
ছবি সংগৃহীত
পরিচ্ছন্ন বাথরুমেই রুচিশীলতা
আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৩, ১৬:৪৯
অন্যান্য ঘরের পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি বাথরুমের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা জরুরী। প্রতিদিন ব্যবহারের ফলে আপনার বাথরুম অপরিচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এতে যেমন ঘরের সৌন্দর্য নষ্ট হয়, তেমনি নানা রোগজীবাণুও সৃষ্টি হয়। বাথরুমের পরিচ্ছন্নতা যেমন সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে তেমনি তা বাড়ির লোকজনের রুচিরও প্রকাশ করে। আপনার বাড়ির বা ফ্ল্যাটের বাথরুম পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর রাখার ব্যাপার বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। বিষয়টি কোনভাবেই অবহেলা করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে অবহেলা বা অমনোযোগিতা আপনার সামাজিক-পারিবারিক সম্মান, মর্যাদা, অবস্থান, স্ট্যাটাস যাই বলুন না কেন সব কিছুর জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। বাড়িতে বাথরুমটি সুন্দর, রুচিশীল, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখার ব্যাপারে এখানে কিছু টিপস তুলে ধরা হলো। যার অনুসরণে আপনি অবশ্যই সুফল পেতে পারেন। - বাথরুমের দরজার কাছে ডোরম্যাট রাখতে ভুলবেন না। বাথরুম থেকে ভেজা পা নিয়ে বেরুলে পিছলে যাওয়ার দুর্ঘটনা থেকে এই ডোরম্যাট আপনাকে রক্ষা করবে। - ছোট শিশুদের বিশেষ করে পাঁচ বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের কখনও একা একা বাথরুমে যেতে দেবেন না। - বাথরুম পরিষ্কারে ব্যবহৃত লিকুইড টয়লেট ক্লিনার, টয়লেট ব্রাশ ইত্যাদি শিশুদের ধরতে দেবেন না। রেজার, ব্লেড, শেভিং ক্রিম ইত্যাদিও বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখুন। - নিয়মিতভাবে কমোড লিকুইড টয়লেট ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করা দরকার। কত নিয়মিত তা নির্ভর করছে বাথরুম কতজন ব্যবহার করছেন তার ওপর। যদি বাথরুমে বেশি লোকজন যান তাহলে লিকুইড ক্লিনার দিয়ে কমোড ঘন ঘন পরিষ্কার করতে হবে। - প্রতিদিন ব্যবহারের পর ধুয়ে-মুছে বাথরুম শুকনো করে নিন, অন্যান্য ঘর যেভাবে পরিষ্কার করেন। টয়লেটের শুধুমাত্র ভেতরে পরিষ্কার করলে চলবে না। তার বাইরের অংশও পরিষ্কার করে ধুয়ে রাখবেন। - বাথরুমের আয়নার পানি বা সাবানের ফেনার ছিটে পড়াটা স্বাভাবিক। আয়নার পানি বা সাবানের ছিটে পড়লে ঝাপসা, নোংরা দেখায়। অনেকে খবরের কাগজ ভিজিয়ে আয়না পরিষ্কার করেন। সেটা ভাল পদ্ধতি সন্দেহ নেই; তবে রুম ফ্রেশনার আয়নায় ছিটিয়ে কাপড় দিয়ে মুছে নিলে একই সঙ্গে দুটো কাজ হবে। - বাথরুমের টিউব বা ইলেক্ট্রিক বাল্ব খুলে পরিষ্কার করে