
ছবি সংগৃহীত
ইসলামে যৌতুক জঘন্য পাপ, ঘৃণ্য অপরাধ
আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:১১
ইসলাম কল্যাণময় জীবন ব্যবস্থা। মানব সমাজকে সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের পথে চলতে উদ্বুদ্ধ করেছে ইসলাম। মানুষের জন্য অবমাননাকর কোনো কিছুই ইসলাম অনুমোদন করে না। ইসলামে যৌতুক প্রথার কোনো স্থান নেই। নারী নিগ্রহের এ প্রথা ইসলামী বিধানের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। ইসলাম নারীকে মর্যাদার আসন দিয়েছে। বিয়ের সময় স্ত্রীর কাছ থেকে যৌতুক নেয়া নয় বরং স্ত্রীকে মোহর দেয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ আদেশ প্রদান করেছে ইসলাম। পবিত্র কোরানের সুরা নিসার ৪ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করা হয়েছে, তোমরা নারীদের তাদের মোহর, স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে প্রদান করবে। ইসলাম শুধু যৌতুক প্রথার বিরোধীই নয়, বিয়েশাদির ক্ষেত্রে সব ধরনের অপচয়ের বিপক্ষে। রাসুল [সা.] ইরশাদ করেছেন, সেই বিয়েই সর্বাধিক বরকতময়, যে বিয়েতে ব্যয় খুব সামান্যই হয়। রাসুল [সা.] নিজে বিয়ে করেছেন সাধারণভাবে, নিজের প্রিয় কন্যা হজরত ফাতেমা [রা.]-কে বিয়ে দিয়েছেন একইভাবে। বিয়েতে অপব্যয় পাত্র-পাত্রীর পরিবারের জন্য কষ্টকর পরিণতি ডেকে আনে। সামাজিক সম্মান রক্ষার অজুহাতে অনেকে বিয়েতে মাত্রাতিরিক্ত ব্যয় করে অনেকেই বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন। যা ইসলাম কোনোভাবেই অনুমোদন করে না। যৌতুককে শোষণ এবং নারী নিগ্রহের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যৌতুক আদায়ের জন্য স্ত্রীর ওপর দৈহিক নির্যাতন চালানো এমনকি হত্যার ঘটনাও ঘটে। অথচ ইসলামের দৃষ্টিতে এ ধরনের অমানবিক আচরণ সম্পূর্ণ অবৈধ। রাসুল [সা.]-এর সময় কিংবা পরবর্তীতে ইসলামী সমাজে কখনো যৌতুক চালু ছিল বলে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। এ বিধান কোরান-হাদিসের পরিপন্থী বিধায় তা বর্জন করা প্রতিটি মুসলমানের একান্ত কর্তব্য হিসেবে বিবেচিত। পবিত্র কোরানে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বিবাহযোগ্য মেয়ের অভিভাবকরা তাদের মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে যৌতুক দিতে বাধ্য হন। যারা যৌতুক নেন তারা অন্যায়ভাবে এ অর্থ বা সম্পদ নেন। এটি অবৈধ এবং সুনিশ্চিতভাবে গুনাহের কাজ। আল্লাহ আমাদের সবাইকে যৌতুকের মতো গর্হিত ও নিন্দিত পথ থেকে দূরে থাকার তৌফিক দান করুন। আমিন। মাওলানা মিরাজ রহমান