ছবি সংগৃহীত

অদ্ভুত ১০ প্রজাতির ব্যাঙ যেগুলোর রয়েছে বিস্ময়কর সব বৈশিষ্ট্য (পর্ব-১)

farzana rinky
লেখক
প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০১৪, ০৯:৩৩
আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০১৪, ০৯:৩৩

(প্রিয়.কম) : পৃথিবীতে কত বিচিত্র ধরনের প্রাণী আছে তার হিসেব নেই। একই প্রাণীর আবার ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতি রয়েছে। সারা বিশ্বে ব্যাঙের প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ৪৮০০ টি। ভিন্ন ভিন্ন আবহাওয়ার কারণে এদের গঠন কিছুটা ভিন্ন প্রকৃতির হয়ে থাকে। অদ্ভুত গড়নের এসব ব্যাঙ বেশ বড়ও হয়ে থাকে। আসুন এমনই বিচিত্র ১০ প্রজাতির ব্যাঙ সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নিই।

১. ব্রাজিলিয়ান শৃঙ্গযুক্ত ব্যাঙ :

অদ্ভুত এই ব্যাঙটিকে খুঁজে পাওয়া যায় দক্ষিণ আমেরিকার আমাজান রেইনফরেস্টে। এর বৈজ্ঞানিক নাম হল Ceratophrys aurita। এটি অন্যান্য ব্যাঙগুলোর তুলনায় কিছুটা ভিন্ন আকৃতির হয়ে থাকে। মাথায় শিঙের মত থাকে। এই ব্যাঙটি ২০ সেন্টিমিটারের মত বড় হয়ে থাকে। ব্যাঙটি বেশ হিংস্র প্রকৃতির। এজন্য আমাজান গ্রামবাসীরা এর কামড় থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পায়ে বুট জুতা পরে।

২. হেলেনের উড়ন্ত ব্যাঙ :

এই ব্যাঙটি সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে। এ বছরের জানুয়ারি মাসে এটি সম্পর্কে তথ্য নথিভুক্ত করা হয়। ব্যাঙটি সম্পর্কে বিশেষ একটি তথ্য জানা যায় যে এটি তার দীর্ঘ পা দিয়ে বেশ দূর পর্যন্ত উড়তে পারে। এর বৈজ্ঞানিক নাম হল Rhacophorus helenae। এটি ১০ সেন্টিমিটারের মত লম্বা হয়ে থাকে। ব্যাঙটি সাইগঁ'এর কাছাকাছি ভিয়েতনামের একটি অংশ থেকে একজন অস্ট্রেলিয়ান বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেন। তাঁর মার নামে তিনি এই ব্যাঙটির নামকরণ করেন।

৩. হারলেকুইন টড ব্যাঙ :

বৈজ্ঞানিক নাম Atelopus varius। এর আবাসস্থল কোস্টারিকাতে। গত কয়েক বছর যাবত আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবে এই প্রজাতিটি প্রায় বিলুপ্তির পথে চলে গেছে। এই প্রজাতির ব্যাঙগুলোর রং বেগুনী, কালো বা হলুদ হয়ে থাকে। এই ব্যাঙটির শরীরে এক ধরনের শক্তিশালী বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে যা পটাশিয়াম সাইনাইড এর চেয়ে ১০০ গুণ বেশি কার্যকরী।

৪. দৈত্য আকৃতির ব্যাঙ :

বৈজ্ঞানিক নাম Conraua goliath। এটি পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড় একটি ব্যাঙ। দৈত্য আকৃতির এই ব্যাঙটি লম্বায় ৩৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং এর ওজন প্রায় ৩ কিলোগ্রাম। এর আবাসস্থল হল পশ্চিম আফ্রিকাতে। কাঁকড়া, ছোট সাপ এমনকি অন্য প্রজাতির ব্যাঙ এর প্রধান খাদ্য।

৫. মরোগোরো বৃক্ষ ব্যাঙ :

তানজানিয়ার ক্রান্তীয় বনাঞ্চল আর তৃণভূমি এই ব্যাঙটির আবাসস্থল। এর বৈজ্ঞানিক নাম হল Nectophrynoides viviparus। ব্যাঙটির শরীরের চোখ এবং অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গেও কাছাকাছি বড় কিছু গ্রন্থি বিদ্যমান। এই গ্রন্থিগুলো বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রং যেমন কমলা, ধূসর, সবুজ, লাল এবং সাদা রং ধারণ করে।