তাতে কয়েক ফোঁটা পারফিউম লাগিয়ে দিন। বাথরুমে উজ্জ্বল আলো ছড়িয়ে পড়বে তো বটেই, সুগন্ধও ছড়াবে। বাথরুমের ভেতরে সাদা রং করা থাকলে অনেক পরিচ্ছন্ন দেখায়। - ফ্লোর থেকে অন্তত সাত ফুট উঁচু পর্যন্ত টাইলস বা পাথর থাকলে তা পরিষ্কার করা সহজ হয়। বাথরুম যদি আয়তনে ছোট হয় তাহলে হয়ত সম্ভব নয়, না হলে গোসলের জায়গাটা টয়লেট থেকে সামান্য দূরে করা হলে ভাল। তাতে টয়লেটে পানির ছিটে পড়বে না। - বাথরুমের ভেতরে দেয়ালের কোণে কিংবা বেসিনের নিচে জমে থাকা ঝুল সম্পর্কে অনেকে উদাসীন থাকেন। বাড়ির অন্যান্য ঘরে ঝুল পরিষ্কারে যতটা মনোযোগী বাথরুমের ভেতরে জমে ওঠা ঝুল পরিষ্কারে আপনাকে ততটা সিরিয়াস হওয়া উচিত। - বাথরুমের জানালায় কাঁচ থাকলে ভাল, বাইরে থেকে আলো ঢুকতে পারে। সে ক্ষেত্রে কাঁচ যাতে নিয়মিত পরিষ্কার হয় সেদিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে। - বাথরুমে যে তাকে সাবান, টুথপেস্ট, শেভিং ক্রিম, ব্রাশ ইত্যাদি রাখেন পরিষ্কারের সময় সে অংশটির কথা ভুলে যাবেন না। বেসিন বা বাথরুম পরিষ্কারের সময় সেটাও পরিষ্কার করবেন। - ফ্ল্যাশ ট্যাংকে বেশি পানি ভরে রাখবেন না। ফ্ল্যাশ করার সঙ্গে সঙ্গে ব্রাশ দিয়ে কমোড পরিষ্কার করবেন। ব্রাশ গোল করে ঘুরালে কমোড পরিষ্কার করতে সুবিধা হবে। আর ব্রাশ যতটা গভীরে নিয়ে যেতে পারেন ততই ভাল। কমোডের ভেতর ও বাইরের অংশে লিকুইড টয়লেট ক্লিনার ছিটিয়ে কিচুক্ষণ অপেক্ষা করে তারপর পানি ঢেলে পরিষ্কার করবেন। এ ক্ষেত্রে ১৫-৩০ মিনিট অপেক্ষা করা ভাল। - কমোডের লাল দাগ দূর করার জন্য কিছুটা লিকুইড টয়লেট ক্লিনার কমোডের প্যানে ফেলে সারা রাত রেখে দিন। তারপর সকালে উঠে ফ্ল্যাশ করলেই দেখবেন দাগ দূর হয়ে গেছে। - পরিষ্কার বাথরুমের পাশাপাশি জীবাণুমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে বাথরুমের প্যান বা কমোডের চারপাশে লিকুইড টয়লেট ক্লিনার ছিটিয়ে কিছুক্ষণ পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। - সাবানদানিতে সাবান জমতে জমতে একসময় সেগুলো শক্ত হয়ে যায়। সাবানদানি পানিতে ভিজিয়ে প্লাস্টিকের শক্ত মাজনি দিয়ে ঘষে নিন। - বাথরুমের পাইপ দিয়ে নানা ধরনের পোকামাকড় আসে। প্রতিদিন রাতে যে পাইপ দিয়ে পোকা আসে সেই পাইপের ভেতর ফুটন্ত গরম পানি ঢেলে দিন। - বাথরুমে কাঠের দরজা থাকলে পানিতে ভিজে দরজার নিচের কাঠের অংশটুকুতে পচন ধরে যায়। তাই দরজার নিচের দিকে তিন থেকে চার ফুট জায়গায় প্লাস্টিকের পাতলা শিট দিয়ে মুড়ে দিন। তাহলে দরজা আর নষ্ট হবে না। - বাথরুমের স্যাঁতসেঁতে ভাব দূর করতে ভেতরে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন। - বাথরুমকে দুর্গন্ধমুক্ত রাখতে চাইলে একটি ছোট কাচের বাটিতে সুগন্ধি ফুল রেখে তা বেসিনের এক কোনায় রেখে দিন।
- ট্যাগ:
- লাইফ