৩ মার্চ ২০১৩, রবিবার: সারাদেশে চলছে হরতাল, ঘটছে তান্ডব, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এই পেজটি আপডেট করার সময় পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এবং এর সংখ্যা আরো বাড়বে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে চলছে এই নিয়ে উৎকন্ঠা আর শংকা।
পাশপাশি, সাঈদীর ছবি চাঁদে দেখা যাচ্ছে বলে যে প্রচারনা চালানো হয়েছিল, তা নিয়ে হাস্যরসের তৈরী হয়েছে। এবং শত শত মানুষ ফটোশপ ব্যবহার করে চাঁদের উপর নিজেদের ছবি পোষ্ট করে দিয়েছেন।
PriTom AhmEd
নিল এল্ডেন আর্মস্ট্রং ফোন করে কাঁদতে কাঁদতে মোবাইল ভিজিয়ে ফেললো। বললো ভাই আমি আরেকবার বাংলাদেশ থেকে চাঁদে যাইতে চাই। এর আগে যখন চাঁদে গেছিলাম সেইটার সত্যতা ও ছবি নিয়া রাশিয়া কি কেলেঙ্কারিটাই না করলো। "মেশিন কাকা সাইদি" ঢাকা জেলে থেকে চাঁদে উড়াল দিলো আর কি সুন্দর ছবি দেখা গেলো। আমিও আপনার দেশ থেকে চাঁদে যেতে চাই। ভাই ভিসার ব্যবস্থা করেন আমি জামাত শিবিরে জয়েন করবো। আমি বললাম " ধুর মিয়া ... ছাগুদের কথায় বিশ্বাস করতে নাই। যান ঘুমান। সঙ্গে সঙ্গে ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো। :(
Amzad Chowdhury:
চাঁদে নাকি সাঈদী সাবরে দেখা গেছে। চাঁদের বুড়ি ও কি তাহলে এই বেজন্মার হাত থেকে রক্ষা পাবে না?
Abu Sadique Ullah:
অনেকদিন হয়ে গেলো শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলন থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক দাঙ্গায় অনেক মানুষের প্রাণ গেলো, ক্ষতি হয়েচ্ছে সম্পত্তির | আরো ক্ষতি হয়েছে মুখ থুবড়ে পড়া অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টায় নিয়োজিত আমাদের গার্মেন্টস সহ অনান্য সেক্টর |
এতো ক্ষতি হওয়ার পরও দেখছি আমাদের দেশের স্বনামধন্য ড : মুহাম্মদ উইনুস, সার ফজলে হাসান আবেদ, প্রফেসর আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, প্রফেসর আইনুন নিশাত, রেহমান সোবহান, দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য, প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরী সহ আরো প্রথিতযশা পাবলিক ফিগারদের কোনো মতামত,অনুভুতি জানতে পারলাম না | ওনাদের কি কিছু বলতে দেয়া হচ্ছে না নাকি ওনাদের মতামত,অনুভুতি,পরামর্শের কোনো দাম নেই এই বাংলাদেশী মানুষদের !
ওনাদের থেকে কি শাহবাগের তরুণ-যুবক ব্লগাররা বেশী অভিজ্ঞ আর বুত্পত্তি সম্পন্ন, একটু চিন্তা করা দরকার |
সাইফ সামির:
আমি আর কখনও তোমাকে চাঁদের সাথে তুলনা করবো না হে প্রিয়তমা! ক্ষমা করে দিও।
প্রেমিক হিসেবে আমি ব্যর্থ। শুধু তুলনাই করে গেলাম, কখনও তোমাকে চাঁদে দেখতে পেলাম না।
Wahed Sujan:
সাঈদী সাহেবরে চন্দ্রে দেখা গেছে শুইনা আনন্দ পাইলাম। এমন কাণ্ড তো সচরাচর ঘটে না। রহস্যরে ভালোবাসি হেতু এমন ঘটনা বেচে থাকার জন্য প্রেরণাদায়ক বটে। ইশ! আমারে যদি লোকে এমন করে ভালোবাসত।
কেউ আমারে ভালোবাসুক।
Nebir Lotiful Bari:
১। কয়দিন আগে খালেদা জিয়া ভারত গেলো প্রোগ্রাম প্রোপোজাল নিয়ে।এরপর দলের পাতিনেতারা ইনিয়ে বিনিয়ে বলা শুরু করলো ইয়ে মানে আমরা তো বন্ধুরাষ্ট্র,ম্যা ম্যা ম্যা
২। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হলো শাহবাগ আন্দোলনে ভারতের উস্কানি
৩। জামাইবাবু প্রণব মূখার্জীর সাথে সাক্ষাত্ প্রত্যাহার করেছে খালেদা জিয়া ।
মোরাল অফ দ্যা স্ট্যাটাসঃ প্রোগ্রাম প্রোপোজাল কামে দেয় নাই,প্রোজেক্ট ফেইলড ।
Abu Zubaer:
খালেদা জিয়া প্রনব বাবুর সাথে সাক্ষাত বাতিল করে বাংলাদেশকে এক কঠিন সংকটের দিকে ফেলে দিয়েছেন। প্রনব বাবু ভারতে ফিরে গিয়ে কি করবেন আল্লাহ জানেন । খালেদা জিয়ার প্রতি এমনিতেই বাবুরা ক্ষেপে আছে। খালেদা জিয়ার কিছু হলে ভারত এগিয়ে আসবে কিনা জানিনা তবে হাসিনাকে রক্ষা করার জন্য ভারত চুপ করে বসে থাকবে না এটা তারাই ঘোষনা দিয়েছে। খালদা জিয়া আপনি একি করলেন। সোনিয়া গান্ধি খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করেন নাই, অনেকেই মনে করেছে তাঁকে এভোয়েড করেছিলেন তিনি। খালেদা জিয়াকে এটা মনে রাখা উচিত সোনিয়া গান্ধী আর তিনি এক বিষয় না। কারন গান্ধী পরিবার আর শেখ পরিবারের সখ্যতা অনেক গভীরে ।
