ছবি সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে স্ট্যান্ডার্ড এন্ড পুওর (S&P) এর শারিয়াহ ইনডেক্স চালু

মিরাজ রহমান
সাংবাদিক ও লেখক
প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০১৪, ০৬:৩৯
আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৪, ০৬:৩৯

বাংলাদেশে ইসলামী অর্থনীতি গবেষকদের জন্য তাজা খবর হলো, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে স্ট্যান্ডার্ড এন্ড পুওর (S&P) এর শারিয়াহ ইনডেক্স চালু হওয়া। ডিএসই -এর ওয়েবসাইটে ডিএসইএস সূচক নামে ইনডেক্সটা দেখা যাচ্ছে। আজ সোমবার ১০০০ পয়েন্ট নিয়ে চালু হওয়া ইনডেক্সটির প্রথম দিন নিম্নমুখী গিয়েছে। তবে ইনডেক্সটির তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর নাম ওয়েবে পাবলিকলি প্রকাশ করা হয় নি। বিভিন্ন সংবাদ পড়ে জানা যায়, তালিকাটি জানতে ডিএসইর কাছে ক্রেতা বা ব্রোকারেজ হাউজকে নির্দিষ্ট ফি দিতে হবে। তাহলে তাদের কাছে প্রকাশ করা হবে। এতে ইনডেক্সটির বিশেষত্ব কী থাকল, তা বোধগম্য নয়। S&P -র শারিয়াহ ইনডেক্স বাংলাদেশের পূর্বে বিশ্বের অনেক দেশের স্টক এক্সচেঞ্জেই চালু হয়েছে। এই ইনডেক্স করার ক্ষেত্রে সাধারণত এওফি (AAOIFI) -র শেয়ার সংশ্লিষ্ট শরীয়াহ স্ট্যান্ডার্ড মানা হয়ে থাকে। এছাড়াও তাদের নিজস্ব শরীয়াহ বোর্ড রয়েছে। এতে দুই স্তর বিশিষ্ট ফিল্টারিং করা হয়। প্রথমত, সেক্টরভিত্তিক ফিল্টারিং। এতে যেসব কোম্পানি মদ, জুয়া, শুকর, সুদভিত্তিক ব্যাংকিং বা বীমা, আবাসিক হোটেল, ক্লাব, মিউজিক, টিভি চ্যানেল বা মিডিয়া, বিজ্ঞাপণী সংস্থা ইত্যাদি ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে, তারা বাদ পড়ে যায়। দ্বিতীয়ত আর্থিক বিবরণীভিত্তিক ফিল্টারিং। এক্ষেত্রে এওফির স্ট্যান্ডার্ড হলো, যাদের মূল ব্যবসা হালাল, তবে সুদী ব্যাংকের ঋণ আছে, বা সুদী ব্যাংকে ডিপোজিট আছে, বা হারাম সম্পদের মিশ্রণ আছে, সেখানে লক্ষণীয়: > সুদী ব্যাংকের ঋণ ৩০% এর কম হতে হবে। > সুদী ব্যাংকে ডিপোজিট/ বিনিয়োগ ৩০% এর কম হতে হবে। > হারাম সম্পদ ৫% এর কম হতে হবে। উল্লেখ্য, এর অর্থ এই নয় যে, এ পরিমাণ হারাম হালাল হবে। বরং, হারাম সবসময়ই হারাম। একই সঙ্গে, সেকেন্ডারি মার্কেটে ক্রয়-বিক্রয় করার জন্য ৩০% বা এর বেশি ফিক্সড এ্যাসেট, প্রোডাক্ট ও সার্ভিস থাকতে হবে। ৩০% এর কম থাকলে এগুলো ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সমমূল্যের বিনিময়ে লেনদেন করা অপরিহার্য হবে। অর্থাৎ, ১০ টাকা ফেইস ভ্যালুর শেয়ার দশ টাকাতেই কিনতে হবে। কম বা বেশি হলে সুদ হবে। এওফির স্ট্যান্ডার্ড অনুসারে হারাম সম্পদ মিশ্রিত হালাল ব্যবসার কোম্পানির শেয়ারের ক্ষেত্রে প্রতি ফাইন্যান্সিয়াল পিরিয়ডের পর শেয়ার পিউরিফিকেশন করতে হবে। অর্থাৎ, কোম্পানির যত পার্সেন্ট সুদী ঋণ, সুদী বিনিয়োগ আর হারাম সম্পদ থাকবে, শেয়ারের বাজার মূল্যের তত পার্সেন্ট সওয়াবের নিয়ত ছাড়া সদকা করে দিতে হবে; যেভাবে অনিচ্ছাকৃত চলে আসা সুদের টাকা সদকা করতে হয়। S&P -এর ইনডেক্সে সাধারণ DP Ratio বা ডিভিডেন্ড পিউরিফিকেশন রেশিও থাকে। যা হিসাব করার উপায় হলো: মোট হারাম রেভেন্যু/মোট রেভেন্যু। DP ratio যদিও ০.১ হয়, এর অর্থ ডিভিডেন্ডের ১০% সদকা করে দিতে হবে। শরীয়াহ ইনডেক্সের জন্য S&P সাধারণত মাসে দুই বার শরীয়াহ রিভিউ করে থাকে। এতে কোম্পানীর সর্বশেষ আর্থিক বিবরণী, নিরীক্ষণকৃত বা নিরীক্ষণকৃত নয়, এবং সরাসরি কোম্পানীর খোঁজ নেয়া হয়ে থাকে। উল্লেখ্য, এওফির স্ট্যান্ডার্ড অনুসারে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের সময় সুদী ঋণের আশ্রয় নেয়া যাবে না। অনুরূপভাবে, মালিকানা ছাড়া বিক্রয় করা যাবে না। বা ভবিষ্যতে বিক্রয়ের চুক্তি করা যাবে না। এক্ষেত্রে ইসলামের ক্রয়-বিক্রয়ের যাবতীয় নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। প্রকৃত মালিকানা ও অধিগ্রহণ (রেজিস্ট্রেশন) এর পরই কেবল বিক্রয় করা যাবে। একইভাবে, কোনো অগ্রাধিকার শেয়ার, যেখানে নির্দিষ্ট এমাউন্ট লভ্যাংশ প্রদান করা হয়, বা লভ্যাংশ রিজার্ভ রাখা হয়, বা সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের দেয়ার পূর্বে তাদেরকে লভ্যাংশের নির্দিষ্ট এমাউন্ট দেয়া হয়, বা কোম্পানি সমাপ্তি ঘোষণাকালে সম্পদ প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার দেয়া হয় -এ রকম অগ্রাধিকার শেয়ার ক্রয় করা যাবে না। অধিকাংশ অগ্রাধিকার শেয়ারের বৈশিষ্ট্যসমূহ ইসলামের বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। তাই সাধারণ শেয়ার ক্রয় করতে হবে। শরীয়াহ সূচক চালুর সংবাদ: http://www.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDFfMjBfMTRfMV8zMV8xXzEwMjQ5Mw%3D%3D ডিএসইর ওয়েবে শরীয়াহ সূচক (ডিএসইএস ও DSEX Shariah Index): http://bangla.dsebd.org/index.php এওফির স্ট্যান্ডার্ড: http://yousufsultan.com/aaoifi-shariah-standards-2010-english-arabic-versions/ S&P -এর শারিয়াহ স্ক্রিনিং মেথডলজি: http://us.spindices.com/documents/additional-material/faq-shariah-indices-methodology.pdf আলোচনা করছেনে : মুফতি ইউসুফ সুলতান নায়েবে মুফতি, ইফতা বিভাগ, জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগ আলোচ্য প্রবন্ধ সংশ্লিষ্ট একটি কথোপকথন যুবায়ের : শেয়ার বাজারের শেয়ার কেনা-বেচার ব্যাপারে মুফতী তাকি উসমানী সাহেব দাঃবাঃ চারটি শর্ত দিলেও মারযুদ্দাওয়াহ থেকে নাজায়েযের ফতওয়া দেয়া হয়। সেক্ষেত্রে উল্লেখিত কোম্পানীর শেয়ার বেচা-কেনার হুকুম কি হবে? মুফতি ইউসুফ সুলতান : উভয় ফাতওয়াই নিজ নিজ জায়গায় ঠিক আছে। মুফতী তাকী উসমানী হাফিজাহুল্লাহর ফাতওয়া عام। আর মারকাযের ফাতওয়া আমাদের দেশের বেলায় خاص। নানা কারণেই আমাদের দেশে সম্পূর্ণ শরীয়াহ মোতাবেক স্টক ব্যবসা সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষেত্রে শরীয়াহ ইনডেক্স অবশ্যই একটি পজিটিভ দিক হবে বলে আশা করা যায়। শরীয়াহ ইনডেক্সে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অন্যতম শর্ত হলো, কোম্পানীর নিজস্ব শরীয়াহ বোর্ড থাকা, সকল কার্যক্রমে শরীয়াহ পরিপালনে সচেষ্ট হওয়া। সে হিসেবে আশা করা যায় ইসলামী অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ উলামায়ে কিরামের চাহিদা বাড়বে। শরীয়াহ সচেতনতা বাড়বে। আল্টিমেটলি শরীয়াহ ইম্পলেমেন্টেশনের হার বাড়বে ইনশা'আল্লাহ। রফিক : এওফির নিয়মনীতিতে কি বাংলাদেশে শেয়ার কেনাবেচা হবে, নাকি শুধু লেবেল লাগিয়েই শেষ? ক্রয় বিক্রয় আগের মতোই!!! মুফতি ইউসুফ সুলতান : ওই নীতিমালা অনুসারে যারা যোগ্য হবে, তারা এই ইনডেক্সে স্থান পাবে। যেমনটা পোস্টে বলা হয়েছে, এখানে প্রথমত সেক্টরভিত্তিক ফিল্টারিং আসবে। এটা তো সহজ। এরপর আর্থিক বিবরণীভিত্তিক। এখানে আমানতের বিষয় আছে। সাধারণত প্রতিটি কোম্পানী ত্রৈমাসিক, ষান্মাসিক বা বাৎসরিক তাদের আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করে। এতে তাদের কোথায় কী বিনিয়োগ আছে, দায় কোথায় কী পরিমাণ আছে তা উল্লেখ থাকে। বাৎসরিকটা সাধারণত অডিট বা নিরীক্ষণকৃত হয়, অন্যগুলো অডিট ছাড়া। তো, তারা এই বিবরণীকে মূল ধরবে। এছাড়া কোম্পানীর সাথে যোগাযোগ তো আছেই। কিন্তু এসব বিষয়ে কোম্পানী ও S&P ছাড়া তৃতীয় পক্ষের গবেষণার সুযোগ আছে। তালিকাভুক্তি কোম্পানীগুলোর বিবরণী ও কার্যক্রমে মিল আছে কিনা তা আপনাদের মতো তরুণরা বের করে নিয়ে আসতে পারেন। মোটকথা কাজের ক্ষেত্র তৈরী হলো, কাজে নামতে হবে। সালেহিন মিসবাহ : কাজে নামতে হবে এটাই বড় কথা। পাশাপাশি বিষয়গুলো ক্লিয়ার করার জন্য সেমিনার আয়োজন করতে হবে। ডিএসই শুধু ব্যবসা দেখবে কিন্তু মোরাল বিষয়গুলো দেখবে না। আরেকটি বিষয় হল ইনডেক্সে অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোর নাম প্রকাশ না করে ডিএসই কি সুবিধা হাসিল করতে চায় তাও সে পরিস্কার করেনি। এতে মূলত ছোট বিনিয়োগকারী যারা শরিয়াহ মেনে বিনিয়োগ করতে চায় তারাই বিভ্রান্ত হবে...।। মুফতি ইউসুফ সুলতান : সেটাই, মোরাল বিষয়গুলো দেখার কাজ ডিএসইর বা S&P-র না। আর নাম প্রকাশ না করলে ইনডেক্সের বিশেষত্ব কীভাবে বাকী থাকে বুঝতে পারছি না। সালেহিন মিসবাহ : ডিএসই নামগুলো ব্রকারেজ ও মার্চেন্ট ব্যাঙ্কের কাছে বিক্রি করতে চায় কিছু ফি এর বিনিময়ে। ডিএসই সর্বসম্মুখে নামগুলো প্রকাশ না করার ক্ষেত্রে একে প্রাইস সেনসিটিভ ইস্যু হিসেবে