ছবি সংগৃহীত

এলিয়েন আগমনের বিতর্কিত প্রমাণ, দেখুন ছবিতে! (২য় পর্ব)

জুলকারনাইন মেহেদী
লেখক
প্রকাশিত: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ১৭:১৮
আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ১৭:১৮

বর্তমান যুগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ। প্রতিদিনই বিজ্ঞান যেভাবে এগিয়ে চলেছে সেরকম ইতিহাসে আর কখনোই হয় নি। কিন্তু তারপরও এই পৃথিবীর বুকেই এরকম অনেক জিনিস বা ঘটনা আছে যেগুলোর কোন যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীদের কাছে নেই। সেরকমই কিছু যুক্তির বাইরের জিনিস নিয়ে প্রিয়.কম এর আয়োজন ‘অদ্ভুত কিন্তু সত্য’। আজকের আয়োজনে তুলে ধরা হলো এমন কিছু নিদর্শনের কথা, যেগুলো নিশ্চিতভাবেই প্রমাণ দেয় প্রাচীন পৃথিবীতে ভিনগ্রহবাসী প্রাণীদের আগমনের। তালিকায় আছে প্রাচীন রকেট হতে শুরু করে প্রাচীন মহাকাশচারী মূর্তি, এমনকি এলিয়েনের মমি পর্যন্ত! পৃথিবী জুড়ে বিজ্ঞানীদের বড় একটা অংশ প্রতিনিয়ত মাথা ঘামিয়ে যাচ্ছেন এসব নিয়ে। এখনও পর্যন্ত আবিষ্কার করতে পারেন নি গ্রহণযোগ্য কোনো ব্যাখ্যা। সব কিছু একটি দিকেই নির্দেশ করে- এলিয়েনরা এসেছিল, প্রাচীন মানুষদের সাথে অত্যন্ত ভালো যোগাযোগ ছিল তাদের! এখন সত্য মিথ্যা নির্ণয়ের ভার রইলো পাঠকের হাতে। (১)প্রাচীন বিশালাকার কঙ্কাল- দেবতা, মানুষ কিংবা এলিয়েন? ১৯১২ সালের মে মাসে উইসকনসিনে এক বিশাল আকৃতির কঙ্কাল পাওয়া যায়। সে সময় জানা তথ্যমতে এত বিশাল আকৃতির কঙ্কাল কোনো মানুষের হতে পারে না। এটার উচ্চতা ছিল প্রায় ১০ ফুটের কাছাকাছি। মাথার খুলির আকৃতি ছিল অস্বাভাবিকভাবে বড়। আরো অদ্ভুত ব্যাপার, এটার হাত ও পায়ে ছিল ৬ টি করে আঙ্গুল! পুরো পৃথিবী জুড়ে বিভিন্ন সময়ে এরকম প্রায় ১৮ টি বিশাল কঙ্কাল আবিষ্কৃত হয়েছে, যেগুলো বিজ্ঞানী মহলে তৈরি করেছে বিতর্ক ও কৌতূহল। (২)গুয়েতেমালার পাথরের মাথা