Pinaki Bhattacharya:
রাষ্ট্র বিপ্লবের অমীমাংসিত প্রশ্নের মীমাংসার প্রশ্ন যখনই তীব্রভাবে উত্থাপিত হয়েছে, তখনই নানা ছুতোনাতায় সেই মীমাংসার প্রশ্নটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। আজ তেমনি বলা হচ্ছে হানাহানির প্রশ্ন।
কিন্তু এই হানাহানিটা কে করছে? প্রতিক্রিয়াশিলতার এই এলিমেন্টটা সমাজে ক্রিয়াশীল থাকবে কি থাকবেনা? বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু রেখে সমাজ বা রাষ্ট্র অগ্রসর হতে পারেনা। তাই বাংলাদেশ এগুতে পারছে না। বৈশ্বিক উন্নতির জন্য কিছু ছিটেফোঁটা বহিঃরঙ্গের পরিবর্তন হয়তো হয়েছে কিন্তু অন্তরঙ্গে মুল জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশ থেকে গেছে পশ্চাৎপদ আর অন্ধকারাচ্ছন্ন। অন্তরে এই অন্ধকার নিয়ে আমাদের চলার পথ ক্রমশ সংকুচিত হতে হতে রুদ্ধ হয়ে যাবে।
প্রগতিশীলরা ধর্মীয় ডিসকোর্স থেকে দূরে থেকেছে। ধর্মের প্রশ্নে প্রগতিশীলদের সেই উন্নাসিকতার কারণে আমাদের ধর্মচর্চার চিরায়ত মরমিয়া দর্শন আর বিকশিত হতে পারেনি। যেটা প্রগতিশীলদের কাজ ছিল। ফলে প্রতিক্রিয়াশীলদের হাতে পড়ে ধর্মচর্চায় একটি বড় ধারা হয়ে উঠেছে উগ্রবাদ। পাশাপাশি প্রকৃতির রহস্যময়তা আর মানবজন্মের আত্মানুসন্ধানের বদলে লোকায়ত ধর্ম হয়ে উঠেছে শুধু আনুষ্ঠানিকতা।
রাষ্ট্রবিপ্লবের এই অমীমাংসিত প্রশ্নের মীমাংসার সাথে সাথে ধর্মের মানবিক উন্মোচনও একটা জরুরী কাজ। আমাদের লোকায়ত ধর্মের হাত ধরে সেই আলোকিত বাংলাদেশের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়াও শাহবাগের শিক্ষা।
মাহবুব উল আলম বাবলু:
বড্ড দুর্ভাবনায় আছি, কোন বংগ ললনার মুখের সাথে চাঁদের তূলনা করে না আবার চপেটাঘাত খেতে হয়। কবিরাই বা তাঁদের কবিতায় এই উপমা ব্যবহার করবেন কি করে ?
Nasirul Hasan Rony
Chaad (Moon) e protidin Slide show hoitese.... porshudin Saidee ke dekhaise, gotokal "Arip Khan" ke dekhaise........ajke maybe "3 IDIOTS" movie ta dekhabe.......Everyone be prepared to watch the movie live on the MOON.... :|
Shahed Ibrahim Nobi
ঘুম থেকে উইঠা দেখি আমি মঙ্গল গ্রহে......মঙ্গলে বইসা ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিতে সেইরকম মজা! যারা চাঁদে জায়গা পান নাই তারা মঙ্গলে আসতে চাইলে ইনবক্সে যোগাযোগ করেন। আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে বুকিং নেয়া হচ্ছে...!
Tanvir Ahmed
ও আল্লাহ্ তুমি দেখতে পাচ্ছনা? হে আল্লাহ্ তুমি আমার বাংলাদেশ কে রক্ষা করো। আমরা কেন এত দলে বিভক্ত ? আমরাতো দলে দলে বিভক্ত হতে চাইনা , আমরা আমাদের দেশে ভালবাসা নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই , আল্লাহ্ মানুষ কে ভালবাসতে শেখাও, তুমি আমাদের ওপর এত অসন্তোষ হলে আমরা কার কাছে যাবো আল্লাহ্ ? আমরা তো সারাজিবন তোমার সকর-গুজারি করে যাবো, তুমি আমাদের আর কষ্ট দিওনা আল্লাহ্...।
Raihan Tazib
দেশে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগার প্রবল উস্কানি দেয়া হচ্ছে। যেটা সম্পূর্ণ ইচ্ছা করেই করা হচ্ছে। প্রথম আঘাতটা যাচ্ছে হিন্দুদের উপর। কিছু হিন্দু বাড়ীতে আগুন দেয়া হল। আর আজকে একটা কাঁধের নিচে ক্ষত বিক্ষত শিশুর ছবি শেয়ার করে বলা হচ্ছে এইটা গতকালে নিহত হিন্দু শিশুর ছবি। অথচ গুগল ইমেজ এ সার্চ দিয়ে দেখলাম এইটা ৬ - ৭ মাস আগের একটা ছবি, এই একই ছবি বার্মায় রোহিঙ্গা নিধনের ছবি হিসেবেও চালান হইসিল। সবার প্রতি আকুল আবেদন, ফেসবুক এ যে কোন কিছু শেয়ার দেবার আগে একটু যাচাই করে নিতে। নয়ত এই কারণে যদি কিছুদিন আগের রামুর মত ঘটনা শুরু হয় তবে আপনি ই দায়ী থাকবেন।
কিভাবে বুঝবেন কোন ছবি ফেক ?
