
ছবি সংগৃহীত
হাবিব ওয়াহিদ
আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, ০৬:৩৮
হাবিব ওয়াহিদ, যিনি হাবিব নামেই শ্রোতাদের কাছে বেশি পরিচিত। তিনি একজন বাংলাদেশী সুরকার এবং সঙ্গীতশিল্পী। তিনি বাংলা লোকগীতির ফিউশনের সাথে টেকনো এবং শহুরে বিটের সমন্বয়ের জন্যে সমধিক পরিচিত। স্বল্প পরিচিত লোকগীতিকে আরো ভাল সুর দিয়ে, রিমিক্স করে সাধারণ শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয় গ্রহণযোগ্য করে তুলছেন তিনি। তিনি মূলত হাসন রাজা, শাহ আবদুল করিম, আমির উদ্দীন প্রমূখ মরমী সঙ্গীত শিল্পীদের গানকে কিছুটা পরিবর্তনের মাধ্যমে জনপ্রিয় করে তুলেছেন। এ কারণে অনেকের কাছেই তিনি যেমন সমালোচিত হয়েছেন, ঠিক তেমনি তরুণ প্রজন্মের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে খ্যাত হয়েছেন। পারিবারিক জীবন এবং শিক্ষা হাবিব ঢাকায় জন্মগ্রহন করেছেন এবং বড় হয়েছেন। তার সহধর্মিণীর নাম রেহান। তাদের প্রথম সন্তান আলিম ওয়াহিদ যিনি ২০১২ এর ২৪ ডিসেম্বর জন্মগ্রহন করেন। হাবিবের পিতা ফেরদৌস ওয়াহিদ আধুনিক বাংলা পপ সঙ্গীতের পথদ্রষ্টা ছিলেন। ১৯৭০ ও ১৯৮০’র দশকে ফেরদৌস ওয়াহিদ বাংলা পপ সঙ্গীতকে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন। হাবিব তাই ছোটবেলাতেই তার পিতার কী-বোর্ড থেকে সুর করতে শিখেন। তিনি ধানমন্ডির সাউথ ব্রীজ স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন। পরে তিনি স্কুল অব অডিও ইঞ্জিনিয়ারিং, (লন্ডনে) অডিও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অধ্যয়ন করেন। এসময় তিনি এশিয়ান আন্ডারগ্রাউন্ডের নিতিনের সাথে কাজ করার সুযোগ পান। সঙ্গীত ভুবনে আবির্ভাব হাবিবের প্রথম লোকসঙ্গীতের রিমিক্স অ্যালবাম কৃষ্ণ। লন্ডনে ছাত্রাবস্থায় থাকাকালীন সময়ে এটি প্রকাশিত হয়। এ অ্যালবামের কনসেপ্ট ও সুর অনেক পূর্বেই তৈরি করেছিলেন এবং শুধু একজন গায়কের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বলে জানা যায়। লন্ডনে একজন সিলেটী রেস্তোঁরার মালিক কায়া ছিলেন একজন অপরিনত গায়ক, যার মত কন্ঠই হাবিবের দরকার ছিল। তাদের মিলিত গানগুলো লন্ডনে প্রচণ্ড জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। যখন এই অ্যালবাম কৃষ্ণ শিরোনামে প্রথমবারের মত বাংলাদেশে মুক্তি পায় তখন সেটি অসম্ভব জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এতে ছিল পুরোনো স্বাদের লোকসঙ্গীত এবং পাশ্চাত্যের ইলেকট্রনিকা এর মিশ্রণ যা বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো প্রচলিত হয়। প্রকাশিত অ্যালবামসমূহ এরপর কয়েক বছরের মধ্যে তিনি আরও সাত’টি অ্যালবাম মুক্তি দেন - মায়া (২০০৪),ময়না গো (২০০৫),শোন (২০০৬),পাঞ্জাবিওালা(২০০৭),বলছি তোমাকে (২০০৮), অবশেষে (২০০৮), আহবান(২০১১)। হাবিব এই অ্যালবামগুলোতে নতুন কন্ঠের আগমন ঘটান। কায়া’র পাশাপাশি এতে হেলাল’কে আনেন যার কন্ঠে অনেক অনুভুতি ছিল। জুলি, কনিকা, নির্ঝর, ইত্যাদি নতুন মুখ ময়না গো অ্যালবামে হাবিবের সাথে কাজ করেন। হাবিব নিজেও ময়না গো অ্যালবামের মাধ্যমে গায়ক হিসেবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করেন। হাবিবের পিতা ফেরদৌস ওয়াহিদ ও মিলন মাহমুদ ময়না গো অ্যালবামে গান গেয়েছেন। হাবিবের গানগুলোতে হিপহপ, রেপ, ইত্যাদিতে কন্ঠ দেন কুনলে। হাবিব নিজেকে অন্যতম জনপ্রিয় তরুণ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আহ্বান অ্যালবাম এ হাবিবের সাথে আরও গান করেন নেন্সি এবং কনা। অ্যালবাম এর কাজ ছাড়াও তিনি বাংলালিংক, সিটিসেল, প্রাণ আপ, মেরিল বিউটি সোপ এবং অন্যন্য পণ্যের জন্য জিঙ্গেল করেছেন। এছাড়াও তিনি হৃদয়ের কথা, আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা, চন্দ্রগ্রহন, আমি তোমায় ভালোবাসি, এইতো প্রেম, থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার, আমার আছে জল সিনেমার জন্য গান কম্পোজ করেছেন যার বেশির ভাগ গানই সফল হয়েছে। কনসার্ট তার প্রথম কনসার্ট ছিল মেলবোর্নে ২০১২ এর ২৬ মে এবং আরেকটি ছিল সিডনিতে ২০১২ তে। পুরস্কার মেরিল প্রথম-আলো পুরষ্কার শ্রেষ্ঠ শোন অ্যালবাম এর জন্য পুরস্কার (২০০৬) শ্রেষ্ঠ ভালবাসবো গানের জন্য পুরস্কার ২০০৬ (চলচ্চিত্র: হৃদয়ের কথা) শ্রেষ্ঠ বলছি তোমাকে অ্যালবাম এর জন্য পুরস্কার (২০০৮) শ্রেষ্ঠ দ্বিধা গানের জন্য পুরস্কার ২০০৯ (চলচ্চিত্র: থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার). শ্রেষ্ঠ প্রজাপতি অ্যালবাম এর জন্য পুরস্কার (২০১০) ওয়ালটন বৈশাখী পুরস্কার ২০১১ জাতীয় পুরস্কার ২০১৩ তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া
- ট্যাগ: