
ছবি সংগৃহীত
ক্যালরি বনাম পুষ্টি - আপনি কার পক্ষ নেবেন?
আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৫, ০৬:৫৬
(প্রিয়.কম) আপনি কি প্রচণ্ড রকমের ক্যালরি কনশাস? খেতে বসে প্লেটের দিকে তাকিয়ে হিসেব কষতে থাকেন যে কত ক্যালরি আপনার শরীরে প্রবেশ করছে এবং ফলস্বরূপ কতটা মোটা হবেন আপনি। এসব ভাবনার কারণে হয়তো অনেক খাবারই আপনার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে ফেলেছেন। যেমন কড়াইশুঁটি, আলু, মিষ্টি আলু, বিট, আম, ভাত, সফেদা ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব খাবার পুরোপুরি বর্জন করে কঠোর ডায়েট সম্পন্ন জীবন কাটাতে আপনার হয়তো তেমন সমস্যাই হচ্ছ না, কিন্তু এই ক্যালরি কনশাসনেসের ফাঁকে পুষ্টির কথা মনে আছে তো? উদাহরণ হিসেবে কড়াইশুঁটির কথাই বলা যাক। কড়াইশুঁটি উচ্চমাত্রার ক্যালরি সম্পন্ন সবজি বলেই গণ্য। কিন্তু ক্যালরির পাশাপাশি এতে যে ভিটামিন বি১, বি২, এ, সি, কে রয়েছে তা কি জানেন? এছাড়াও রয়েছে ক্যালসিয়াম, জিংক, সোলেনিয়াম, পটাশিয়াম, ফাইবার এবং প্রাকৃতিক চিনি। এতটা পুষ্টিগুণ কি শুধু ক্যালরির কারণে বাদ দেবেন? নিশ্চয় না! ক্যালরি এড়াতে গিয়ে পুষ্টিমূল্যের সাথে সমঝোতা করা কখনোই উচিত নয়। যেসব খাবার প্রাকৃতিকভাবে উত্পন্ন হয় তাতে ক্যালরি থাকলেও কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, প্রোটিন থাকে যা ভিটামিন ও মিনারেলকে শরীরের কাজে লাগাতে সাহায্য করে। স্বাভাবিক সুস্থতা এবং ভালো থাকার জন্য যেটুকু পুষ্টি শরীরের জন্য প্রয়োজন তা লুকিয়ে থাকে এই ক্যালরির মধ্যেই। সেজন্য ফল বা সবজি যতটা সম্ভব না কেটে খান। কারণ একবার ফল বা সবজি কেটে বা থেঁতো করে ফেললে তার পুষ্টিগুণ অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। তাই যখনই ফল বা সবজি দিয়ে আপনি আচার, জ্যাম, বিস্কুট, পেস্ট্রি, ফ্রুট কেক, জুস বা চিপস বানিয়ে ফেলছেন, তখনই সেই ফল থেকে পুষ্টি বিয়োগ করে বাড়তি ক্যালরি যোগ করে ফেলছেন। ফলে স্বাদ যোগ হলেও বিশেষ কোনো লাভ হচ্ছে না। সুস্বাস্থ্যের সাথে সাথে ক্যালরি দৈনন্দিন কাজকর্মে প্রয়োজনীয় এনার্জিও যোগান দেয় যা ছাড়া আমরা পুরোপুরি অচল। ওজন কমানোর জন্য ডায়েটিং করে যদি মনে হতে থাকে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় কর্মক্ষমতা পাচ্ছেন না, সেক্ষেত্রে বুঝতে হবে শরীরে পুষ্টির অভাব দেখা দিচ্ছে।
ডায়েট টিপস
১) ডায়েটিংয়ের জন্য অনেকেই সকালে লো ফ্যাট দুধ দিয়ে সিরিয়াল খেয়ে থাকেন। কিন্তু মনে রাখা জরুরি যে, সিরিয়ালে ক্ষতিকার প্রিজারভেটিভস থাকে এবং লো ফ্যাট দুধ থেকে আপনি তার প্রধান পুষ্টিটাই বাদ দিয়ে দিচ্ছেন। ২) ফল সব সময় গোটা খাওয়ার চেষ্টা করুন। ফলের রস আর রঙিন পানির মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। কারণ ফল কেটে রাখলেই চারপাশের তাপ সেই ফলের পুষ্টিগুণ টেনে নেয়। ৩) অতিরিক্ত ফাইবারযুক্ত আটার রুটি শরীরে ক্যালসিয়াম এবং আয়রন শোষণে বাধা দেয়। ফলে শরীর অজান্তে আরো পুষ্টি হারায়। পরামর্শ দিয়েছেন - রুজুতা দিওয়েকর কনসালটেন্ট ডায়েটিশিয়ান সৌজন্যে: সানন্দা- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- লাইফ
- জীবন চর্চা
- ক্যালরি
- পুষ্টি