১. যেসব ছবি "Shared with: Public" দেয়া আছে সেগুলোতে শুধু Right click> show image দিয়ে URL টা গুগলে পেস্ট করলেই ইমেজ সার্চ হয়ে চলে আসবে বা আপনাকে জিজ্ঞেস করবে ইমেজ সার্চ করতে চান কিনা। আর যদি ছবির প্রাইভেসি Friends দেয়া থাকে তাহলে নিচের পন্থা অনুসরণ করুন।
২. ছবিটি ওপেন করে তাতে রাইট ক্লিক করে আগে আপনার পিসি তে সেভ করে নিন। এরপর image.google.com এ যান। যেখানে টাইপ করতে হয় তার পাশে একটি ছোট ক্যামেরা এর ছবি আছে। এটিতে ক্লিক করুন । এরপর upload an image > choose file এখান থেকে ঐ ছবিটি আপনার পিসি তে যে জায়গায় আছে তা দেখিয়ে দিন। এরপর যে রেজাল্ট গুলো আসবে সেগুলো একটু ভালভাবে পড়ে দেখুন। অন্যভাষার সাইট হলে গুগল ট্রান্সলেটর ব্যবহার করুন।
দয়া করে দেশে দাঙ্গা লাগানর কাজে নিজেকে জড়াবেন না।
M R Karim Reza:
জামাত-শিবিরকে একটি আলাদা ধর্ম হিসেবে ঘোষণা করতে হবে, যাতে মুসলমানের অপমান না হয়।
জামাত শিবিরের নিযর্াতন দেখে যে মুসলমান ভাইরা এখনো এর প্রতিবাদ না করে হিন্দুদের পাশে না দাড়িয়ে বসে আছেন তারাও কিন্তু তাদের সমান অপরাধ করছেন। আপনাদের অনুরোধ হিন্দু প্রতিবেশির পাশে দাড়ান, তাদের সাহস দিন, তাদের হাত শ্ক্ত করুন, তাদের প্রতিবাদ মিছিলে সমানে পাশে দাড়ান। তাহলেই এই শুকরগুলা বুঝতে পারবে তারা সংখ্যায় কত কম। এই দেশে যদি হিন্দু ৫ ভাগ হয় তাহলে জামাত শিবির ও ৫ ভাগের বেশি নয়,যদি কোন মুসলমান সমর্থন না দেয়।
ধর্ম প্রান মুসলমানরা এই ধর্মপরায়ন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টানদের পাশে থাকেন তাহলে হায়নার কি সাধ্য আমার সোনার বাংলাকে, আমার স্বাধীনতাকে আমাদের স্ব স্ব ধর্মকে বিশ্বের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করে?
শেখর সিরাজ:
সবেই যদি আদালতের রুল জারি আর নেতা আর পাতি নেতার খামখেয়ালীর তোষণ মদন করে জামাত শিবিরের এই সহিংস প্রতিহত করতে হয়। তবে বাংলাদেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রলায় নামক খোয়ার'টি আছে কোন দিনের ঘোড়ার ঘাস কাটার জন্য?
রাকিবুল বাসার রাকিব
অদ্য ভোরে আমি চন্দ্র হইতে পৃথিবীতে আমার ভক্তকূলের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখি ।ভক্তরা একটি বিশেষ সংকেতের দ্বারা চন্দ্র হইতে দেয়া আমার বক্তব্য শুনিয়াছে । ছবিটি বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরায় তুলেছেন মাহমুদুল ইসলাম শুভ ।
Isteaque Ahmed
কাল চন্দ্রপৃষ্ঠে আমার ছবি প্রকাশ করার পর :
- ভাই চাঁদ থেকে কখন নামলেন?
: কাল রাতেই?
- একটু থাকতেন।
: নাহ।
- কী অবস্থা সেখানে?
: সেখানকার অবস্থা তো স্বাভাবিক। পৃথিবীতে খারাপ।
- কেমন?
: এই সাঈদী সেখানে গেছে শুনে মানুষের আগ্রহ কমে গেছে। উন্নত বিশ্বে যারা চাঁদের বুকে জমি, অ্যাপার্টমেন্ট কিনতো তা বুকিং কেনসেল করেছে। দাম ভয়াবহ কমে গেছে। এরচেয়ে রাজশাহীর বাগমারায় দাম বেশি।
- বলেন কী?
: হুম।
-আর চাঁদের বুড়ির অবস্থা কী?
: সে প্রেস রিলিজ লিখছে। চাঁদের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে।
- কেন?
: চাঁদে তো আসলে সাঈদী যায়নি।
- তাহলে সেটা কী ছিল?
: ওটা বড় একটা ডিজিটাল ব্যানার ছিল। ব্যানারের ছবি দেখা গেছে, লেখা দেখা যায়নি। যুদ্ধাপরাধী সাইদীর ফাঁসি চাই লেখা। বুড়ি টানিয়েছিল।
Nayir Iqbal Tanoy
চড়কাবুড়ি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন...প্রশাসনের সহায়তা চেয়েছেন....
