ছবি সংগৃহীত

স্বাদের সবজি চিচিঙ্গা

nusrat jahan champ
লেখক
প্রকাশিত: ০৪ জুলাই ২০১৩, ১০:১৬
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৩, ১০:১৬

চিচিঙ্গাকে গ্রীষ্মকালীন সবজির তালিকাভুক্ত করা হলেও এই সবজি বর্ষাকালেই বাজারে দেখা যায় বেশি। অধিক ফলন এবং সহজলভ্যতার কারণে চিচিঙ্গা সবজি হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। বিশেষ করে কুঁচো চিংড়ি দিয়ে চিচিঙ্গার ভাজি খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। চিচিঙ্গা দিয়ে তৈরি করা যায় চমত্‍কার ঝোল তরকারিও! বড় মাছ বা মাংসের তরকারিতেও ব্যবহার করা হয় চিচিঙ্গা। চিচিঙ্গার ভর্তা ও অন্যান্য তরকারিও বেশ জনপ্রিয়।

চিচিঙ্গার ইংরেজি নাম Snake gourd। লম্বা, ডোরাকাটা শরীরের জন্যই এমনটা নাম! Serpent gourd নামেও চিচিঙ্গা পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম Trichosanthes cucumerina। এটি মূলত ঝিঙে ও শসা গোত্রের সবজি। চিচিঙ্গা বর্ষজীবী লতানো উদ্ভিদ। তাই চিচিঙ্গা চাষে লাউয়ের মাচার মতো মাচা ব্যবহার করা হয়। সুন্দর, সাদা রঙের ফুল ফোটে। গ্রীষ্মের শেষভাগ থেকেই গাছে ফল আসতে শুরু করে। চিচিঙ্গা দেখতে বেলনাকার। কখনো কখনো সাপের মতো পেঁচানোও হয়! এর ত্বক মসৃণ, খাদ্যযোগ্য অংশ মূলত এই ত্বকটাই। রং হালকা সবুজ বা সবুজাভ সাদা। এর গায়ে একাধিক রঙে ডোরাকাটা দাগ থাকে, যেন গেছো কোনো সাপ! চিচিঙ্গার আদি নিবাস ভারতে। ভারতের স্থানীয় সবজি হিসেবে এটা খুবই জনপ্রিয়। খাবার হিসেবে তো বটেই, ভারতীয় আয়ুর্বেদ চিকিত্‍সাতেও চিচিঙ্গার ব্যবহার রয়েছে। চিচিঙ্গা বহু গুণে গুণান্বিত একটি সবজি। নানা পুষ্টিগুণ উপস্থিত রয়েছে চিচিঙ্গাতে। চিচিঙ্গার খাদ্যযোগ্য প্রতি ১০০ গ্রাম অংশে রয়েছে -
খাদ্যশক্তি- ১৮ কিলোক্যালরি জলীয় অংশ- ৯৫ গ্রাম আমিষ- ০ গ্রাম চর্বি- ০৩ গ্রাম খাদ্যআঁশ- ১ গ্রাম শর্করা- ৩ গ্রাম ক্যালসিয়াম- ২৬ মিলিগ্রাম ফসফরাস- ২০ মিলিগ্রাম আয়রন- ১ মিলিগ্রাম ভিটামিন এ- ১৬০ আইইউ থায়ামিন- ০.০৪ মিলিগ্রাম রিবোফ্লেভিন- ০.০৬ মিলিগ্রাম নিয়াসিন- ০.০৩ মিলিগ্রাম পুষ্টিগুণের পাশাপাশি চিচিঙ্গার রয়েছে বেশ কিছু ভেষজগুণও। যেমন -
  • মৌসুমি জ্বর ও জন্ডিস প্রতিরোধে চিচিঙ্গা তুলনাহীন।
  • চিচিঙ্গা পাতার রস ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের জন্য খুবই উপকারী।
  • পাতার রস চুলের গোড়ায় লাগালে খুশকি দূর হয়।
  • চিচিঙ্গা একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চিচিঙ্গা সহায়তা করে।
  • এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যে ক্ষত দ্রুত সারিয়ে তোলে। ক্যান্সার প্রতিরোধেও চিচিঙ্গার ভূমিকা রয়েছে।