(প্রিয়.কম) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২৮ রানের জয় পায় ভারত। ওই ম্যাচে বল হাতে ভারতীয় পেসার ভুবনেশ্বর কুমার একাই ধস নামান প্রোটিয়া ব্যাটিং লাইনআপে। ৪ ওভারে ২৪ রান খরচায় পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নেওয়ার পাশাপাশি প্রথম ভারতীয় পেসার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডও গড়েন তিনি।

তবে ম্যাচ শেষে ভুবনেশ্বরের পারফরম্যান্সকে ছাপিয়ে আলোচনায় আছে তার হাত থেকে বেরোনো নতুন এক অস্ত্র; যার নাম নাকল বল! তার এই নাকল বলে নাকাল হয়ে জে জে স্মাটস, রিজা হেনড্রিকস, জেপি ডুমিনি, হেনরিক ক্লাসেন এবং ক্রিস মরিসের মতো শীর্ষ ব্যাটসম্যানরা দ্রুতই ফিরে যান সাজঘরে। ম্যাচ শেষ হতেই ক্রিকেট বিশ্ব তোলপাড় ভুবনেশ্বরের এই নতুন অস্ত্র নিয়ে।

কিন্তু কী এই নাকল বল? আর কেনই বা এতো ভয়ংকর এই বল?

ছবিতে নাকল বল করার পদ্ধতি। ছবি: সংগৃহীত

সাধারণত বল সুইং করাতে গেলে সিমের দু’দিকে আঙুল রেখে বল ব্যাক স্পিন করাতে হয়। নাকল বলের ক্ষেত্রে আঙুল ভাঁজ করে ধরতে হয় সিমের পাশে। এ সময় সিম সোজা রেখে দু’আঙুলের ধাক্কায় ব্যাটসম্যানের দিকে বলটা ঠেলে দিতে হয়। এক্ষেত্রে বল সুইংও করে। 

সিম সোজা থাকার কারণে বলটি যে মন্থর গতিতে আসছে, তা বুঝতে অসুবিধে হয় ব্যাটসম্যানদের। সে কারণেই বিভ্রান্ত হয়ে আউট হন ব্যাটসম্যানরা। যে বোলার ঘণ্টায় ১৩৫-১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করেন, তাঁর নাকল বলের গতি সাধারণত দাঁড়ায় ১১০-১১৫ কিমি। আর এই স্লো-সুইং খেলতেই সমস্যায় পড়ে গেলেন হেনড্রিক্স থেকে ডুমিনি।

 নাকল বলে মূলত গতির হেরফের বুঝতেই সমস্যা হয় ব্যাটসম্যানদের। ছবি: সংগৃহীত

ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতা ভুবনেশ্বর জানালেন গত এক বছর ধরেই এই অস্ত্র নিয়ে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় এই পেসার বলেন, ‘সিম সোজা রেখে এই নাকল বল করাটা আমি প্রায় এক বছর ধরে অনুশীলন করে যাচ্ছি। চেষ্টা করেছি, যত বেশি রকম বৈচিত্র আনা যায়। এই ফরম্যাটের ক্রিকেটে হাতে বৈচিত্র না থাকলে ব্যাটসম্যানদের থামানো কঠিন হয়ে যায়।’ 

ভারতের হয়ে ভুবনেশ্বর কুমারের আগে আরেক পেসার জহির খান এই বল করতেন। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার অ্যান্ড্রু টাই এবং ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ট ব্রডও নাকল বল করতে পারেন। 

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

প্রিয় খেলা/গোরা