Mad Scientist:
মুরগীর বাচ্চাগুলার কথা শুনতে শুনতে আর লেখা পড়তে পড়তে মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল। "এতোগুলা মানুষ মারা যাচ্ছে, খুবি খারাপ লাগছে", "দেশ মনে হয় গৃহ যুদ্ধের দিকে যাচ্ছে","এতো ঝামেলা আর ভালো লাগে না" এইসব। আরে বেঈমান আর ভীতুর দল এই কথাগুলোই যদি ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা আর শহীদরা ভাবত আর ঘরে বসে থাকত, তাহলে আজকে এখন বসে তোদের আর ফেসবুকে এইসব স্ট্যাটাস আপডেট দেওয়া লাগতো না। কোন পাকিস্তানির ঘর ঝাড়ু দিতি এখন অথবা এদিক থেকে ওদিক দৌড়াদৌড়ি করতি তোর সেই বোনটাকে খোঁজার জন্য যাকে পাকিস্তানিরা তুলে নিয়ে গিয়েছে।
শহীদদের রক্তের ঋণ একটু হলেও তো শোধ করার চেষ্টা কর। কেউ তোকে এখনি যুদ্ধে নামতে বলেনি, কিন্তু ঢঙের কথা না বলে নৈতিক সাহায্যটা তো কর।

Fazlul Bari:
একাত্তর টিভির শনিবারের একাত্তর জার্নালে গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য দিয়েছেন ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত। সাঈদীর রায় হবার পর কোর্টের হট্টগোলের মধ্যে তাকে আশ্বস্ত করে বলা হচ্ছিল, 'দেশে এমন একটি অবস্থার সৃষ্টি করা হবে যে এই সরকারও থাকবেনা আর তাকেও(সাঈদীকে) সাজা ভোগ করতে হবেনা'!
দেশজুড়ে জামায়াত-শিবিরের তান্ডব আর সিঙ্গাপুর থেকে ফিরেই তাতে খালেদা জিয়ার সমর্থনে দুইয়ে দুইয়ে চার মিলেছে! এরমাঝে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের গণজাগরণ মঞ্চ থেকে ইসলামী ব্যাংক সহ জামায়াত-শিবিরের আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহ বর্জনের ঘোষনা দেয়ায়, সারাদেশে ইসলামী ব্যাংকের নানা শাখায় ব্যাপক ভাংচুর শুরু হওয়াতে মরিয়া ব্যাংকটি গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে মিডিয়া ম্যানেজে কোথায় কি পরিমাণ মালকড়ি দিয়েছে, তাও মিডিয়া হাউসগুলোতে এখন ওপেন সিক্রেট বিষয়!
জামায়াতের নুন খেয়ে ঈমানদার(!) তারা নিমকহারামিও করতে পারছেন না! এই নষ্টদের অবশ্য কোথাও কোন গ্রহণযোগ্যতাও নেই। কাজেই এরা নতুন প্রজন্মের গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের কোন ক্ষতিও করতে পারবেনা।
আমাদের এখন যে কোন মূল্যে এই বিচারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। যে কথাটি বারবার বলি তাহলো এ সরকার যতক্ষণ ক্ষমতায় আছে, এ বিচার প্রক্রিয়া চলবে, এ সরকার না থাকলে তা বন্ধ-পন্ড হবে। এতে করে শেখ হাসিনা হয়তো মারা পড়বেন, কিন্তু কোন অবস্থাতে বিচার প্রশ্নে কোন আপোস করা যাবেনা। আপোস না করাতে প্রাণ হারিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিব। কিন্তু তাকে মেরে ফেলা যায়নি। ৭ মার্চের ভাষন এখনও এ জাতির কাছে শ্রেষ্ট সম্পদ। জীবনের বিনিময়ে হলেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ করে গেলে দেশের লক্ষ লক্ষ শহীদ পরিবারের কান্না শুকানো চোখের মণি হয়ে বেঁচে থাকবেন শেখ হাসিনা। সাপের লেজে তিনি পা রেখেছেন! আপোস করলেও বাঁচবেন না।
জামায়াতিদের সামান্য কিছু টাকার লোভ সামাল দিতে না পেরে যারা এই বিচার-আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন তাদেরকে ঘৃণা! ছি!!! প্রিয় প্রজন্ম, দেশের মানুষের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার যে আলোর মশাল তোমরা নতুন জ্বালিয়েছেো, উজ্জীবিত সে সাহসেই বলছি, আমরা হারবোনা। তারা হারবে। ধবংস হবে। কারন তারা বাংলাদেশের না। জয় বাংলা!!!!
Afia Ayesha:
ato indian neta ashse keno?
Zahid Hossain:
সামনে আরো যা যা শুনতে পারেন সাঈদীকে নিয়ে:
ভূমিকম্প হইলে - ভূমিকম্প হয়নি সাঈদীর প্রতি অবিচারে আল্লাহর আরশ কেঁপেছিল !
বৃষ্টি হইলে - বৃষ্টি না, মেঘেরা কানতেছে আজ , সাইদীর মুক্তি চেয়ে !
ভেজাল মাল দিয়ে বানানো কোন বিল্ডিং হেলে পরলে - কিয়ামতের আলামত , সাইদীর মুক্তিতেই কেবল কিয়ামত এর হাত থেকে বাচা যাবে
আল্লাহ না করুক কোন বিচারক মারা গেলে - হা হা বলসিলাম না গজব , সাইদীর কিছু হলে এমনি গজব পরবে !
আকাশে বিজলি চমকালে - আল্লাহ টর্চ মেরে নাস্তিকদের চিনে রাখলো যারা সাঈদী হুজুরের বিরুদ্ধে কথা বলছে!
আকাশ কালো করে মেঘ জমলে - আকাশ মুখ কালো করে বসে আছে সাঈদী হুজুরের ফাঁসির রায় শুনে!
বন্যা হইলে - সাঈদীর চোখের জল বন্যার পানি হয়ে নাস্তিকদের ঘরবাড়ি ডুবিয়ে দিচ্ছে!
পাহাড় ধসে পড়লে - পাহাড়ও মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে থাকছে না সাঈদীর রায় শুনে!
খরা হলে - সাঈদীর রায় শুনে আবহাওয়া কাঁদতে কাঁদতে শুষ্ক হয়ে গেছে!(collected)
Sohel Abdullah:
Dazed and confused- Truth is a rear commodity.
Musa Ibrahim:
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় কোনো ঘটনায় যদি শতাধিক মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটে, বা ক্ষতির পরিমাণ যদি ন্যূনতম কোটি টাকায় ঠেকে, তাহলে তা মহা-দুর্যোগ হিসাবে ধরা হয়। সেই হিসাবে এখন দেশে মহা-দুর্যোগ চলছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রায় অর্ধশত মানুষ মারা গেলেন, হামলা-ভাংচুর-লুটপাট-অগ্নিসংযোগ ইত্যাদিতে ক্ষতির পরিমাণ আর্থিক দিক থেকে কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। সুতরাং এই দুর্যোগ এখন মহামারি আকার ধারণ করেছে- হতাহত এবং আর্থিক দিকের যুগপৎ ক্ষতিতে।
কিন্তু এর চেয়েও একটা বড় দুর্যোগ রয়েছে। সেটা হলো কাউকে যদি মানসিকভাবে পঙ্গু করে বা চাপে রাখা যায়, তাহলে সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সময় লাগে আরও বেশি। এটাই সবচেয়ে জঘন্ন বিপর্যয়।
স্বাধীনতাবিরোধী, দেশবিরোধী, স্বার্বভৌমত্ববিরোধী, ধর্মব্যবসায়ীরা দেশে এখন যে ধরনের নিপীড়ন চালাচ্ছে, এটা ১৯৭১ সালের সেই বিপর্যয়ের কথাই মনে করিয়ে দেয়। বাংলাদেশকে আবার তারা মানসিকভাবে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে। এ সময় সবার কাজ হবে দৃঢ় মনোভাব নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা। We should keep our moral high.
Bondona Kabir:
দুদিন ধরে চারিদিক দেখছি আর মুখ তিতা করে ভাবছি,
কতখানি ধোয়া মস্তিষ্ক হলে
কোনো মানুষ রাজাকারের মিথ্যে কথাকে বিশ্বাস করে !
সে খুনি রাজাকার জানার পরেও তার জন্য রাস্তায় মারামারি করতে পারে !
মানুষ খুন করতে নেমে যায় !
ধর্ম ধর্ম করে, জাত পাত করে প্রতিবেশির বাড়িতে আগুন দিতে পারে !
খুনে চেহারা নিয়ে লাঠি মাথায় তুলে ছুটে যায় আরেকজনের মাথা ফাটাতে !
কতখানি অন্ধ হলে
চাঁদের মধ্যে কারোর মুখাবয়ব দেখতে পায় !!
জ্বীনের মিছিল দেখতে পায় !!!
গনহত্যার নায়কের অতীতের হীন কার্যকলাপ দেখে না !!
কতটুকু শ্রবনশক্তিহীন হলে
একজন ভন্ডের ভুল ভাল 'ওয়াজ' শুনে বিমোহিত হতে পারে !
হাজার লক্ষ সম্ভ্রম হারানো মা-বোনের কান্না শুনতে পায়না !
লক্ষ কোটি জনতার সত্য চিতকার শুনতে পায়না !
এতো এতো মস্তিষ্কহীন, অন্ধ, শ্রবনশক্তিহীন মানুষ যে দেশে
সেই দেশে শকুনের জন্ম বৃদ্ধি হবে না তো কি পায়রাদের হবে ?
সবার আগে এই সকল প্রতিবন্ধিদের উপযুক্ত চিকিতসা (শিক্ষিত) করা প্রয়োজন
নইলে অদূরভবিষ্যতে এই দেশে কেবল শকুনেরাই রাজত্ব করবে :/
Masud Anwar:
আলটিমেটাম! পাছায় লাথি মেরে পায় পথে ঘরে পালিত রাজহাসের ডিম্ব প্রবেশের পূর্বে আমার ফ্রেন্ডলিস্টে ঘাপটি মেরে বসে থাকা নাজায়েজ সম্পর্কের ফসল ছাগুরা নিজ নিজ দ্বায়িত্বে নিজের পায়ু পথ বাচায়া চলে যাও! নইলে শুধু শুধু আমার সময় নষ্ট করে তোদের খুজে খুজে ডিম্ব প্রবেশ করাইতে হবে। একবার অত্যন্ত অবলা রাজ হাসটার কথা ভাব, কত কষ্ট করে শুধুমাত্র তোদের কারনে কতগুরো ডিম্ব সাপ্লাই দিতে হবে! কি দরকার? চলে যা... তোদের ও পুটু বাচবে আমার হাসটারও কষ্ট কম হবে.... যা চলে যা ধুর হ বেজন্মারা!
