
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ফারুক হোসেন। ছবি: প্রিয়.কম
কীভাবে আগাম জামিন নেবেন?
আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:২৮
(প্রিয়.কম) পরোয়ানা জারি হওয়ার আগে কোনো মামলায় গ্রেফতারের আশঙ্কা থাকলে আসামি আদালতে হাজির হয়ে আগাম জামিন নিয়ে থাকেন। আগাম জামিনের সময় আসামিকে অবশ্যই স্বশরীরে আদালতে উপস্থিত থাকতে হয়। আগাম জামিনের বিষয়ে আইনে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো কিছু বলা নেই।
তবে, আইন বিশেজ্ঞরা বলছেন, ফৌজদারী কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৪৯৮ ধারার ক্ষমতাবলে হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেওয়া যায়। শুধু হাইকোর্ট নয়, দায়রা আদালতের বিচারকও আগাম জামিন দিতে পারেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় হাইকোর্ট থেকে আসামিরা আগাম জামিন নিচ্ছেন।
মামলায় অভিযোগপত্র দায়েরের আগে আসামি হাইকোর্টে এসে আগাম জামিন নিতে পারেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণের পরেও আসামিকে আগাম জামিন দিতে পারেন।
আইনজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা, প্রশাসন, রুলস অব ল, মানবাধিকার এসব বিষয় বিবেচনা করে দায়রা জজ আদালতও আগাম জামিন দিতে পারেন।
আগাম জামিনের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় বিবেচনা করা হয়
আদালতের কাছে যদি মনে হয় যে, আসামিকে ওই মামলায় কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে জড়ানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মামলায় আসামিকে গ্রেফতারের মাধ্যমে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। তা ছাড়া আসামিকে উক্ত মামলার মাধ্যমে ক্ষতির মুখোমুখি করাই একমাত্র উদ্দেশ্য তাহলে আদালত তাকে গ্রেফতারের পূর্বে জামিন মঞ্জুর করতে পারেন।
জিজ্ঞাসাবাদ বা তথ্য উদঘাটনের জন্য আসামিকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে কি না। যদি এ রকম প্রয়োজন বিবেচিত হয় তাহলে আদালত জামিন না-মঞ্জুর করতে পারে।
আদালত যদি উপলব্ধি করে যে, আসামি তার জামিনের সুযোগের অপব্যবহার করবেন না বা মামলা প্রভাবিত করবেন না সে ক্ষেত্রে আদালত আগাম জামিন মঞ্জুর করতে পারে।
আগাম জামিন বা অন্তবর্তীকালীণ জামিনের অপব্যবহার করে আসামি পালাতে না পারে। সেজন্য রাষ্ট্রপক্ষকে খেয়াল রাখতে হবে। এ রকম সম্ভাবনা থাকলে রাষ্ট্রপক্ষকে জামিন বাতিলের আবেদন করতে হবে। যাতে করে আসামি জামিন নিয়ে পালাতে না পারে।
আগাম জামিনের প্রক্রিয়া, এটি কোন আইনে আছে, আগাম জামিন পেতে আসামি হকদার কি না এসব বিষয়ে প্রিয়.কমের সঙ্গে কথা বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ফারুক হোসেন।
বিস্তারিত জানতে ভিডিওটি দেখুন।