মসজিদে ইমামের পেছনে নামাজ আদায়রত মুসল্লি। ছবি: সংগৃহীত

ইমামের পেছনে নামাজ পড়লে কেরাত পড়তে হবে নাকি হবে না?

মিরাজ রহমান
সাংবাদিক ও লেখক
প্রকাশিত: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ১১:৪৩
আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ১১:৪৩

(প্রিয়.কম) আমরা দৈনিক পাঁচ বার ফরজ নামাজ আদায় করি। এই ফরজ নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদে গিয়ে ইমামের পেছনে নামাজ আদায় করি। দৈনিক পাঁচবার নামাজ পড়তে হবে- এই ক্ষেত্রে কারও কোনো দ্বিমত নেই। সবাই এই ক্ষেত্রে একমত। কিন্তু আমরা যখন ইমামের পেছনে ফরজ নামাজ আদায় করব তখন আসলে আমাদের করণীয়টা কী? তখন কী আমরা কেরাত (সূরা) পড়ব নাকি পড়ব না। এই বিষয়ে প্রথমত দুইটা মত আছে। একজনরা বলেন, পড়তে হবে এবং তারা এই বিষয়ে বিভিন্ন যুক্তি উপস্থাপন করে থাকেন। আর এক গ্রুপ বলেন, ইমামের পেছনে নামাজ পড়লে কেরাত পড়তে হবে না। তারাও তাদের যুক্তি দিয়ে থাকেন। নিন্মে যারা বলেন, ইমামের পেছনে নামাজ পড়লে কেরাত পড়তে হবে না তাদের যুক্তিগুলো তুলে ধরা হলো-

নামাজে সুরা ফাতিহা এবং তার সাথে অতিরিক্ত কোনো সুরা না পড়লে নামাজ পূর্ণ হয় না। কোনো নামাজ শুদ্ধ হতে হলে সূরা ফাতিহা পড়া আবশ্যক। সেই সাথে সুরা ফাতিহার পর কুরআনের অন্য কোনো সূরার কিছু আয়াত পড়াও আবশ্যক বা ওয়াজিব। হাদিসে পরিষ্কার এসেছে, উবাদা বিন সামেত (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, সুরা ফাতিহা না পড়লে নামাজ হবে না। (বুখারী)

উবাদা বিন সামেত (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, সূরা ফাতিহা না পড়লে নামাজ হবে না, (আরেক বর্ণনায় এসেছে) এবং অতিরিক্ত সূরা না পড়লেও নামাজ হবে না। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৩৯৪)

উপরোক্ত দুটি হাদিস দ্বারা আমাদের কাছে পরিষ্কার যে, সুরা ফাতিহা ও এর সাথে অতিরিক্ত সূরা না মিলালে নামাজ পূর্ণ হয় না। কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো, একজন ব্যক্তি যখন মুক্তাদী হয়, তখনো কী তার নামাজ সূরা ফাতিহা এবং অন্য সূরা সাথে না মিলালে তার নামাজ হবে না?

মুক্তাদীর কোনো কিরাতই পড়তে হবে না। কারণ ইমামের কিরাতই মুক্তাদীর কিরাত। ইমাম সূরা ফাতিহার পর বাকি সূরা মিলালে যেমন তা মুক্তাদীর পক্ষ থেকে হয়ে যায়, তেমনি সূরা ফাতিহা পড়লেও তা মুক্তাদীর পক্ষ থেকে হয়ে যাবে। মুক্তাদীর আলাদাভাবে সুরা ফাতিহা ও পড়তে হবে না, সেই সাথে অতিরিক্ত সূরাও মিলাতে হবে না।

কারণ তিলাওয়াত করলে পেছনে চুপ থাকার নির্দেশ পবিত্র কুরআনে যেমন এসেছে, তেমনি হাদিসেও এসেছে। সেই সাথে ইমামের সকল কিরাতই মুক্তাদীর জন্য যথেষ্ট মর্মেও সহীহ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। একটি হাদিসে এসেছে, হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যার ইমাম রয়েছে, তার ইমামের কিরাত মানেই হলো তার কিরাত। (মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-১২৪, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৪৬৪৩)

সূত্র: মুসলিমস্টোরিজ.টপ

প্রিয় ইসরাম/আশরাফ