১৯৩০ সালে একদল অভিযাত্রী গুয়েতেমালার এক জঙ্গলে বিশাল আকৃতির এই মাথার মত আকৃতির ভাস্কর্যের সন্ধান পান। বেলেপাথরে তৈরি এই অদ্ভুত জিনিসটির সাথে মায়া সভ্যতা কিংবা সে অঞ্চলে বসবাসকারী কোন জনগোষ্ঠীর মানুষের সাথেই মিল ছিল না কিংবা এর উল্লেখ ইতিহাসের কোন বইতেও পাওয়া যায় নি এর আগে। গবেষকদের দাবি, এটা এমন কোন প্রাচীন সভ্যতার তৈরি যেটা কিনা প্রাক-স্পেনীয় যুগের অন্য যেকোনো সভ্যতার চেয়ে অনেক বেশি অগ্রসর ছিল। (৩)রহস্যময় গোলক
১৯৭৪ সালের ২৬ মে ২১ বছর বয়সী টেরি ম্যাথু বেটজ, তার মা গেরি ও বাবা এন্টোনি তাদের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি বনে ঘুরতে যান। বনটির প্রায় ৮৮ একরের মত জায়গা আগুন লেগে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে ফিরে আসার সময় তারা ৮ ইঞ্চি ব্যাসের একটি সম্পূর্ণ গোলাকার ও মসৃণ বস্তু খুঁজে পান। এটার গায়ে বেশ লম্বা ত্রিভুজাকৃতি নকশা আঁকা ছিল। কিছু না ভেবেই তারা সেটাকে বাড়ি নিয়ে গেলেন। ২ সপ্তাহ পরে একদিন টেরি এই গোলকটির পাশে বসে গিটার বাজাচ্ছিল। কিছুক্ষণের জন্য বাজনা থামালে খানিক বিরতি দিয়ে গোলকটিতে ঠিক একই গিটার সুর অনুরণিত হতে শুরু করলো। শুধু তাই নয়, তাদের বাড়ির কুকুরটি উচ্চস্বরে চিৎকার করতে শুরু করলো। এছাড়া গোলকটিকে মাটিতে ছেড়ে দিলে কিছুদূর গিয়ে এটা নিজ থেকেই থেমে যায়। আবার ফিরে আসে যিনি এটাকে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তারই কাছে! কেউ যেন গোলকটিকে নিয়ন্ত্রণ করছিল কিংবা এটা যেন নিজেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস ও লন্ডন ডেইলির প্রতিবেদকরা ছুটে আসেন প্রতিবেদন তৈরির জন্য। বিজ্ঞানীমহলও আগ্রহী হয়ে উঠেন। গোলকটি দিয়ে অনেক রকমের তত্ত্ব দেয়া হয়, কিন্তু এখনো এটা রহস্যেই ঘেরা। (৪)উবাইদের টিকটিকিমানব
ইরাকের আল-উবাইদ নামের প্রাচীন জায়গাটি প্রত্নতাত্ত্বিক ও ইতিহাসবিদ সবার কাছেই বেশ গুরত্বপূর্ণ। এখানে সুমেরীয় সভ্যতারও আগের অনেক নিদর্শন পাওয়া যায়। এ সময়কালকে উবায়েদ যুগ নামেও বর্ণনা করা হয় যার সময়কাল হচ্ছে খ্রিস্টপূর্ব ৫৯০০-৪০০০ সাল। ছবিতে দেখানো এই টিকটিকি ও মানুষ আকৃতির মাঝামাঝি ধরণের প্রাচীন নিদর্শনগুলো ইরাকেই পাওয়া যায়। এগুলো আসলে কি ছিল? কোন প্রাচীন দেবমূর্তি? নাকি এলিয়েন? (৫)রাশিয়ার ভিন্ন গ্রহের যানের যন্ত্রাংশ!
রাশিয়ার ভ্লাদিভোস্টকে একজন ব্যক্তি ছবিতে দেখানো এ অদ্ভুত জিনিসটি খুঁজে পান। বেশ অদ্ভুত হবার কারণে এটা তিনি কিছু গবেষকের কাছে জমা দেন। এর বয়স হিসেব করে দেখা গেল এটা প্রায় ৩০০ মিলিয়ন বছর আগের! কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এত ব্যবহৃত এলুমিনিয়াম খুবই বিশুদ্ধ। কিন্তু এলুমিনিয়াম বিশুদ্ধ করার পদ্ধতি ১৮২৫ সালের আগে কেউ জানতো না! তবে কি এটা ভিন্ন গ্রহের যানের কোন অংশবিশেষ, যেটা অনেক প্রাচীনকালে পৃথিবীতে অবতরণ করেছিল? (৬)অতিপ্রাচীনকালের বিমান!
পেরুর ইনকা সভ্যতা ও বেশকিছু প্রাক-কলম্বিয়ান সভ্যতার মানুষজন বর্তমান পৃথিবীর মানুষের জন্য কিছু অদ্ভুত ধরণের মাদুলি বা কবজ আকৃতির জিনিস রেখে গিয়েছে। সোনালি রঙের এ জিনিসগুলো দেখতে একদম আধুনিক যুগের উড়োজাহাজের মতো। প্রথম যখন এগুলো পাওয়া যায়, তখন এদেরকে দেখতে জুমর্ফিক বা প্রাণীদের সাথে সাদৃশ্যমন্ডিত মনে হত। কিন্তু কিছুদিন পর একদল গবেষক দাবি করেন, এ প্রাচীন নিদর্শনগুলো দেখতে অনেকটা আধুনিক যুগের যুদ্ধবিমানের মতো, কারণ এগুলোতে যুদ্ধবিমানের মতোই পাখা, ল্যান্ডিং গিয়ার ও ভারসাম্য রক্ষার জন্য টেইল বা লেজের নকশা পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে! এর থেকে দাবি করা হয়, ইনকাদের কাছে বিমান তৈরির প্রযুক্তি জানা ছিল কিংবা তাদের কাছে ভিন্ন গ্রহ থেকে উচ্চ প্রযুক্তিগত জ্ঞানসম্পন্ন কোন জীবের আগমন ঘটেছিল। যদিও বেশিরভাগ বিজ্ঞানীই এ সম্পর্কে এখনোই কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হতে চান নি। সূত্রঃ http://listverse.com/2013/08/15/10-mysterious-artifacts-that-are-allegedly-alien/ http://beforeitsnews.com/conspiracy-theories/2011/08/the-story-of-the-anunnaki-people-1000770.html