গোখরা সাপ। ছবি: সংগৃহীত

বিষধর সাপ গোখরা

নোমান আল মুক্তাদীর
ছাত্র
প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০১৮, ২২:৪১
আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৮, ২২:৪১

বাংলাদেশে যে কয়টি বিষধর সাপ পাওয়া যায়, তার মধ্যে অন্যতম হলো গোখরা সাপ। সাপের দংশনজনিত যত ঘটনা দেশে ঘটে থাকে, তার অধিকাংশ দায় এই গোখরার। আমাদের দেশে মূলত তিন প্রজাতির গোখরা সাপ পাওয়া যায়, যার একটি হলো স্পেকট্যাকলড কোবরা, বায়নোসেলেট কোবরা। 

সাপটি এলাপিদে পরিবারে অন্তর্গত, যার বৈজ্ঞানিক নাম হল নাজা নাজা। দেশের প্রায় সব অঞ্চলে দেখা যায় এ সাপটিকে। গ্রামে একে খৈইয়া গোখরা বলা হয়ে থাকে।

সাধারণত বসতবাড়ির আশপাশে, ছোট ঝোপঝাড়, চাষাবাদের জমি, ইঁদুরের গর্ত বা পুরাতন ভবনের ফাকফোঁকরে বাস করে থাকে গোখরা। কিছুটা ধূসর বাদামী বর্ণের সাপটি লম্বায় প্রায় দেড় থেকে দুই মিটার পর্যন্ত। যেকোনো জীবন্ত ছোট প্রাণী যেমন ব্যাঙ, ইঁদুর, গিরগিটি বা পাখি রয়েছে এদের খাবারের তালিকায়।

সাপটি খুব দ্রুত গতিতে চলাফেরা ও সাঁতার কাটতে পারে। সাধারণত মার্চ থেকে জুলাইয়ের ভেতর সাপগুলো ১২ থেকে ৩০টি ডিম দিয়ে থাকে। ডিম ফুটে বাচ্চা হতে প্রায় ৬০ দিন সময় লাগে।

গোখরা সাপের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ফনা তুলতে পারা। ফনায় থাকা ইংরেজি ‘ভি’র এর মতো কালো দাগ বা গরুর খুরের মতো দাগ থাকাতে একে খুব সহজেই অন্য সাপের চেয়ে আলাদা করা যায়।

এই সাপের বিষ হলো নিউরোটক্সিন প্রকৃতির, যা স্নায়ুতন্ত্রকে অকেজো করে দেয়। ছোবলের খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বিষ শরীরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।  ধীরে ধীরে ফুসফুসও হৃদপিণ্ডকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। সাপে কাটা রোগীকে ওঝা নয়, দ্রুত নিকট হাসপাতালে নিয়ে সঠিক চিকিৎসা দিয়েই সুস্থ করে তোলা সম্ভব। 

প্রিয় বিজ্ঞান/আজহার