
লাইফবয় সাবান। ছবি: নূর; প্রিয়.কম। সাপের ছবিটি সংগৃহীত।
লাইফবয় দিয়ে সাপ তাড়ানোর প্রচারণা, বন্যার্তদের মধ্যে ছড়াচ্ছে দ্বিধা...
আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০১৭, ১৬:৪২
(প্রিয়.কম) ‘বন্যা কবলিত এলাকায় সাপের উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে শয়ন কক্ষে অথবা ঘরের বিশেষ বিশেষ স্থানে লাল রঙের লাইফবয় সাবান টুকরা টুকরা করে ছিটিয়ে রাখুন। লাইফবয় সাবানে কার্বক্সালিক এসিড/ কার্বনিল এসিড থাকায় সাপ কাছে আসতে পারে না। অনুগ্রহ করে প্রয়োগ করুন পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপদে থাকুন’- এ রকম একটি প্রচারণা ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এমন কী এই প্রচারণা ছড়াতে দেখা গিয়েছে তারকাদেরও। কিন্তু এর সত্যতা কতটুকু। অনুসন্ধান চালিয়েছে প্রিয়.কম। প্রথমে লাইফবয় সাবানের ইতিহাস সম্পর্কে সংক্ষেপে বলে নিই। ১৮৯৪ সালে উইলিয়াম হেসকেথ আবিষ্কার করেছিলেন কার্বলিক এসিড। এটি ফেনল নামেও পরিচিত। তিনি সাবানের মধ্যে এটি ব্যবহার করে জীবাণুরোধক হিসেবে এর প্রচারণা চালান। এভাবে তিনি যুক্তরাজ্যে ‘লাইফবয় সাবান’ বাজারজাত করেছিলেন। ১৯৯৫ সালে লিভার ব্রাদার্স এর মাধ্যমে এর পরিচিতি ঘটে। তখন এটি ছিল মূলত কার্বলিক সাবান। কথিত আছে- সাপ কার্বলিক এসিড তথা ফেনলের গন্ধ সহ্য করতে পারে না বিধায় ঘরে কারবক্সিলিক এসিড রাখলে, সাপের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তাই বাংলাদেশ এই মুহূর্তে যখন ভয়াল বন্যার শিকার, ঠিক তখনই প্রচার করা হচ্ছে- লাল রঙের লাইফবয় সাবানে কার্বক্সালিক এসিড/ কার্বনিল এসিড রয়েছে। এটি ঘরে ছিটিয়ে রাখলে সাপ আসবে না। অনুসন্ধান চালাতে প্রিয়.কম বাংলাদেশের বাজারে প্রাপ্ত লাল রঙের লাইফবয় সাবান এনে দেখেছে যে- এই সাবানের মোড়কে উপাদানের ঘরে লেখা রয়েছে- সোডিয়াম সোপ, অ্যাকুয়া, টেট্রা সোডিয়াম ইউডিটএ, ইটিড্রনিক অ্যাসিড, সিলভার অক্সাইড, ভিপি/ ভিএ কোপলিমার, থাইমল, টারপিনিয়াল, পারফিউম, সিআই ১২৪৯০, সিআই ১১৬৮০।
বাংলাদেশের বাজারে প্রাপ্ত লাইফবয় সাবানের উপাদান। ছবি: নূর; প্রিয়.কম।
এছাড়াও নেট ঘেঁটে লেহমেনস ওয়েবসাইটে প্রিয়.কম খুঁজে পেয়েছে যে লাইফবয় সাবানে এখন আর কার্বলিক অ্যাসিড নেই।
এ দিকে উইকিপিডিয়া জানাচ্ছে যে ১৯৭৬ সালের পর এই সাবানে আর ফেনল তথা কার্বলিক অ্যাসিড ব্যবহার করা হয় না।
লেহমেন ওয়েবসাইট। ছবি: সংগৃহীত।
প্রিয় জটিল/গোরা
- ট্যাগ:
- জটিল
- সাবান
- সাপ
- বন্যা
- 1. বাংলাদেশ