Ahmad Naqibul Arefin:
গত বিশ দিন যাবত আমার পাশের রুমের যেই ভাইয়ের (হিন্দু) সাথে শাহবাগ, প্রজন্ম চত্তর, গনজাগরন - এইসব নিয়ে আলোচনা করেছি, একসাথে শাহবাগে গিয়েছি, এক সাথে বসে ইন্টারনেটে খবর গুলো দেখেছি, তার সাথে এখন কথা বলতেই আমার অসস্তি বোধ হচ্ছে। শুধু মনে হচ্ছে আমার মতো কোন একজন মুসলমান তাদের ধর্মাবলী লোকগুলোকে অন্যায় ভাবে মেরেছে, বাড়ীঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। তাও ভালো, উনার সামনে পড়তে হচ্ছে না, উনি বাড়ীতে গেছে ২ দিন আগে। আমি শুধু ফোন করে বলেছি - "ভাই, সাবধানে থাকবেন।" , কিন্তু আমি নিজেই জানি না "ইসলামের বারোটা বাজানো" এই "ভুল দীক্ষায় দীক্ষিত" মুসলমান গুলোর হাত থেকে কিভাবে সাবধানে থাকা যায়, যেখানে সাধারন মুসলমানরাই নিরাপদ না। সাইদীর ফাসীর রায়ের সাথে হিন্দুদের ঘর-বাড়ী পোড়ানোর কি সম্পর্ক - এই প্রশ্নের উত্তরটা কি কেউ আমাকে দিতে পারবে?
Irfan Ahmed Rizvi:
গৃহযুদ্ধের দিকে যাচ্ছি কী আমরা?
Murshed Billah:
যদি বাংলাদেশটাকে ১০০ বছরের জন্যে অন্য কোনো ধনী আধূনিক রাষ্ট্র কে ইজারা দিয়ে দেয়া যেত ! যারা আমাদেরকে শাষণ করতো, শোষণ করতো, উন্নয়ন করতো, অবকাঠামো গড়ে দিত, অন্ততঃ মৌলিক চাহিদাগুলো মেটানোর চিরস্থায়ি ব্যবস্থা করে দিত। রাষ্ট্রদ্রোহীতা হচ্ছে হয়তো। খুবই মর্মাহত আজ। কতদিন এভাবে আর ?
নিতান্তই রুশো:
চক্রান্ত যে কতভাবে হচ্ছে এই দেশটাকে নিয়ে! চক্রান্ত ঠেকানোর একমাত্র উপায় হচ্ছে আমাদের মধ্যে সচেতনতা। সবাই জামায়াত-শিবির-বিএনপি'র চক্রান্ত থেকে দেশকে রক্ষা করতে সচেতন থাকুন। এমনকি ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগও যদি জনগণের আবেগকে পুঁজি করে চক্রান্তে লিপ্ত হয়, তাহলেও ছাড় দেওয়া হবেনা। মানুষকে নীচের তথ্যটি সবাই জানান......
Rita Roy Mithu:
আমরা বাঙালী, সংখ্যালঘু নই, আমরা 'আস্তিক' কিন্তু ইসলামের শত্রু নই। যার যার ধর্ম তার তার, দেশটা আমাদের সবার। প্লীজ, সাম্প্রদায়িক উস্কানীতে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। আজ আমাদের ঘর-বাড়ী জ্বালিয়ে দিচ্ছেন, কাল সকালে ঘুম ভেঙ্গে প্রতিবেশীর পোড়োভিটে দেখে আপনার বুকটা মুচড়ে উঠবে, কারণ, সবার উপরে আপনি মানুষ, পরে মুসলমান বা হিন্দু। জয় বাংলা।
Supriti Dhar:
...জাতির বৃহত্তর স্বার্থে জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করা যেমন জরুরি, তেমনি জরুরি হয়ে পড়েছে অবিলম্বে টকশোগুলো বন্ধ করা। আমি মনে করি, দুটোই সমানভাবে দায়ী দেশের বর্তমান অস্থিতিশীলতার জন্য। টকশো'র মধ্য দিয়ে ফায়দা লুটছে একশ্রেণীর সুবিধাবাদী মানুষ, তাদের না আছে নিজস্ব জায়গা, না আছে চরিত্র। অথচ জাতির বিবেকে পরিণত হয়েছে। কে তাদের এই অধিকার দিল, কবে দিল, তাই বুঝতে পারছি না। কিছু মানুষ যারা শাহবাগের আন্দোলনে গিয়ে ফটোসেশন করে বেড়ায়, তারাই দেখি একজোট হয়ে রাতের আন্ধারে টিভি পর্দায় গলা ফাটায়, শাহবাগের ভবিষ্যত নিয়ে মন্তব্য করে। আরে, ওরা কে, একথা বলার? এদের নির্লজ্জতা দেখে দু:খবোধ করি। টকশো কর্মকর্তাদের প্রতি আমার অনুরোধ, একবার আপনাদের অতিথিদের অতীতটা ঘুরে আসুন, কী আছে সেখানে!
