেন। সহজে বহনযোগ্য বলে গান শোনা, মুভি কিংবা অন্য কোন ভিডিও দেখা, গেইম খেলা ইত্যাদি মাল্টিমিডিয়ার কাজে অনেকেই আজকাল তার নিজের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট ফোন কিংবা ট্যাবকেই ব্যবহার করে থাকেন। আর মাল্টিমিডিয়া সংক্রান্ত এ সমস্ত কাজের বড় একটি অনুষঙ্গ হল ডিভাইসটির অডিও কোয়ালিটি। অডিও আউটপুট ভাল না হলে ব্যবহারকারী কখনই সন্তুষ্ট চিত্তে তার ডিভাইসে নিজের প্রিয় মিউজিক, ভিডিও বা গেম উপভোগ করতে সক্ষম হবেন না, উল্টো এটি ব্যবহারকারীদের মধ্যে এক ধরনের বিরক্তির উদ্রেক করবে। অডিও কোয়ালিটি কিংবা এ সংক্রান্ত ভালো লাগা মন্দ লাগা ব্যাপারটি আপেক্ষিক। অর্থাৎ বিষয়টি একেকজনের কাছে একেক রকম। আমার কাছে যেটি ভালো, কিংবা আমাকে যেটি প্রশান্তি দেয় সেটি হয়তো আরেকজনের কাছে ভালো নাও লাগতে পারে। অন্যদিকে শখ করে কেনা পছন্দের ডিভাইসটির সবদিক ঠিক থাকলেও দেখা গেল অডিও কোয়ালিটি আশানুরূপ নয়, কিংবা দেখা গেল আমি এইচটিসি বিটস অডিও ফ্যান, কিন্তু সবদিক বুঝে শুনে আমাকে সনি ডিভাইস কিনতে হয়েছে। সনির অডিও কোয়ালিটি হয়তো আমাকে বিটস এর মত প্রশান্তি দিচ্ছে না। সেক্ষেত্রে আমরা কি করবো এটি একটি ভাবনার বিষয় বটে। অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মে অনেক ধরনের ইকুয়ালাইজার কিংবা অডিও প্লাগিন থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেগুলো ছড়ানো-ছিটানো বা এলোমেলো। ব্যবহারকারীদের এই দুর্দশার কথা চিন্তা করে তাদের উন্নত অডিও অভিজ্ঞতা দিতে ডেভেলপ করা হয় Viper4Andrid Fx নামক অ্যাপটি। আপনাদের জন্য আজ থাকছে এই অ্যাপ সংক্রান্ত বিস্তারিত টিউটোরিয়াল। চলুন শুরু করা যাক। header যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ Viper4Andrid Fx ব্যবহার করার জন্য আপনার দরকার হবে Busybox সাপোর্ট থাকা একটি রুটেড অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস। অ্যান্ড্রয়েড ২.৩ সংস্করণ থেকে পরবর্তী যে কোন সংস্করণে আপনি এটি ব্যবহার করতে পারবেন। অ্যাপটি মূলত একটি ইকুয়ালাইজার ভিত্তিক অ্যাপ। অন্য ইকুয়ালাইজার এর সাথে এর পার্থক্য হল এর রয়েছে আপনার ডিভাইস অনুযায়ী আলাদা ড্রাইভার এবং সর্বোচ্চ কাস্টোমাইজেশন সুবিধা। এর ইন্সটল করার পদ্ধতিও খুব সহজ। আপনাকে রিকভারি থেকে কোনো কিছু ফ্ল্যাশ কিংবা ডিভাইসের সিস্টেম পার্টিশনে গিয়ে নতুন করে কিছু পরিবর্তন করতে হবে না। বিভিন্ন ডিভাইসের অডিও প্লাগইন ব্যবহার করার সুবিধা থাকায় এখন এইচটিসি বিটস অডিও ফ্যান অনায়াসেই তার সনি ডিভাইসে প্লাগইন ব্যবহার করে সমমানের অডিও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। চলুন দেখে নেই এর ব্যবহার প্রণালী- ১. প্রথমে এই লিঙ্ক থেকে Viper4Andrid Fx এর ইন্সটলার ফাইলটি আপনার কম্পিউটার কিংবা স্মার্ট ডিভাইসে ডাউনলোড করে নিন। এখানে দুই ধরনের অ্যাপ দেখতে পাবেন- একটি Viper4Andrid Fx আরেকটি ViPER4Android XHiFi। ViPER4Android XHiFi, Viper4Andrid Fx এর মতোই আরেকটি অ্যাপ যেটি এখন আর আপডেট করা হয় না। এর কাস্টোমাইজ সুবিধা ViPER4Android XHiFi থেকে অনেক কম। এছাড়া আপনি Viper4Andrid Fx এর মধ্যেই ViPER4Android XHiFi এর সব সুবিধা পেয়ে যাবেন। ২. ইন্সটলার/এপিকে ফাইলটি আপনার ডিভাইসে ইন্সটল করে নিন। আপনি চাইলে সিস্টেম অ্যাপ হিসেবে এটিকে ইন্সটল করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে এর এপিকে ফাইল কপি করে সিস্টেম পার্টিশনে গিয়ে সেটি অ্যাপ ফোল্ডারের ভেতর পেস্ট করে rw-r-r পারমিশন সেট করে দিতে হবে। বিকল্প পন্থায় প্লে স্টোরে এপিকে মুভার নামক একটি অ্যাপ রয়েছে যেটির সাহায্যে আপনি নরমালি ইন্সটল হওয়া অ্যাপ সিস্টেম অ্যাপ-এ পরিবর্তন করতে পারবেন। সিস্টেম অ্যাপ হিসেবে ইন্সটল করতেই আমি পরামর্শ দেবো। ৩. এবার অ্যাপড্রয়ার থেকে অ্যাপটি চালু করুন। রুট অ্যাকসেস চাইলে পারমিশন দিয়ে দিন। ৪. এরপর যখন ড্রাইভার ইন্সটলের পপআপ আসবে তখন ইয়েস নির্বাচন করুন। ৫. এবার ভাইপার স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার ডিভাইসের সিপিইউ নির্ণয় করবে এবং নিচের মত ড্রাইভার মোড দেখাবে:

No modes: For processors without or without VFP. Battery Saving: Available for all processors with NEON. High Quality Mode: Available for processors with NEON. Super Audio Quality: Available for processors with NEON.
৬. আপনার পছন্দ এবং সিপিইউ এর ধরন অনুযায়ী যে কোন একটি নির্বাচন করুন। আপনার সিপিইউ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যের জন্য সিপিইউ আইডি অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি মিউজিকের বিশাল ফ্যান হয়ে থাকেন তাহলে সুপার অডিও কোয়ালিটি মোডই হবে আপনার জন্য সেরা নির্বাচন। আর এই মোড নিয়ে চিন্তিত হবার কিছু নেই। আপনি পরবর্তীতে মোড বদলাতে পারবেন। ৭. ইন্সটল হয়ে গেলে আপনার ডিভাইস রিবুট করুন। আপনার ডিভাইস পুনরায় চালু হলে Viper4Andrid Fx ওপেন করুন এবং মেনু অপশন থেকে এফএক্স কম্প্যাটিবল মোড হিসেবে ‘কম্প্যাটিবল মোড’ নির্বাচন করুন। এবার ভাইপার এর ইউজার ইন্টারফেস থেকে আপনার পছন্দ মতো ইকুয়ালাইজার কাস্টোমাইজ করুন এবং ব্যবহার করুন। Viper4Andrid Fxএর ইন্টারফেজ দুটি ভাগে ভাগ করা- হেডসেট আর ফোন স্পিকার। হেডসেট হেডিং এর অপশনগুলো আপনাকে হেডসেট লাগানো অবস্থায় কাস্টোমাইজড অডিও এক্সপেরিয়েন্স দিবে। আর ফোন স্পিকার এর অপশনগুলো হেডসেট ছাড়া লাউড স্পিকারে কাজ করবে। চলুন দেখে নেই হেডিং দুটির অন্তর্গত কী কী কাস্টোমাইজেশন অপশন রয়েছে। হেডসেটঃ ১. মাস্টার পাওয়ার – এটি আপনার ভাইপার এর মেইন সুইচ হিসেবে কাজ করবে। মাস্টার পাওয়ার এনেবল করা থাকলেই কেবল ভাইপার এর অডিও সেটিংস কাজ করবে। 