
ছবি সংগৃহীত
যে ৬টি ভুল ভাবনা আপনাকে করে তুলছে হতাশ ও অসুখী
প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৫:২৫
আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৫:২৫
আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৫:২৫
কোনো চিন্তাই নেই এমন মানুষ বোধহয় পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিশেষ করে দুশ্চিন্তা করতে আমরা মানবজাতি ভীষণ রকমের ওস্তাদ! একেকজনের সমস্যা থাকে একেকরকম, তাই দুশ্চিন্তার বিষয়ও থাকে আলাদা আলাদা। এর মধ্যে কিছু ভাবনার বিষয় থাকে একেবারেই অহেতুক এবং অমূলক। যেসব ব্যাপারে চিন্তা করে কোনো সমাধান করা যায় না, সেসব ব্যাপারে অনর্থক না ভাবাই ভালো। আপনি জানেন কি, দিনের কতটা সময় আপনি অহেতুক দুশ্চিন্তা করে ব্যয় করেন? এটা সময়ের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়! তাই শুধু শুধু দুশ্চিন্তা করে নিজের শারীরিক ও মানসিক অবনতি না করে বরং সেই সময়টা গঠনমূলক কাজে লাগান। জেনে নিন কোন বিষয়গুলো নিয়ে অনর্থক দুশ্চিন্তা করলে তা হতে পারে আপনার শারীরিক এবং মানসিক ক্ষতির কারণ।
চেহারা নিয়ে দুশ্চিন্তা করা :
মানুষ তার কোনো অবস্থাতেই সন্তুষ্ট থাকে না। বিশেষ করে নিজেকে নিয়ে কম-বেশি সবারই আফসোস রয়েছে। কেউ চায় লম্বা হতে, কেউ চায় ফর্সা হতে, কেউ হতে চায় চিকন হতে আবার কেউবা মোটা! আমি কেন আরেকটু সুন্দর হলাম না বা আমার চোখ কেন আরেকটু বড় হলো না- এমন হাজারো রকমের অভিযোগ নিজেকে নিয়ে! কিন্তু এসব নিয়ে ভেবে কি কোনো লাভ আছে?
অন্যের সাথে নিজের তুলনা করা :
প্রত্যেক মানুষেরই আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে, কেউ কারো মতো নয়। তাই অন্যের সাথে নিজের তুলনা করে অনর্থক কষ্ট পাওয়া মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়! অমুক আমার চেয়ে দেখতে বেশি ভালো বা তমুক আমার চেয়ে অনেক বেশি সফল- এসব বিষয়ে যত বেশি ভাববেন মনোকষ্টের কারণ বেড়ে যাবে তত বেশি। আপনি নিজেই ভেবে দেখুন, অন্য কারো সাথে নিজের তুলনা করলে আপনার আত্মবিশ্বাস কমে যায় কি না? উত্তর আসবে, হ্যা! তাহলে শুধু শুধু কেন নিজের ওপর বিশ্বাস হারাবেন? আপনার সাফল্যের চাবিকাঠি আপনার হাতেই। সঠিক পরিকল্পনা করুন এবং পরিশ্রম করুন, জীবনে সফলতা পাবেনই! আর বাকি রইলো দেখতে ভালো লাগার কথা? আপনার ব্যক্তিত্ব যদি আকর্ষণীয় হয়, আপনার নিজেকে উপস্থাপন যদি আকর্ষণীয় হয়, তাহলে চেহারা কোনো ব্যাপারই না! সুতরাং অন্যের সাথে নিজের তুলনা করে সময় নষ্ট না করে বরং আত্মোন্নয়নের পেছনে সময় ব্যয় করুন।ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তা করা :
বলা হয়ে থাকে- ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবাই জ্ঞানীর কাজ! তার মানে এই নয় যে আপনি ভাবনাটাকে দুশ্চিন্তার পর্যায়ে নিয়ে যাবেন! অনেকেই আছেন ভবিষ্যতে কী হবে না হবে ভেবে এতটাই অস্থির থাকেন যে বর্তমানের কাজটাও ঠিকমতো করতে পারেন না।