Shams Khan:
দেশী বিদেশী বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় বিভিন্ন রিপোর্ট। CNN এর সর্বশেষ তথ্য http://www.cnn.com/2013/03/01/world/asia/bangladesh-riots/ অনুজাই ৪৫ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। আমি যেই স্কুলে এবং কলেজে পরেছি সেই বরিশাল ক্যাডেট কলেজের ২৫ তম ব্যাচের একজন জুনিয়র ভাইয়ের বাবাও নিহত হয়েছেন সাত্খিরায়। তিনি কোনো রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন না। বাজারে গিয়েছিলেন জরুরি কাজে। গোলাগুলির মধ্যে পরে নিহত হয়েছেন তিনি।
যারা নিহত হয়েছেন তারা সবাই কারো বন্ধু, স্বজন বা প্রতিবেশী। সবার উপরে তারা সবাই বাংলাদেশী। প্রতিটি মৃত্যুই ছিল unjustified. যদি একটি মৃত্যুকেও আপনি justify বলে মনে করেন তাহলে আপনি মনুষত্ববিহীন একজন অমানুষ। CNN এর তথ্য যদি সঠিক হয় তবে এই ৪৫ জনের মৃত্যুর সাথে ধংশ হয়ে গেছে ৪৫ টি পরিবার। তাদের সান্তনা দেওয়ার ভাষা কি আমদের আছে? সারাদেশ আজ শোকে মুহ্হমান। মধ্ধবিত্ত সমাজের সবাই উদ্বিগ্ন তাদের নিজেদের বর্তমান এবং সন্তানদের ভবিষ্যতের স্বপ্নগুলো নিয়ে।
অত্যন্ত দুখ্খের বিষয় অনেক প্রবাসী বাংলাদেশী একদিনে এতগুলো লোকের মৃত্যুর পরেও কেউ আস্তিকতা আর কেউ নাস্তিকতার ডাক দিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। আমেরিকা, কানাডা, ব্রিটেন, জার্মানী হয়ত আজ আপনার বর্তমান এবং বাংলাদেশ আজ আপনার অতীত যেখানে আপনি কখনো ফিরে যেতে চান না। তাই দেশ আরো অস্থিরতার দিকে চলে গেলে, আরো মানুষের মৃত্যু হলে আপনাদের হয়ত কিছুই যায় আসে না। এরকম দায়িত্বহীন কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। আপনি মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান যেই ধর্মেরই হয়ে থকেন না কেন সেই ধর্মের প্রথা অনুযায়ী এই মৃত মানুষগুলোর বিদেহী আত্মার জন্য দোআ করে নিন।
এ মুহুর্তে এই দেশটা খুবই দুঃখী দেশ। কে এখানে victim না বলুন? এই মুহুর্তে FaceBook ও Blogকে আপনার রাগ ও ঘৃণার প্ল্যাটফর্ম বানাবেন না। আপনার ক্ষোভের প্রতিটি কারণই যথাযথ কিন্তু রাগ ও ঘৃণার উপরে মনুষ্যত্বকে স্থান দিন। শুধু একটা কথা মনে রাখুন - অনেকগুলো মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
Nuruddin Ahmed Bappy:
কয়দিন আগে মাহমুদুর নিয়া লাগছিল, এখন আবার চাঁদ!
আসল দাবি জামাত শিবির নিষিদ্ধ - সেইটা নিয়া কথা নাই।
সরকারকে চাপটা কে দিবে? লীগের নেতা ইমরান সরকার?!
আওয়ামী কর্মী - ২য় মুক্তিযুদ্ধের ১ম বঙ্গবন্ধু ইমরান এইচ সরকারদের সাঈদি নিয়ে একটা কথাও বলতে দেখি নাই। রায়ের পর কোথায় দেখলাম সেইটা উতসর্গ করা হইছে! প্রতিটা মহাসমাবেশে ছা��্রলীগ নেতাদ্বারা পরিবেষ্টিত থাইকা সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া ছাড়া আর কিছু করছে সে?
৬ দফা করল (কাদের সাথে আলচনা কইরা? আসল দাবিই কিন্তু ছিল না!) সেইটা নিয়াও কথা দেখি না, দেখি মাহমুদুর নিয়া লইট্যা মাছের মতো আল্টিমেটাম!
ঢাকার বাইরে পুরা ছারখার হয়ে যাচ্ছে, হিন্দুদের ধরে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে সে সব আমাদের ছুঁয়ে যায় না। আমাদের ছুঁয়ে যায় চাঁদ!
আমাদের নাকি আবার জাগরণ ঘটছে!
আমরা নাকি নতুন দিনের মুক্তিযোদ্ধা!
থুঃ
—
রুমানা বৈশাখী:
খবর-
চাঁদের বুকে দেখা গিয়েছে লাল দাঁড়ি মেশিন ম্যান সাইদির ছবি। (মেশিন ম্যানের মুখের ছবি না মেশিনের ছবি, সেইটা অবশ্য আমি সিউর না। ছাত্রী শিবিরের আপারা ভালো বলিতে পারিবেন)।
সিধান্ত-
মাদ্রাসায় আর যাই পড়ানো হোক না কেন, বিজ্ঞান যে পড়ানো হয়না সেইটা নিশ্চিত হওয়া গেলো। তেনাদের কাছে চাঁদ হইলো ফিলিপস বাত্তি, পৃথিবীর নাম পাকিস্তান, আর বাংলাদেশ মানে মগবাজার।
মন্তব্য-
ছোট বইন বলিয়াছেন সাইদিকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়া হউক, এবং লরিয়েল কোম্পানির কাছে চালান করা হউক। তাহার দাঁড়ির যে মাশাল্লাহ টকটকে লাল রঙ, তাতে ঐশ্বরিয়া রাইয়ের ভাত মারিয়া অচিরেই আমাদের মেশিন ম্যান লরিয়েল কোম্পানির মডেল হইবে। জীবনে দেশের জন্য কিছু করে নাই হারামিটা, অন্তত কিছু বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করিয়া আনুক। (এইখানে একটা গান হবে, সাথে নাচের দৃশ্য)... বলেন মারহাবা!!