1 ২. প্লে-ব্যাক গেইন কন্ট্রোলঃ এটি মূলত আপনার ডিভাইসের সাউন্ড ডাইনামিক্যালি কন্ট্রোল করতে সহায়তা করবে। গেইন কন্ট্রোলের সাব হেডিং এ বেশ কিছু অপশন রয়েছে যেগুলো পরিবর্তন করে আপনি সাউন্ড অ্যামপ্লিফিকেশন, এটেনুয়েশন করতে পারবেন। এর অপশনগুলো হলো: এনেবল চেক বক্স- গেইন কন্ট্রোল চালু করবে; সিলেক্ট ইফেক্ট স্ট্রেংথ- আপনি কতটুকু সাউন্ড অ্যামপ্লিফাই কিংবা অ্যাটেনুয়েশন করতে চান এটি তাই নির্দেশ করে। ইফেক্ট যত স্ট্রং হবে সাউন্ড অ্যামপ্লিফিকেশন তত বেশি হবে। ইফেক্ট উইক হলে এটি আপনার স্টক ভলিউম এর কাছাকাছি থাকবে। মিডিয়াম স্ট্রেংথ এ দুটির মাঝামাঝি। এটিই আমাদের রেকমেন্ডেড ইফেক্ট স্ট্রেংথ। ম্যাক্স গেইন- সাউন্ড নোট যদি অল্প হয় তাহলে ভাইপার সেটি স্বাভাবিকের কাছাকাছি রাখার জন্য সাউন্ড বাড়িয়ে দেবে। ভ্যালু যত বেশি হবে সাউন্ড তত লাউড হবে। কিন্তু খুব বেশি ভ্যালু সাউন্ড এর মধ্যে নয়েজগুলোও বাড়িয়ে দেবে। কাজেই এই ভ্যালু ৪ রাখাই শ্রেয়। ম্যাক্স আউটপুট- এটি আপনার প্লে-ব্যাক করা সাউন্ডের সর্বোচ্চ মাত্রাকে ডেসিবেল এ প্রকাশ করে থাকে। প্রশান্তিময় অডিও এক্সপেরিয়েন্স এর জন্য রেকমেন্ডেড ভ্যালু -১.৯ ডেসিবেল। ৩। এফ আই আর ইকুয়ালাইজারঃ এটি ১০ ব্র্যান্ডের স্ট্যান্ডার্ড লিনিয়ার ইকুয়ালাইজার। ১০ টি প্রিসেট প্রোফাইল দেয়া আছে। আপনি আপনার মিউজিক এর ধরন অনুযায়ী এখান থেকে প্রোফাইল নির্বাচন করতে পারবেন। এছাড়াও, কাস্টম ইকুয়ালাইজার তৈরির সুবিধা এবং তা সংরক্ষণের সুবিধাও থাকছে। 2 ৪. কনভলভারঃ অন্য ডিভাইসের মিউজিক প্লাগইন, যেটি ইমপালস রেসপন্স নামে পরিচিত, সেটি লোড করে সে অনুযায়ী আউটপুট দেয়াই কনভলভার এর কাজ। ফিচারটি ব্যবহার করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই ইমপালস রেসপন্স প্লাগইন ব্যবহার করতে হবে। বেশিরভাগ ইমপালস রেসপন্স প্লাগইন আপনাকে কিনে নিতে হবে। তবে নিরাশ হবার কারণ নেই; কেননা সনি, এইচটিসি বিটস অডিও, অ্যাপল আইপড প্রভৃতি জনপ্রিয় ডিভাইস সমূহের বেসিক ইমপালস রেসপন্স প্লাগিন আপনি বিনামূল্যে পেয়ে যাবেন। ভাইপার ইন্সটল করার পর আপনার ডিভাইসের এসডি কার্ডের ভেতর Viper4Android নামে একটা ফোল্ডার তৈরি হবে যার ভেতর আপনি Kernel নামক আরো একটি ফোল্ডার দেখতে পাবেন। ইমপালস রেসপন্স প্লাগইনগুলো সাধারণত জিপ ফরম্যাটে হয়ে থাকে। ডাউনলোড শেষে ফাইলগুলো আনজিপ করে আপনাকে Kernel ফোল্ডারের ভেতর পেস্ট করতে হবে। এটি হয়ে গেলে আপনি ভাইপার অ্যাপ থেকে কনভলভার অপশনে টিক দিয়ে ইমপালস রেসপন্স এ প্রেস করে পছন্দ অনুযায়ী প্লাগইন নির্বাচন করলে সেই প্লাগিনের কনফিগারেশন অনুযায়ী মিউজিক আউটপুট পাবেন। ৫. ফিল্ড সারাউন্ডঃ হেডফোনে সারাউন্ড সাউন্ড ইফেক্ট পেতে চাইলে আপনাকে এই অপশন ব্যবহার করতে হবে। এর জন্য এনেবল অপশনে টিক দিয়ে এর নিচের দুটি অপশন- ফিল্ড সারাউন্ড স্ট্রেংথ এবং মিড ইমেজ স্ট্রেংথ নিজের পছন্দ অনুযায়ী সাজিয়ে নিলেই হবে। সারাউন্ড স্ট্রেংথ আপনার সারাউন্ড সাউন্ডের ইফেক্ট ঠিক কতটুকু হবে সেটি নির্ধারণ করবে। স্ট্রেংথ যত বেশি হবে স্টেরিও ইফেক্ট তত স্পষ্ট হবে এবং চারপাশ থেকে সাউন্ড পরিস্কার ভাবে আসতে থাকবে। আর মিড লেভেল স্ট্রেংথ ভোকাল ক্ল্যারিটি নির্ধারণ করবে। মিড লেভেল যত বেশি হবে ভোকাল ক্ল্যারিটি তত বেশি হবে, ভয়েস আরও পরিস্কার শোনা যাবে। 3 ৬. ডিফারেনশিয়াল সারাউন্ডঃ এর অপর নাম ‘হ্যাজ’ ইফেক্ট। এটি আপনার ফিল্ড সারাউন্ডকে কিছুটা মোডিফাই করবে। এটি মূলত ডান পাশ এবং বাম পাশ থেকে আসতে থাকা সাউন্ড ওয়েভের মধ্যকার মাঝামাঝি সময় নির্দেশ করে। অপশনটিতে টিক দিয়ে এর ডিলে টাইম বাড়ালে ডান দিক থেকে বাম দিকে সাউন্ড আসতে সময় বেশি নেবে, আবার কমিয়ে দিলে এর উল্টোটা ঘটবে। ৭. হেডফোন সারাউন্ডঃ এটি আপনার হেডফোনের ভার্চুয়াল সারাউন্ড ইফেক্ট প্রদানকারী হিসেবে কাজ করবে। এর দুটি ইফেক্ট রয়েছে- একটি নরমাল এবং অপরটি এক্সট্রিম। পছন্দ অনুযায়ী আপনাকে বেছে নিতে হবে। ৮. রিভারবারেশনঃ এটি মিউজিক শোনার সময় আপনার চারপাশের পরিবেশ কেমন হবে সেটি নির্ধারণ করে থাকে। যেমন একই মিউজিক যদি আপনি অডিটোরিয়ামে শুনে থাকেন সেটি আপনার লিভিং রুমে শুনলে কিছুটা ভিন্ন স্বাদ পাওয়া যাবে- এটিই রিভারভারেশন ইফেক্ট। রিভারভারেশন টাইটেলটির ভেতর অনেকগুলো কাস্টোমাইজেশন অপশন রয়েছে। চলুন দেখে নিই এদের কোনটি কিভাবে কাজ করে থাকে। 4 রুম সাইজ- এটি গান শোনার সময় আপনার ভার্চুয়াল পরিবেশের এরিয়া নির্দেশ করবে। এর ভ্যালু যত বেশি হবে সাউন্ড তত বিস্তৃত অঞ্চল থেকে আপনার কানে আসতে থাকবে এবং এতে ‘ইকো’ বেশি হবে। সাউন্ড ফিল্ড- এটি আপনার ভার্চুয়াল পরিবেশের প্রশস্ততা নির্ধারণ করবে। রুম সাইজ ভ্যালুর সাথে হিসেব করে আপনাকে সাউন্ড ফিল্ডের উপযোগী ভ্যালু বের করতে হবে। কাজেই রুম সাইজ এবং সাউন্ড ফিল্ড এ দুটি একত্রে আপনার ভার্চুয়াল পরিবেশের ‘অ্যাসপেক্ট রেশিও’ নির্ধারণ করবে। অ্যাসপেক্ট রেশিও বেশি হলে চারপাশ থেকে আগত শব্দগুলো আরো ভালোভাবে শোনা যাবে। ড্যাম্পিং ফ্যাক্টর- এটি আপনার ভার্চুয়াল লিসেনিং এনভায়ারনমেন্ট এর হিউমিডিটি বা আর্দ্রতা নির্দেশ করে। আর্দ্রতা বেশি হলে সেটি বেশি বাতাস শোষণ করবে এবং এতে ইকো কম হবে। কাজেই ড্যাম্পিং ফ্যাক্টর এর ভ্যালু বাড়িয়ে দিলে ইকো কমে যাবে। ওয়েট সিগন্যাল- এটি আপনার ভার্চুয়াল পরিবেশের ভলিউম নির্দেশ করে। ড্রাই সিগন্যাল-এটি আপনার মূল বা অরিজিনাল ভলিউম নির্দেশ করে। ৯. ডাইনামিক সিস্টেমঃ এটি আপনার সাউন্ড এর ডাইনামিক রেঞ্জ নিয়ন্ত্রণ করবে। অন্যভাবে বললে আপনার শোনা মিউজিকের বেজ, ট্রেবল এবং লিমিটিং নিয়ন্ত্রণ করবে। 