ছবি সংগৃহীত

মাথার পেছনের দিকে ব্যথা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

সাবেরা খাতুন
লেখক
প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০১৬, ০৫:৪৬
আপডেট: ২৮ জুন ২০১৬, ০৫:৪৬

ফটো সোর্স : www.enkivillage.com

(প্রিয়.কম)- স্ট্রেস, ঘুমের সমস্যা, হরমোনের উঠানামা, ধুমপান, খাবার বাদ দেয়া, তীব্র গন্ধ, চুল বাঁধার ধরণ এবং অত্যধিক আলো মাথাব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। মাথা ব্যথা মারাত্মক কোন স্বাস্থ্যসমস্যার পূর্বলক্ষণও হতে পারে। মাথাব্যথা দেখা দিলে বেশিরভাগ মানুষই পেইনকিলার খেয়ে বা ঘুমিয়ে ব্যথা কমানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু মাথার পেছনের দিকের ব্যথাকে অবহেলা করা উচিৎ নয়, কেন তা জেনে নিই চলুন।

১। সারভিকোজেনিক হেডেক বা মাথার পেছনের দিকের ব্যথা সম্পর্কে ভুল করা হয় কারণ এর লক্ষণগুলো মাইগ্রেন, টেনশন হেডেক ও ক্লাস্টার হেডেকের লক্ষণের সাথে মিলে যায়। সারভিকোজেনিক হেডেক হয় মাথার মাসেল টেনশনের কারণে।

২। ঘাড়ে আঘাত পেলেও মাথার পেছনের দিকে ব্যথা হতে পারে। এই ধরণের ব্যথা মাথার একপাশে শুরু হয় এবং আস্তে আস্তে মাথার পেছনের দিকে কানের কাছাকাছি পর্যন্ত ছড়িয়ে পরে।

৩। অক্সিপিটাল নিউরালজিয়া একধরণের মাথাব্যথা যা মাথার পেছনের দিকে হয় এবং মাথার উপরের দিকেও ছড়িয়ে পরে।

৪। টেম্পোরাল আরটারাইটিস- ৫০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের হয়ে থাকে এই ধরণের মাথাব্যথা। মাথায় রক্ত সরবরাহকারী রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্থ হলে ও প্রদাহ হলে টেম্পোরাল আরটারাইটিস হয়। এ ধরণের মাথাব্যথায় মাথার একপাশে কম্পন হতে পারে এবং মাথার তালুতে ছড়িয়ে পরে ব্যথা। ঘাড়ের উপরের দিকে মেরুদন্ডের ধমনীর ব্যাবচ্ছেদ করা হলে এরকম ব্যথা হতে পারে।

৫। সাবআরকানয়েড হেমোরেজ হলে মস্তিস্কের পর্দার ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়।

মাথাব্যথা নিরাময়ের জন্য যা করতে পারেন :

-   আইস প্যাক ব্যবহার করুন

-   ঠান্ডা বা গরম জলে গোসল করুন

-   মাথায় ম্যাসাজ করলেও ব্যথা কমে

-   হালকা আলোতে বিশ্রাম নিন

-   খুব বেশি মাথা ব্যথার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া ও ফিজিওথেরাপি নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। মাথাব্যথার চিকিৎসা বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে যেমন- মাথাব্যথার ধরণ, কখন হয় এবং কী কারণে হয়? কারো কারো  চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না এমনিতেই ভালো হয়। যাদের চিকিৎসা শুরু করা প্রয়োজন তাদেরকে ঔষধ গ্রহণ, কাউন্সেলিং, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট এবং বায়োফিডব্যাক নিতে হয়। আপনার প্রয়োজনের উপর নির্ভর করেই ডাক্তার আপনার চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করবেন।

-   চিকিৎসা শুরু হওয়ার পর আপনার কিরকম উন্নতি হচ্ছে তা খেয়াল রাখতে হবে আপনাকে। এজন্য একটি ডায়েরিতে আপনার পরিবর্তনগুলো লিখে রাখুন। তাতে আপনার ডাক্তার আপনার চিকিৎসার পদ্ধতি নির্ণয় করতে পারবেন। ধৈর্য ধারণ করতে হবে আপনাকে।  

-   চিকিৎসার পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম এবং সঠিক খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে মাথাব্যথার সমস্যা থেকে মুক্ত হতে পারবেন আপনি।

লিখেছেন-

সাবেরা খাতুন

ফিচার রাইটার, প্রিয় লাইফ

প্রিয়.কম