ছবি সংগৃহীত

প্রিয় গন্তব্য: পান-থু-মাই, বাংলাদেশ সীমানায় এক অপরূপ স্থান!

খন্দকার ইশতিয়াক মাহমুদ
লেখক
প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৭:৪০
আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৭:৪০

অপরূপ পান-থু-মাই গ্রাম থেকে ভারতের অংশে মায়াবতী ঝর্ণা । ছবি: শ্রী কৃষ্ণ রায়।
 
(প্রিয়.কম): সিলেট অঞ্চলটাকে যেন প্রকৃতি উদার হাতে ঢেলে দিয়েছে সব সৌন্দর্য, উজাড় করে দিয়েছে নিজেকে। ক্রমবর্ধমান মানুষের চাপেও সেই সৌন্দর্য প্রায় অক্ষতই আছে এখনও, আর সেই অপরূপ সৌন্দর্যের মাঝে অনন্য সৃষ্টির একটি পান-থু-মাই গ্রাম, যাকে বলা হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম। প্রতিবছরই এর অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে পান-থু-মাই গ্রামে আগমন ঘটে দেশি-বিদেশি বহু পর্যটকদের আর পান-থু-মাই-এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান হলো এই ‘মায়াবতী ঝর্ণা’। দুঃখের বিষয়, ঝর্ণাটা বাংলাদেশের সীমানার ভেতরে পড়েনি, আমরা কেবল ওটাকে দূর থেকেই দেখতে পারি, কাছে যেতে পারি না। পান-থু-মাই যাবার সেরা সময় যদিও বর্ষাকাল, তারপরেও সারা বছরই যাওয়া যায়। আর ঝর্ণা দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন মায়াবতী নামটি কতখানি সার্থক হয়েছে।

ভারত থেকে তোলা পান-থু-মাই গ্রামের দৃশ্য।  ছবি: ড. জিনিয়া রহমান

মেঘালয় রাজ্যের সারি সারি পাহাড়, ঝর্ণা, ঝর্ণা থেকে বয়ে আসা পানির স্রোত ধারা, আর সেই স্রোতধারা থেকে সৃষ্টি হওয়া ‘পিয়াইন নদী’ আসলেই অসাধারণ। এ কারণেই হয়ত বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম বলা হয় পান-থু-মাইকে।  এই পিয়াইন নদীতে সাতাঁর না কাটলে, নিদেন পক্ষে ডুব না দিলে আপনার যাওয়াটাই বৃথা মনে হতে পারে! ছবি তোলার জন্য অসাধারণ জায়গা হতে পারে এটা। নদী, পাহাড়, পাথর আর স্রোত, সব কিছু মিলিয়ে সৌন্দর্যের এক অসাধারণ সমন্বয় হয়েছে এখানে।

কোথায়: সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট থানার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নে অবস্থিত পান-থু-মাই গ্রামটি। কেউ যেন ভাববেন না যে এটা জাফলং এর কাছাকাছি। জাফলং থেকে এটার দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার, আর সিলেট শহর থেকে দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার। 

শীতকালে মায়াবতী ঝর্ণার শুষ্ক রূপ। ছবি: ড. জিনিয়া রহমান।

কিভাবে:  ঢাকা থেকে সিলেট যাবার জন্য গ্রিন-লাইন, শ্যামলী, হানিফ, টি আর, সোহাগ, এনা পরিবহন সহ আরও বাস পাবেন। সিলেটের আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সিএনজি বা ট্যাক্সি নিয়ে গোয়াইনঘাট এর মাতর-তুল এ যাবেন ।  জাফলং দিয়ে না গিয়ে সিলেটের এয়ারপোর্ট রোড দিয়ে সালুটিকর হয়ে গেলে দূরত্ব কম পড়বে। আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে ভাড়া পড়তে পারে ৬০০ টাকা – ৭০০ টাকা (রিজার্ভ), সেখান থেকে মাত্র ২ কি.মি পরেই এই পান-থু-মাই। সেটুকু রাস্তা হেটে গেলে বরং বেশি উপভোগ করতে পারবেন। 

বর্ষায় মায়াবতীর ঝর্ণার উত্তাল রূপ। ছবি: ড. জিনিয়া রহমান।

এখানে বেশ কিছু খাবারের রেস্তরা আছে। আপনি চাইলে সিলেট থেকে খাবার নিয়েও আসতে পারেন। ঘোরার সময় যদি প্রকৃতি সুরক্ষার দিকে নজর দেই আমরা তাহলে এই প্রকৃতি আরও অনেক অনেক দিন আমাদের পাশেই থেকে যাবে ঠিক এভাবেই।

সম্পাদনা: প্রিয় ট্রাভেল/ ড. জিনিয়া রহমান।

আপনাদের মতামত জানাতে ই মেইল করতে পারেন [email protected] এই ঠিকানায়।