5 ১০. ফিডেলিটি কন্ট্রলঃ আগেই বলেছি ViPER4Android XHiFi এর সুবিধা আপনি এতে পাবেন। ফিডেলিটি কন্ট্রোল ViPER4Android XHiFi এর মতও সাউন্ডের বেজ এবং ক্ল্যারিটি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এখান থেকে আপনি বেজ মোড, ফ্রিকোয়েন্সি, বেজ বুস্ট, ভাইপার ক্ল্যারিটি, ক্ল্যারিটি মোড ইত্যাদি নির্ধারণ করতে পারবেন। ভাইপার বেজের দুই ধরনের বেজ মোড রয়েছে- ন্যাচারাল এবং পিউর বেজ+ এই দুই মোডের জন্যই আমাদের রেকমেন্ডেড ফ্রিকোয়েন্সি ৬০ হার্জ এবং বেজ বুস্ট লেভেল ন্যুনতম ৬ ডেসিবেল। আর ক্ল্যারিটির ভেতরে তিনটি অপশন রয়েছে- ন্যাচারাল, ওজোন+ এবং এক্স হাইফাই। এদের মধ্যে ওজোন+ সবচেয়ে ভালো ক্ল্যারিটির সাউন্ড অফার করতে সক্ষম। সেক্ষেত্রে আপনার ন্যূনতম ক্ল্যারিটি লেভেল হওয়া উচিত ৮ ডেসিবেল। 6 ১১. অডিটরি সিস্টেম প্রটেকশনঃ মাত্রাতিরিক্ত ভলিউম এর ফলে যাতে আপনার কানের কোন ক্ষতি না হয় সে জন্যই অডিটরি সিস্টেম প্রটেকশন। আমাদের রেকমেন্ডেড বাইনরাল লেভেল মডারেট। ১২. মাস্টার গেট (লিমিটার): এটি ভাইপার এর সাউন্ড আউটপুট লিমিটার হিসেবে কাজ করে। মূলত উচ্চ ভলিউম এর কারণে যাতে সাউন্ড কোন প্রকার ডিসটরশন না হয় সেটি নিশ্চিত করাই এর কাজ। এর আউটপুট গেইনই হচ্ছে সর্বোচ্চ ভলিউম নির্ধারক। ফোন স্পিকারঃ ফোন স্পিকার এর অন্তর্গত মাস্টার পাওয়ার, এফআইআর ইকুয়ালাইজার, কনভলভার, রিভারভারেশন এবং মাস্টার গেট এর সেটিংসগুলো হেডসেট এর অনুরূপ। অতিরিক্ত যে দু'টি বিষয় থাকছে সে দুটি হল- স্পিকার অপটিমাইজেশন এবং এক্সট্রা লাউড ফিচার। স্পিকার অপটিমাইজেশনঃ নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এর কাজ। আপনার ডিভাইসের স্পিকারের সাউন্ড অপটিমাইজেশন করাই এর কাজ। এক্সট্রা লাউডঃ যারা তাদের ডিভাইসের ইন্টারনাল স্পিকারে লাউড সাউন্ড পছন্দ করেন এটি তাদের জন্য। এটি ডিভাইসের সাউন্ড আউটপুট সাধারণ আউটপুটের চেয়ে বাড়িয়ে দিতে পারে। অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন এতে স্পিকারের কোন ক্ষতি করবে কিনা। পুরো ব্যাপারটা এমনভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় যাতে লাউডনেস এনেবল করলেও আপনার স্পিকারের কোন ক্ষতি না হয়। কাজেই আপনি লাউড সাউন্ড চাইলে অনায়াসে এটি অন রাখতে পারেন কোন প্রকার ঝুঁকি ছাড়াই। লাউডনেস স্ট্রেংথ এর ক্ষেত্রে আমরা রেকমেন্ড করবো মিডিয়াম, ম্যাক্স গেইন এর ক্ষেত্রে ইনফিনিটি এবং ম্যাক্স অউটপুট এর ক্ষেত্রে ০ ডেসিবেল। 7 এতক্ষণ আপনাদের Viper4Andrid Fx এর বিস্তারিত জানালাম। মিউজিকপ্রেমী যারা আছেন তারা অবশ্যই চেষ্টা করে দেখবেন। অন্যরাও নিরাশ হবেন না আশা করি। অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মে এটি আমাদের দেখা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সেরা মিউজিক টিউনার। Viper4Andrid Fx সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে এবং এ সংক্রান্ত সকল আপডেট জানতে চোখ রাখুন এখানে। ইমপালস রেসপন্স প্লাগইন, কাস্টম সেটিংস ইত্যাদির জন্য চোখ রাখুন এখানে