ছবি সংগৃহীত

ঈদে অঞ্জনসের ফ্যাশন অনুষঙ্গ

Dipanbita
লেখক
প্রকাশিত: ০৮ জুলাই ২০১৫, ০৬:২০
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৫, ০৬:২০

ছবি: রাজীন চৌধুরী মডেল : প্রাচী রহমান ও শারমিন নিপু মেকআপ : মিউনিস ব্রাইডাল পোশাক : অঞ্জনস ( প্রিয়.কম) দৈনন্দিন ব্যবহার কিংবা বিশেষ দিন, পহেলা বৈশাখ হোক আর বাঙালির যেকোন উৎসব, নিজের ব্যবহারের জন্য অথবা প্রিয় মানুষের জন্য প্রিয় উপহার- সবকিছুতেই জড়িয়ে গেছে অঞ্জনসের নাম। আর ফ্যাশন সচেতন কিশোর-কিশোরী থেকে শ্রদ্ধাভাজন গুরুজনের ঈদ অনুসঙ্গ হিসেবে জড়িয়ে আছে নামটি।

১৯৯৪ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারী সিদ্ধেশ্বরী থেকে যাত্রা শুরু করে অঞ্জনস। বর্তমানে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী, মালিবাগ, বেইলী রোড, ওয়ারী, বসুন্ধরা সিটি, সোবহানবাগ, ধানমন্ডি অর্চার্ড পয়েন্ট, মিরপুর, বনানী, গুলশান, উত্তরা ও যমুনা ফিউচার পার্কে রয়েছে শোরুম। রাজধানী ছাড়াও চট্টগ্রামের প্রবর্তক মোড় এবং নরসিংদীসহ মোট ১৫টি শোরুম রয়েছে সারা দেশে।
প্রতিবারের মতো এবারও অঞ্জনস ক্রেতাদের জন্য নিয়ে এসেছে ভিন্নধর্মী ঈদ কালেকশন। পোশাকে প্রধাণ্য পেয়েছে রঙ, ডিজাইন, কাটিং। দেশীয় তাঁতের কাপড় নিয়ে বরাবরই বেশি কাজ করে অঞ্জনস। এবারও ব্যতিক্রম নয়। নরসিংদী, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর তাঁতের কটন, সিল্ক, এন্ডি কটন, এন্ডি সিল্ক, হাফ সিল্ক, মসলিন কাপড়ের ব্যবহার আছে প্রায় সকল পোশাকে। শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, জুয়েলারী, শিশু কিশোরদের পোশাক করা হয়েছে এই আয়োজনে।
প্রকৃতির খেয়াল মাথায় রেখেই অঞ্জনস তৈরি করেছে গরম ও বর্ষা উপযোগী ঈদের পোশাক। পোশাকের অরনামেন্টেশন ও ভ্যালু এডিশনে রয়েছে উৎসব -এর আমেজ। রঙের ক্ষেত্রে উজ্জ্বল রং- নীল, সবুজ, ম্যাজেন্টা, লাল ও কালোর ব্যবহার রয়েছে। নানা রঙের সমন্বয়ে অলংকৃত সুতি ও এন্ডির সালোয়ার-কামিজ, মেয়েদের ফতুয়া, টপস, স্কার্ট, সুতি এন্ডি ও সিল্কের শাড়ি, ছেলেদের ফতুয়া, শার্ট, পাঞ্জাবি, শর্ট পাঞ্জাবি, টি-শার্ট ও শিশুদের পোশক পাওয়া যাচ্ছে । এছাড়াও বিভিন্ন গিফট আইটেম, গহনা, স্যান্ডেল, মানিব্যাগ ও হোমটেক্সটাইলও আছে।
শাড়ীতে রাজশাহী সিল্ক, কটন, এন্ডি সিল্ক, হাফ সিল্ক, মসলিন, তাঁত কটন সহ বিভিন্ন কাপড়ে স্ক্রীন প্রিন্ট, ব্লক প্রিন্ট, এম্ব্রয়ডারী, কাথাঁ স্টিচ, বিভিন্ন ম্যাটরিয়েল এর কাজ করা হয়েছে। বেশি ভাগ শাড়িতে একাধিক মাধ্যমে কাজ করা হয়েছে। নিজস্ব বুনন ডিজাইনে তাঁতের শাড়ি করা হয়েছে। বয়স ও উৎসবকে মাথায় রেখে শাড়ি ডিজাইন বিন্যাস করা হয়েছে। সুতি শাড়ির মূল্য-৭৫০-৪০০, সিল্ক-১২০০-২৫০০০,মসলিন-৩৫০০-১২০০০, হাফ সিল্ক-২৫০০-৬০০০ টাকা।
বেগুনী, মেজেন্টা, পিংক, বাদামী, লাল, সবুজ সহ বিভিন্ন উজ্জল রঙের নরসিংদীর তাঁতের লিনেন কটন, মানিকগঞ্জে এন্ডি কটন, রাজশাহীর এন্ডি সিল্ক কাপড় বেশি ব্যবহার করা হয়েছে সালোয়ার কামিজ তৈরিতে। উৎসবকে মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে প্রত্যেকটি সালোয়ার কামিজ। গলায়, হাতায়, পাজামার কাটিং এ বৈচিত্র এসেছে প্রতেকটি পোশাকে। স্ক্রীন প্রিন্ট, ব্লক প্রিন্ট, কাথাঁ স্টিচ, এম্ব্রয়ডারীর প্রধান্য বেশি। কটনের মূল্য-২০০০-৫০০০, এন্ডি কটন ও এন্ডি সিল্ক ৪৫০০-৮০০০, সিল্ক- ৮০০০-১০০০০টাকা।
কটন, এন্ডি কটন,এন্ডি সিল্ক, রাজশাহী সিল্ক, লিনেন কটন কাপড়ে এম্ব্রয়ডারী, ব্লক প্রিন্ট, স্ক্রীন প্রিন্ট করে পাঞ্জবি করা হয়েছে। ভিন্ন মাত্রার কাপড়ের পাশাপাশি ডিজাইনে ও নতুনত্ব এসেছে। পাঞ্জবির ডিজাইনে মানিকগঞ্জের ভরাট, জামালপুরের কাথাঁ স্টিচ ও এম্ব্রয়ডারীর প্রাধান্য বেশি। পাঞ্জাবির মূল্য-৭৫০-২০০০,এন্ডি কটন ও সিল্ক -২০০০-৫০০ টাকা।