এবং একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা-
ছাত্রী শিবিরের আপারা মোটেও মিথ্যা বলেন নাই। তাহারা প্রকৃত পক্ষেই মেশিন ম্যানের ছবি চাঁদের বুকে দেখিয়েছেন। যেই মেশিনের ছবি তাহাদের অন্তরে ছাপা, সেইটা কি না দেখিয়া পারেন? মেশিনের এক্সপ্যায়ার ডেট নিকটবর্তী, সেই শোকে বেচারিদের হেলুসিনেশন হচ্ছে... এই আর কি!! আহারে, বেচারিদের জন্য সহানুভূতি। (চক্ষে পানি আইসে পড়লো)
একটি প্রস্তাব-
ছাত্রী শিবিরের আপামনিরা, মেশিন ম্যান তো দোজখের দিকে রওনা হচ্ছেই... আপনারাও চাইলে সহমরণে যাইতে পারেন। উপকরণ যা লাগে আমরা সাপ্লাই দিবো। এত মহান একটা কাজে সহায়তা করাও তো সোয়াবের ব্যাপার।
পারবেন, আপনাদের প্রাণ প্রিয় হুজুরের সাথে সহমরণে যাইতে?
Shawnchoy Rahman:
এবার শুরু হয়েছে অসত্য আর বিভ্রান্তির পালা। চারিদিকে অসংখ্য ভুয়া ছবি আর ভুয়া ভিডিও। আওয়ামী লিগ, জামায়াত, বিএনপি কেউ কারো চেয়ে পিছিয়ে নেই। কিছুদিন আগে বাচ্চা একটি শিশুর রক্তমাখা ছবি দেখে শিউরে উঠেছিলাম। ছবিটি দেখে আজও শিউরে উঠি তবে আজকেই জানলাম সেই ছবিটির সাথে বর্তমান ঘটনার কোন সম্পর্ক নেই।
এ বিভ্রান্তির শেষ কোথায়? জাতি কবে মুক্তি পাবে এই পরিবারতন্ত্র আর ধর্মব্যবসায়ীদের হাত থেকে ? ?
Rohan Uddin Fahad:
বেশ অনেকক্ষন রাজীবের খুনীদের ছবিগুলো দেখছিলাম... অনলাইনে নানা প্রফাইলে ঘুরলাম গুগলিং করতে করতে... দেশের এতো এতো হাই সোসাইটি ইংলিশ মিডিয়াম ইয়ুথ লিডাররা বসুন্ধরা বারিধারায় বসে বসে খেলাফতের স্বপ্ন দেখছে দেইখা ভালোই লাগলো...
যত বড় অপরাধেই দুষ্ট হোক না কেনো, একজন মানুষকে অন্ধকার রাস্তায় অসহায় অবস্থায় এমব্যুশ করে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মেরে ফেলে অবলীলায় স্বাভাবিক জীবনে ফেরত যাওয়া, ফেসবুকে ভালো ভালো স্ট্যাটাস দেওয়া এইসব হইলো মনোবিকৃতির লক্ষন। মনোবিকৃত পাশবিক মানুষজন নিয়ে আর যাই হোক ইসলাম কায়েম হয় না।
আমার ফেসবুকের স্ট্যাটাস নিয়ে অতিমাত্রায় গবেষনারত এরকম এক হিজবুতের আগ্রহ দেখে খুব কাছের একজন কয়েকদিন আগে সাবধান করে তাকে আনফ্রেন্ড করতে বলেছিলো। ঐদিন হেসেছি, আজকে সে আবার সাবধান করলো। আজকে ওতো গলা উচু করে হাসতে পারি নি, বড় ভাই বলছে তাই ইসলাম বাঁচাতে যেই উচ্চশিক্ষিত ছেলেগুলো অন্ধের মতো চাপাতি নিয়ে নেমে গেলো তাদের চেহারাগুলো তো তার মতনই...কে জানে আজকে রাতে আমার জন্যও এমন কেউ পাড়ার রাস্তায় ক্রিকেট খেলার নামে অপেক্ষা করছে কি না....
শুধু রাজীবের খুনীদের ধরলেই হবে না, এই হিজবুত গোষ্ঠীর অর্থ উৎস, বড় ভাই, ধর্মীয় গুরু এদের চিহ্নিত করতে হবে। এই বয়সে উচ্ছল জীবন যাপন বাদ দিয়ে এমন কট্টর একটা অবস্থানে চলে যাবার পেছনের কারণ গুলো সমাজবিজ্ঞানীদের দিয়ে গবেষনা করে চিহ্নিত করতে হবে। নাফিসের পরে এই পাঁচজন, সবাই নর্থ সাউথের, এই বিশ্ববিদ্যালয়কে অবশ্যই নজরদারীর আওতায় আনতে হবে।
সবাই সতর্ক থাকুন, সাবধানে থাকুন, চোখে চোখে রাখুন নিজের সন্তান - ভাই - বন্ধুটিকে... খুন অথবা খুনী হয়ে যাওয়া থেকে বিরত রাখুন...