দেখাতে চাইছে। এতে স্টকগুলোর প্রতি বাই প্রেসার বেড়ে যেতে পারে যদিও একে খুব একটা যৌক্তিক বলা যায় না। আজ হোক কিংবা কাল হোক প্রকাশ হবেই। আবদুল্লাহ আল-মাছুম : তবে ফিল্টারিং কতটুকু হবে তা দেখার বিষয়। টিভি চ্যানেল কিন্তু বাদ যায় নি। এরপরেও এটি একটি প্রশংসাযোগ্য আগ্রসর। মুফতি ইউসুফ সুলতান : টিভি চ্যানেল AAOIFI -র হিসেবে সম্পূর্ণ বাদ। তবে S&P নিউজ (সম্পূর্ণ নিজউ) ও স্পোর্টস (শুধু স্পোর্টস) চ্যানেলকে অন্তর্ভুক্ত করে। আপাতত বাংলাদেশের ইন্ডেক্সে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া রাখা হয় নি বলে জানা যায়। তাছাড়া এই ইন্ডেক্সে আসতে শরীয়াহ বিভাগ থাকতে হবে, শরীয়াহ পরিপালনের ঘোষণা থাকতে হবে। সে হিসেবে আমাদের দেশের টিভি চ্যানেলগুলো এমনিতেই বাদ পড়ে যাবে। আপাতত সম্ভবত শুধু ইসলামী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঠাঁই পেয়েছে। আবদুল্লাহ আল-মাছুম : এছাড়া টিভি চ্যানেল, সংবাদপত্র এবং খেলাধুলার চ্যানেল কোম্পানি এ সূচকে অন্তর্ভুক্ত হবে। ইত্তেফাক এর এই সংবাদের তাহলে কী অর্থ? সালেহিন মিসবাহ : মোট ৭৭টি কোম্পানি স্থান পাওয়ার কথা শুনেছি। দুএকদিনের ভেতরে কনফার্ম করতে পারব। ব্যাঙ্ক, ফাইনান্স এর সাথে প্রডাকশনের সাথে সম্পর্কিত কোম্পানিগুলোও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তবে আমার ব্যক্তিগত মতে উৎপাদন সম্পর্কিত কোম্পানিগুলো সবচেয়ে বেশি অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত। আবদুল্লাহ আল-মাছুম : আমার ব্যক্তিগত মতে উৎপাদন সম্পর্কিত কোম্পানিগুলো সবচেয়ে বেশি অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত।‘‘ এতে শরীয়াহ পরিপালন সহজ হবে। সালেহিন মিসবাহ : ইত্তেফাক S&P এর রুলস থেকে এই কথা বলেছে। বর্তমান ডিএসইতে কোন সংবাদপত্র কিংবা চ্যানেল নাই। ও চান্সও খুব কম। কারন এর জন্য মিনিমাম ৩ বছর প্রফিট দেখাতে হবে। যা তারা কখনই দেখাতে পারবে না কিংবা দেখাবে না। সালমান সাহেব ইন্ডিপেনডেন্ট নিয়ে হয়তো একটা চমক দেখাতেও পারেন তবে তা অতি শীঘ্রই কিছু হচ্ছে বলে মনে হয় না। মুফতি ইউসুফ সুলতান : ইত্তেফাকের রিপোর্টটাতে অস্পষ্টতা মনে হচ্ছে। টিভি চ্যানেল ইসলামিক ছাড়া শুধু নিউজ আর স্পোর্টসকে S&P অন্তর্ভুক্ত করে। এটা S&P-র ডকুমেন্টেশনের বিস্তারিত আছে। আর হ্যাঁ, উৎপাদনশীল কোম্পানীগুলোতে শরীয়াহ পরিপালন সহজ হবে। সালেহিন মিসবাহ : কিন্তু শারিয়াহ পরিপালনের ঘোষণা যে বোর্ড দিবে সেই শারিয়াহ বোর্ড কার তত্ত্বাবধানে তৈরি হবে এটা এখনো জানিনা। বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক না বিএসইসি নাকি ডিএসইসি? এই শারিয়াহ বোর্ডের কাজের পরিধিও বুঝার প্রয়োজন আছে কারন বর্তমান সময়ে উৎপাদনে নেই এমন অনেক কোম্পানি ডিএসইতে রয়েছে, তাই এদের স্থান