পাছে লোকে কিছু বলে :
কিছু মানুষের স্বভাবই থাকে অন্যদের নিয়ে কানকথা বলে বেড়ানো। এসব কথায় পাত্তা দিয়ে দুশ্চিন্তা করা মানে নিজের ক্ষতি নিজে ডেকে আনা। পরের কথাকে ভয় করলে আপনি নিজের কাজেই পিছিয়ে পড়বেন। নিজেকে প্রাধান্য দিন, নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন। অন্যদের কথায় কান তখনই দেবেন, যখন তা গঠনমূলক সমালোচনা হবে। পাছে লোকে কিছু বলে - এই কথা মাথায় রেখে নিজের আশা-আকাঙ্খাকে গলাটিপে হত্যা করবেন না। কারণ এসব মানুষ আপনাকে ঈর্ষা করে বলেই আপনার সম্পর্কে উল্টোপাল্টা কথা বলে। আপনার সমস্যা হলে বা আপনি বিপদে পড়লে এরা কেউই এগিয়ে আসবে না, আপনার নিজেরই নিজেকে সাহায্য করতে হবে। তাই অন্যের কটু কথায় কান না দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলুন।অন্যের সমস্যা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করা :
পরোপকার করা খুবই ভালো কাজ। অন্যদের ভালো-মন্দ নিয়ে ভাবাও মনুষ্যত্বের কাজ। তবে অন্যদের সমস্যা নিজের মনে করে দুশ্চিন্তা করা মোটেও ভালো কাজ নয়। এতে যেমন কোনো সমাধান হয় না, তেমন সময় নষ্ট হয় প্রচুর। আপনার পক্ষে যদি কাউকে সাহায্য করা সম্ভব হয়, তাহলে অবশ্যই করুন। তবে যদি না করতে পারেন তাহলে ব্যাপারটি নিয়ে শুধু শুধু দুশ্চিন্তা করবেন না। দুশ্চিন্তা করে কোনো সমস্যার সমাধান বের করা যায় না। এতে শুধু আপনার শারীরিক ও মানসিক ক্ষতিই হবে। আর যার সমস্যা তার নিজেরই যদি মাথাব্যথা না থাকে তাহলে ব্যাপারটি অনেকটা এমন হয়ে দাঁড়াবে - যার বিয়ে তার খবর নেই, পাড়াপড়শীর ঘুম নেই!
প্রেম-ভালোবাসা বিষয়ক দুশ্চিন্তা করা :
ভালোবাসার মানুষটিকে সারাজীবনের জন্য কাছে পাব? সে কি প্রতারণা করবে? আমাকে ভুলে যাবে না তো!- এ ধরণের ভাবনা মাথায় আসতেই পারে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে যদি অনবরত চিন্তা করতে থাকেন, তাহলে তা মানসিক অশান্তির জন্ম দেবে। এর প্রভাব আপনার সম্পর্কেও পড়তে পারে। সমস্যা সব সম্পর্কেই আসে। ছোটখাট ঝগড়া, মান-অভিমানে নিজের এবং ভালোবাসার মানুষটির ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলবেন না। এটা নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা না করে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করুন। অনেকের জীবনেই প্রেম আসে না। তাঁরা এ বিষয়টি নিয়েও দুশ্চিন্তা করেন। কেন কেউ আমাকে পছন্দ করছে না, আমি কি দেখতে খারাপ নাকি আমার মধ্যে কোনো সমস্যা রয়েছে - এসব চিন্তা করে অনর্থক সময় নষ্ট করবেন না। আপনি যেমনই হোন না কেন, কোন এক সময় আপনি আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর দেখা পাবেনই!
১ ঘণ্টা, ১৩ মিনিট আগে
১ ঘণ্টা, ১৪ মিনিট আগে
১ ঘণ্টা, ১৫ মিনিট আগে
১ ঘণ্টা, ১৮ মিনিট আগে
১ ঘণ্টা, ২১ মিনিট আগে
১৩ ঘণ্টা, ২৪ মিনিট আগে
১৩ ঘণ্টা, ২৫ মিনিট আগে
২১ ঘণ্টা, ৩১ মিনিট আগে
২৩ ঘণ্টা, ১৮ মিনিট আগে