
ছবি সংগৃহীত
ইসলামের দৃষ্টিতে কোন মাংস হালাল এবং কোন মাংস হারাম!
আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০২:০২
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। একজন মুসলমানের জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব কিছুর দিক-নির্দেশনাই ইসলাম প্রদান করেছে। খাবার গ্রহণ ও খাবার নির্বাচনের ব্যাপারেও ইসলামের স্পষ্ট দিক-নিদের্শনা রয়েছে। মানবজাতির খাবারের তালিকায় মাংস অন্যতম একটি খাবার। কোন কোন মাংস হারাম, কিংবা হালাল ইসলাম এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রদান করেছে। পবিত্র কোরানের একটি আয়াতে বিস্তারিতভাবে আলোচিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের মাংস এবং যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে জবাই করা হয়েছে। এছাড়া শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মরা, আঘাত পেয়ে মরা, উপর থেকে পড়ে মরা, শিংয়ের আঘাতে মরা এবং হিংস্র জন্তুর খাওয়া প্রাণী এগুলোও হারাম। তবে তোমরা যদি তা জীবিত অবস্থায় পেয়ে জবাই করে থাক, তাহলে ভিন্ন কথা। বলি দেয়া জন্তু হারাম, জুয়ার তীর নিক্ষেপ করে ভাগ্য নির্ণয় করা জন্তু হারাম এসবই বড় গুনাহ কাজ। এখন কাফেররা তোমাদের ধর্মের মূলোৎপাটন সম্পর্কে হতাশ হয়ে পড়েছে। সুতরাং তাদের ভয় কর না; বরং আমাকেই [আল্লাহকেই] ভয় কর। আজ আমি [আল্লাহ] তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্মকে পরিপূর্ণ করে দিলাম, তোমাদের ওপর আমার নিয়ামতকে পূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের জন্য ইসলামকেই আমি ধর্ম হিসেবে পছন্দ করে নিলাম। যদি কোনো ব্যক্তি ক্ষুধার তাড়নায় হালাল নয়, এমন খাদ্য গ্রহণ করতে বাধ্য হয়, কিন্তু সে কোনো পাপের দিকে ঝুঁকে পড়তে চায় না, তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই ক্ষমাশীল ও দয়ালু। আয়াতের মাধ্যমে খাদ্যে হালাল-হারাম সম্পর্কিত বিধিবিধান জারি করা হয়েছে। শুরুতেই চার ধরনের বস্তুকে হারাম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলো হলো মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের মাংস এবং আল্লাহর নামে জবাই করা হয়নি এমন জন্তু। মুসলিম ব্যক্তি যখন কোনো জন্তু জবাই করে, তখন আল্লাহর নাম স্পষ্টভাবে উচ্চারণ না করলেও তা আল্লাহর নামে জবাই করা হয়েছে বলেই বিবেচিত হবে। এরপর আরো কয়েক ধরনের বস্তুকে হারাম হিসেবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং অপঘাতে মৃত যে কোনো প্রাণীর মাংসই হারাম। মাওলানা মিরাজ রহমান