কিছুতেই এই ইনডেক্স এ হতে পারেনা। এছাড়াও অনেক কোম্পানির নিজেদের মুনাফা প্রকাশের বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে...।। মুফতি ইউসুফ সুলতান : বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি বা ডিএসইসি কারোই শরীয়াহ বোর্ড নেই। এখানে ইন্ডিপেন্ডেন্ট শরীয়াহ বোর্ডের কথা বলা হচ্ছে। সালেহিন মিসবাহ : কিন্তু শারিয়াহ বোর্ড ব্যতিত ডিএসই ইচ্ছেমত যেকোন শেয়ার এই ইনডেক্স এ অন্তর্ভুক্ত কিংবা বাতিল করতে পারবে না এবং তা গ্রহণযোগ্যও হবে না। এই বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ মতামত দিতে পারবেন যিনি বাংলাদেশে প্রথম শারিয়াহ ইনডেক্স এর প্রবর্তন করেছেন। আল্যায়ন্স ক্যাপিটাল আসেট ম্যানেজম্যান্ত এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব ওয়ালি-উল-মারুফ মতিন। আমি তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করব আশা করছি...।। http://bd.linkedin.com/pub/wali-ul-maroof-matin/19/723/876 মুফতি ইউসুফ সুলতান : তিনি শারিয়াহ ইনডেক্স প্রবর্তন করেন নি। মেথডলজি S&P-রই। ওনার সাথে বার দুয়েক কথাবার্তা হয়েছে। প্রথমবার হোটেল সোনারগাঁয়, IFN Roadshow তে, গত বছরের শুরুর দিকে। মূলত তখনই ওনারা মিউচুয়াল ফান্ডটা শুরু করেন। দ্বিতীয়বার লিঙ্কডইনে লম্বা আলোচনা হয়েছিল। - শরীয়াহর ব্যাপারে আপনি যা বললেন, তা হলে তো সবচেয়ে ভালো। শুধু স্টকের জন্য নয়, ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্যও একটি কেন্দ্রীয় শরীয়াহ বোর্ড থাকা অপরিহার্য। মালয়েশিয়া, পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশে আছে। বাংলাদেশে সেন্ট্রাল শরীয়াহ বোর্ড যেটা আছে, সেটা মূলত সরকারী পর্যায়ের না। অনেকটা ক্ষমতাহীন ক্ষমতাশীল এই প্রতিষ্ঠান। যাহোক, তারপরও তাদের উদ্যোগে অনেক কিছু হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে শরীয়াহ বোর্ড নেই, খুব কাছাকাছি সময়ে হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। আরো ওপরে গিয়ে, আমাদের তো ইসলামী ব্যাংকিং আইনই নেই। যা আছে, তা হলো ব্যাংকিং কোম্পানী আইন ১৯৯১ -এ কিছু এ্যামেন্ডমেন্ট, বলতে পারি নাম-কা-ওয়াস্তে। আর আছে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি গাইডলাইন -২০০৯। যাহোক, তবু আশা নিয়ে বাঁচতে হয়। যে যেই জায়গায় আছি, সেই জায়গা থেকে সব সময় সাধ্যমতো কাজ করে যেতে হবে। আরেকটা ব্যাপার। ডিএসই তো লিস্টে কিছু ঢুকাবে না, ঢুকাবে S&P। তাদের শরীয়াহ বোর্ড আছে। নোট : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে স্ট্যান্ডার্ড এন্ড পুওর (S&P) এর শারিয়াহ ইনডেক্স চালু বিষয়ে পরবর্তীতে ইসলামি দৃষ্টিভিত্তিক বিস্তারিত আলোচনা আসছে ইসলাম.প্রিয়.কম -এ গ্রন্থনা : মাওলানা মিরাজ রহমান