মাত্র ৫ টি কথা বলেই ভালোবাসার পুরুষটির মুখে ফোটাতে পারেন মধুর হাসি

প্রিয় লাইফ
লেখক
প্রকাশিত: ৩০ মে ২০১৫, ১৭:৫১
আপডেট: ৩০ মে ২০১৫, ১৭:৫১

(প্রিয়.কম) ভালোবাসার প্রিয় মানুষটির মুখে হাসি দেখতে কার না ভালো লাগে বলুন। আমরা প্রত্যেকেই চাই যাদের আমরা অনেক বেশি ভালোবাসি তাদের মুখের হাসি যেনো কখনো মলিন না হয়ে যায়। আর এ কারণেই আমাদের প্রতিদিনের অনেক কিছু করা। কিন্তু পছন্দের মানুষটির মুখে হাসি ফোটানোর জন্য অনেক কঠিন কিছু করার প্রয়োজন নেই একেবারেই। আপনার মুখের কথাই যথেষ্ট। সত্যি বলতে কি, আমরা ভাবি অনেক কিছু করে সঙ্গীকে খুশি রাখা যায়। আসলে কিন্তু বিষয়টি তা নয়, বরং আপনার মধু মাখা কথা এবং তার যা পছন্দ সে হিসেবে প্রশংসা করলেই সঙ্গী থাকেন অনেক খুশী। নারীরা প্রশংসা শুনতে পছন্দ করেন, কিন্তু কখনো ভেবেছেন কি আপনার ভালোবাসার পুরুষটি নিজের সম্পর্কে প্রশংসা শুনতে চান কি না? পুরুষেরাও সঙ্গিনীর মুখে তাদের প্রশংসা শুনতে অনেক বেশি পছন্দ করেন। তাহলে নিজের ভালোবাসার পুরুষটির মুখে মধুর হাসি ফোটাতে তাকে বলুন এই ৫ টি বাক্য। তার মুখের হাসি নিঃসন্দেহে সবদুঃখ ভুলিয়ে দেবে।

১) ‘তুমি অনেক মজার মানুষ’

প্রায় বেশীরভাগ পুরুষ চান তার প্রেমিকা/স্ত্রী তার সাথে বন্ধুর মতোই থাকুক এবং সে কারণে পুরুষেরা অনেক সময়েই সঙ্গীর সাথে বন্ধুদের মতো মজার আচরণ করেন। আর এই আচরনের বিপরীতে তারা সঙ্গীর মুখে ‘তোমার সেন্স অফ হিউমার অনেক ভালো’ বাক্যটি শুনতে চান। এতে তিনি অনেক গর্বিত হন এবং খুশি হয়ে যান।

২) ‘তুমি অনেক বেশিই হ্যান্ডসাম’

পুরুষের মতো নারীরাও কিন্তু হ্যান্ডসাম পুরুষের দিকে আড়চোখে তাকান, কারণ সুন্দর মানুষ সকলের নজরে পড়বেই। বিষয়টি কিন্তু আপনার সঙ্গী ভালো করেই জানেন। এছাড়াও নারীরা যে প্রিন্স চার্মিং এর মতো রাজপুত্র পছন্দ করেন তাও তারা জানেন। যখন নিজের সঙ্গিনীর মুখ থেকে এই ধরণের প্রশংসাবাক্য শোনেন তখন পুরুষেরা অনেক বেশি খুশি হন।

৩) ‘তুমি রোমান্টিকতায় অনেক পারদর্শী’

পুরুষেরা যে নিজের সঙ্গিনীর প্রতি একেবারেই নজর দেন না বিষয়টি বেশ ভুল কথা। প্রায় প্রত্যেকটি পুরুষের মনে একই সুর বাজতে থাকে যেন তার সঙ্গিনী কখনো বলে না বসেন তুমি একেবারেই রোম্যান্টিক নও, তোমার সাথে সময় বোরিং কাটে’। আর যদি সঙ্গিনী এই কথাটি বলেন তাহলে দুশ্চিন্তা একেবারেই দূর হয়ে মুখে ফুটে উঠে মধুর হাসি।

৪) ‘আমি পৃথিবীর সবচাইতে সুখী নারী, কারণ তুমি আমার পাশে আছ’

প্রত্যেকটি পুরুষ চান তার সঙ্গিনী যেন তার সাথে সব সময় খুশি থাকেন এবং কখনোই না ভাবেন যে তিনি একেবারেই কাঠখোট্টা ধরণের মানুষ। আর তিনি তখনই সঙ্গিনীর খুশি সম্পর্কে আশ্বস্ত হন যখন সঙ্গিনী এই ধরণের কথা বলেন। তার খুশি হওয়ার জন্য এইটুকুই যথেষ্ট।

৫) ‘তুমি আমাকে সব সময় ভালো উপদেশ দিয়ে উদ্ধার করো, তুমি না থাকলে যে কি হতো’

নারীরা অনেকে কথাটি ন্যাকামি ভাবতে পারেন, কিন্তু পুরুষের মুখে হাসি ফোটাতে এই কথাটির জুড়ি নেই। কারণ প্রত্যেকটি পুরুষ চান তার সঙ্গিনী তার কাছে উপদেশ চান এবং তা কাজে লাগান। সুতরাং তার উপদেশ শুনে আপনি বিপদ থেকে উদ্ধার পেয়েছেন বিষয়টি ভাবতেই তার ভালো লাগে। সূত্রঃ bollywoodshaadis